ঢাকা     মঙ্গলবার   ২২ অক্টোবর ২০২৪ ||  কার্তিক ৬ ১৪৩১

৪০ শতাংশ জনবল নিয়ে চলছে হাসপাতালসেবা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩০, ১৭ জুন ২০২৪   আপডেট: ২১:১৩, ১৭ জুন ২০২৪
৪০ শতাংশ জনবল নিয়ে চলছে হাসপাতালসেবা

প্রতিবারের মতো এবার ঈদের ছুটিতে হাসপাতালগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। 

অধিদপ্তর বলছে, ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছেন ৬০ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী। বাকি ৪০ শতাংশ ছুটি চলাকালীন চিকিৎসাসেবা নির্বিঘ্ন রাখতে বিশেষ ব্যবস্থায় দায়িত্ব পালন করবেন।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. আবু মো. মঈনুল আহসান বলেন, চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে ৪০ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী ঈদে কর্মরত থাকবেন। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে হাসাপাতালগুলোকে জরুরি রোস্টার করতে বলা হয়েছে।

রাজধানীর শ্যামলীতে ২৫০ শয্যার টিবি ও অ্যাজমা হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার বলেন, ঈদের ছুটিতেও হাসপাতালের জরুরি বিভাগ খোলা থাকে। দায়িত্বের জায়গা থেকে প্রতিনিয়ত খোঁজ রাখতে হয়। গত কয়েক বছর ধরে হাসপাতালে সহকর্মী-রোগীদের সঙ্গেই আমার ঈদের দিনের সময়টুকু কাটে।

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) পরিচালক ডা. কাজী শামীম উজ্জামান বলেন, জরুরি চিকিৎসাসেবা যাতে ব্যাহত না হয় সে জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্স ও ওয়ার্ড বয়কে রোস্টার করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। 

বাংলাদেশ স্পেশালাইজড  হাসপাতালের ডেপুটি ম্যানেজার ও বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স এর প্রধান মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, জরুরি পরীক্ষা বা অপারেশন করা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস চালু আছে। 

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. শফিউর রহমান বলেন, আমাদের জরুরি, মেডিসিন, সার্জারিসহ প্রতিটি বিভাগে ছুটির প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে রোস্টার করা হয়েছে। ঈদের ছুটিতে সবার খাবার ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ল্যাবএইড হাসপাতালের হেড অব অপারেশন ইফতেখার আহমেদ জানান, ঈদের সময় ভর্তি রোগীর সংখ্যা অর্ধেকেরও বেশি কমে গেছে। যারা আছেন, তাদের চিকিৎসাসেবায় কোনো সমস্যা নেই। হাসপাতালে যেসব রোগী আছেন, তারাসহ হাসপাতালে ঈদের ছুটির সময় কাজ করা ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মী সবার জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ কয়েকটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদের সময় ভর্তি রোগীর সংখ্যা অর্ধেকেরও বেশি কমে যায়। তাই ৪০ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী নিয়ে কাজ করতে তেমন সমস্যা হয় না।

এমএ/তারা 


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়