ঢাকা     সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

বেড়াতে নিয়ে বোনকে হত্যা, ভাই-ভাবিসহ আটক ৩

রাজশাহী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:০৭, ২৭ মার্চ ২০২৪   আপডেট: ২২:১৯, ২৭ মার্চ ২০২৪
বেড়াতে নিয়ে বোনকে হত্যা, ভাই-ভাবিসহ আটক ৩

আটককৃত দুই জনকে নিয়ে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধারে যায় পুলিশ

রাজশাহীতে বোনকে পরিকল্পিতভাবে বেড়াতে নিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে সৎ ভাইয়ের বিরুদ্ধে। পুলিশ বলছে, ঘটনার সময় মেয়েটির সৎ ভাই ছাড়াও তার ভাবি ও এক বন্ধু ছিলেন। তারাও এই হত্যার পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত। তিন জনকেই আটক করা হয়েছে।

নিহত তরুণীর নাম সন্ধ্যা রানী (২০)। তিনি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শীশা বাঁশপীর গ্রামের শ্রী হরিলালের মেয়ে। 

হত্যার অভিযোগে আটককৃতরা হলেন- সন্ধ্যার সৎ ভাই ফুলবাবু রবিদাস ওরফে বাবু (২২), ফুলবাবুর স্ত্রী মিনতী রানী (২৫) এবং বন্ধু আদিল আহমেদ পলক (১৯)। পলকের বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার লালপুকুর গ্রামে।

জানা গেছে, ফুলবাবু তার স্ত্রী মিনতী ও সৎ বোন সন্ধ্যা রানীকে নিয়ে রাজশাহীর কর্ণহার থানা এলাকায় ভাড়া থাকতেন। বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে গোদাগাড়ীর গোগ্রাম এলাকায় নির্মাণাধীন ফাঁকা পড়ে থাকা একটি দোতলা বাড়ির ওপরের তলার বাথরুমে সন্ধ্যা রানীর মরদেহ পাওয়া যায়। তার পেটে ও বুকে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। দুপুরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন বলেন, সন্ধ্যা রানীর মরদেহের পাশে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি পাওয়া যায়। এই মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে নিহত তরুণীর পরিচয় জানা যায়। হত্যার সঙ্গে জড়িতদেরও শনাক্ত করা সম্ভব হয়। এরপরই অভিযান চালিয়ে তিন জনকে আটক করা হয়েছে। তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলেও স্বীকার করেছেন।

তিনি আরও বলেন, ফুলবাবু তার স্ত্রী আর বোনকে নিয়ে ঢাকায় থাকতেন। সেখানে সন্ধ্যার একটি ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেখানে তারা একটি ঘটনা ঘটিয়ে এসেছে। রাজশাহী চলে আসার পর ফুলবাবু তার বোনের বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু, সন্ধ্যা রানী বিয়ে করতে রাজি হচ্ছিলেন না। তাই তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হয়। এজন্য ফুলবাবু, তার স্ত্রী মিনতী ও আদিল গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে সন্ধ্যা রানীকে সিএনজি অটোরিকশায় করে গোদাগাড়ীর গোগ্রাম এলাকায় যান। আসার আগে, রাজশাহীর হড়গ্রাম বাজার থেকে একটি ছোট ছুরি আর কাটার কেনেন তারা। গোগ্রাম গিয়ে তারা অটোরিকশাটি ছেড়ে দেন। এরপর হোটেলে খাবার খান। পরে আসামিরা কৌশলে নির্মাণাধীন ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে সন্ধ্যা রানীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। যাওয়ার সময় ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে ধানের জমির নালায় ছুরি পুঁতে রেখে যান আসামিরা। আজ বিকেলে ছুরিটি উদ্ধার করা হয়েছে।

ওসি আবদুল মতিন বলেন, এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করা হবে। কিন্তু মামলার বাদী করার মতো কাউকেই পাওয়া যাচ্ছে না। রাতের মধ্যেই মামলা হবে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। আর ঢাকায় যে ঘটনাটি ঘটেছিল, সেটির তদন্ত করা হচ্ছে।

কেয়া/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়