ঢাকা     মঙ্গলবার   ২২ অক্টোবর ২০২৪ ||  কার্তিক ৬ ১৪৩১

আবারও বাংলা ব্লকেড আন্দোলনে জবি শিক্ষার্থীরা

জবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:২৯, ১০ জুলাই ২০২৪  
আবারও বাংলা ব্লকেড আন্দোলনে জবি শিক্ষার্থীরা

বাংলা ব্লকেড আন্দোলন কর্মসূচির আওতায় সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে ও কোটা সংস্কারের দাবিতে গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে অবরোধ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।

দ্বিতীয় দিনের মতো বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে সাড়ে ৩টায় ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’ এর ব্যানারে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন।

মিছিলটি ক্যাম্পাসের কাঁঠালতলা থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেট দিয়ে বের হয়ে কোর্টের পাশ দিয়ে রায়সাহেব বাজার হয়ে তাঁতিবাজার মোড়ে দিয়ে গুলিস্তান হয়ে জিরো পয়েন্টে অবস্থান নেয়। এতে জিরো পয়েন্ট ও পল্টন মোড়কে কেন্দ্র করে চারপাশের রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়

দ্বিতীয় দিনেও চার দফা দাবি থেকে সরে এসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবি বহমান রয়েছে। দাবিটি হলো- ‘সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম মাত্রায় এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে।’

এদিকে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জিরো পয়েন্ট আসার আগেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান করতে দেখা গেছে। ঢাবি শিক্ষার্থীদের অবরোধে আগে থেকেই ৩ ঘণ্টা যাবৎ পুরান ঢাকার সব রাস্তা, সচিবালয়ের রাস্তা ও পল্টন মোড় এলাকা অচল ছিল। জবি শিক্ষার্থী সেখানে আসায় আন্দোলনের নতুন মাত্রা যুক্ত হয় এবং ঢাবি শিক্ষার্থী স্লোগান ও হাততালি দিয়ে স্বাগত জানায়।

পরে বিকাল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে জিরো পয়েন্টে জবি শিক্ষার্থীদের রেখে ঢাবি শিক্ষার্থীরা সচিবালয় মোড়ের দিকে চলে যায়। এ সময় নারী শিক্ষার্থীসহ আশপাশের বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীদের তীব্র গরমেও অবস্থান নিতে দেখা যায়।

এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থেকে সরে আসছি না।

এ ছাড়া জবি শিক্ষার্থী রায়হানের কণ্ঠে জাতীয় কবি নজরুলের বিদ্রোহী কবিতা আবৃত্তির পর সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিদ্রোহী উল্লাস দেখা দেয়। এরপর গান, কবিতা ও স্লোগানসহ নানা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো গুলিস্তান এলাকা।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মুরশিদা বলেন, নির্বাহী বিভাগ থেকে একটি আদেশ না আসা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন করে যাবো। কোটা সংস্কার করে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে।

আন্দোলনের সমন্বয়কারী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহিনুর ইসলাম সান বলেন, আমরা রাজপথে নয়, পড়ার টেবিলে থাকতে চাই। আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী নয়, সাধারণ শিক্ষার্থী। আমরা চাই, দ্রুত ক্লাসে ফিরে যেতে। সরকার যতো দ্রুত আমাদের দাবি মেনে নিবে, ততো দ্রুত আমরা ক্লাসে ফিরে যাবো। আমরা চেয়েছিলাম কোটা সংস্কার, কিন্তু সরকার সেটা বাতিল করে দিয়েছিল। এর মাধ্যমে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। আমাদের দাবি মেনে নিয়ে কোটা সংস্কার করা হোক, তাহলে আমরা ক্লাসে ফিরে যাব।

/লিমন/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়