আন্দোলনে বাধ্য করলে উপায় থাকবে না: হেফাজত
হেফাজত নেতা মাওলানা মাহমুদুল হক ও মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তি দাবি জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’র নেতারা। না হলে সরকার পতনের আন্দোলন ছাড়া কোনও উপায় নেই বলেও হুঁশিয়ার উচ্চারণ করেন তারা। এ সময় নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, হেফাজত সরকার পতনের আন্দোলন করে না। কিন্তু আন্দোলনে বাধ্য করলে উপায় থাকবে না।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর বারিধারায় জামিয়া মাদানিয়া মাদ্রাসায় পবিত্র মাহে রমজানের তাৎপর্য ও করণীয় শীর্ষক এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে সংগঠনটির নেতারা এ হুঁশিয়ারি দেন।
হেফাজতের সিনিয়র নায়েবে আমীর ও দারুল উলূম হাটহাজারীর মহাপরিচালক আল্লামা খলিল আহমাদ কাসেমীর সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখেন আল্লামা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, মাওলানা আবদুল আউয়াল, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা ড. আহমদ আব্দুল কাদের, মাওলানা সারওয়ার কামাল আজিজী, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমী, মাওলানা আজিজুল ইসলাম ইসলামাবাদী, মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী, মুফতী মাসউদুল করীম, মাওলানা মুফতি বশির উল্লাহ, মাওলানা শওকত হোসাইন সরকার, মাওলানা বোরহান উদ্দিন কাসেমী, মুফতি কেফায়েত উল্লাহ আজহারী প্রমুখ।
নূরানী মাদ্রাসা বন্ধের ষড়যন্ত্র করা হলে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে জানিয়ে আল্লামা খলিল আহমাদ কাসেমী বলেন, হেফাজত নেতা মাওলানা মাহমুদুল হক ও মাওলানা মামুনুল হককে মুক্তি অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। আমরা সরকার পতন আন্দোলন করি না, কিন্তু আমাদের বাধ্য করলে কোনও উপায় থাকবে না।
তিনি বলেন, রমজানে আত্মীয়-স্বজন ও মুসলমানরা সবাই একসঙ্গে বসে ইফতার করা আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্য। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বর্তমান সরকার ইফতার মাহফিলের ব্যাপারে কোথাও কোথাও দমনমূলক নীতি গ্রহণ করেছে। যা সাম্প্রদায়িক উস্কানির শামিল।
বক্তারা বলেন, মাওলানা মামুনুল হক দেশের একজন বিশিষ্ট আলেমদ্বীন। ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল তাকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এখনও তিনি কারাবন্দি হয়ে আছেন। আমরা ঈদের আগেই মামুনুল হককে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। এ ছাড়া, ২০১৩ সাল থেকে অদ্যাবধি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নামে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
তারা বলেন, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সা.-কে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে চরম কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন বসুদাস। তাকে দেশে এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে।
মহান আল্লাহ তায়ালা, মহানবী (সা.), কুরআন-সুন্নাহ্ তথা; ইসলাম নিয়ে কটূক্তিকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন প্রণয়নের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান তারা।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মাওলানা জসিম উদ্দীন, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা জাবের কাসেমী, মুফতী আজহারুল ইসলাম, মাওলানা গাজী ইয়াকুব উসমানী, এডভোকেট জাহাঙ্গির হোসাইন, মাওলানা এনামুল হক মুসা, মাওলানা শামসুল ইসলাম জিলানী, মুফতী ফখরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল মান্নান, মাওলানা শরিফুল্লাহ, মাওলানা আফসার মাহমুদ, মাওলানা রাশেদ বিন নূর, মাওলানা এহসানুল হক, মাওলানা সানাউল্লাহ খাঁন, মাওলানা শরিফ হোসাইন, মাওলানা এনামুল হাসান ফারুকী প্রমুখ।
নঈমুদ্দীন/এনএইচ
আরো পড়ুন
