ঢাকা     রোববার   ০৫ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২২ ১৪৩১

বন ডাকাতদের জন্যই পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়: জিএম কাদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:২৮, ২৫ এপ্রিল ২০২৪  
বন ডাকাতদের জন্যই পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়: জিএম কাদের

বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি (ফাইল ফটো)

কুষ্টিয়ার কুমারখালী বাঁধবাজার থেকে মাদুলিয়া পর্যন্ত সড়কের ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্তে উষ্মা প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি। 

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে গাছ কাটার সিদ্ধান্ত বাতিল করার আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে বিগত দিনে একই সড়কের গাছ কাটার বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করতেও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গোলাম মোহাম্মদ কাদের।

বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘আগে বন থেকে গাছ চুরি হতো, এখন বনে দস্তুরমতো ডাকাতি শুরু হয়েছে। বন ডাকাতদের জন্যই পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়।’ বনখেকো ও বনদস্যুদের চিহ্নিত করে তাদের আইনের মুখোমুখি করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। 

বিরোধী দলীয় নেতা বলেছেন, গণমাধ্যমে প্রকাশ, ২০২৩ সালে ওই সড়কের ১০ হাজার গাছ কেটেছে বন বিভাগ। সম্প্রতি একই সড়কে আরো ৩ হাজার গাছ কেটেছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় জনসাধারণ ও পরিবেশবিদদের মতামত উপেক্ষা করে ওই সড়কে আরো প্রায় ৩ হাজার গাছ কাটার জন্য নাম্বারিং করেছে বন বিভাগ। এর চেয়ে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত আর হতে পারে না। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় দেশে ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকার কথা। কিন্তু, আমাদের আছে ৯ শতংশের কম। এভাবে বনাঞ্চল নিধন করার কারণেই দেশ আজ বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন যে আজ অতিষ্ঠ, যথেষ্ট গাছপালা থাকলে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাওয়া যেত।      

বিবৃতিতে গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, রাজধানীতে সড়ক ও ভবন তৈরীর জন্য ইতোমধ্যেই দেদারছে কেটে ফেলা হয়েছে হাজারো গাছ। অপরিকল্পিত ও আত্মঘাতী এমন সিদ্ধান্তের কারণে রাজধানী বসবাসের অনুপযোগী হয়ে আছে। পরিবেশবিদদের মতে, রাজধানীতে ২০ শতাংশ বনাঞ্চল থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র ২ শতাংশ। গাছ না কেটেও সড়ক উন্নয়ন ও প্রশস্ত করা সম্ভব। তাই, কারণে-অকারণে বৃক্ষনিধন বন্ধ করতে হবে। 

নঈমুদ্দীন/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়