ঢাকা     মঙ্গলবার   ২২ অক্টোবর ২০২৪ ||  কার্তিক ৬ ১৪৩১

শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ

পরিবহন সুবিধা না থাকলেও ফি দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা

সোহরাওয়ার্দী কলেজ সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২৩:০১, ১০ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ২৩:০৪, ১০ জুলাই ২০২৪
পরিবহন সুবিধা না থাকলেও ফি দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা

শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো ধরনের পরিবহন সুবিধা নেই। তবুও বছরের পর বছর ধরে ফি দিয়ে যাচ্ছেন পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সরকারি শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা। এমনকি কত দিচ্ছে, কোথায় দিচ্ছে সেটাও অজানা শিক্ষার্থীদের কাছে।

শুধু তাই নয়, ভর্তি বিবরণীতে পরিবহন খাত বলে যে একটা খাত আছে, সেটাও জানেন না কোনো শিক্ষার্থী। কলেজ কর্তৃপক্ষ কখনো ফি প্রদানের খাতগুলোর পূর্ণাঙ্গ বিবরণী প্রকাশ করেনি বলে শিক্ষার্থীদের কাছে বিষয়গুলো অজানা বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে সরাসরি কলেজে গেলে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো পরিবহন নেই। পুরো কলেজ ঘুরে চোখে পড়ে ‘সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, ঢাকা’ লেখা সাদা রঙের মাইক্রোবাস। এ মাইক্রোবাসটি কলেজের অধ্যক্ষ যাতায়াতের কাজে ব্যবহার করেন।

মাইক্রোবাসটির খরচ কোথায় থেকে আসে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, এটার খরচ ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়। কত টাকা করে নেওয়া হয়, তা জানি না। তবে এগুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেই নেওয়া হয়, এটা জানি।

শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আসলে কত টাকা করে নেওয়া হয়- এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে কলেজের বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করলে কেউ জানেন না বলে জানিয়ে দেয়।

অবশেষে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন স্টাফের কাছ থেকে দু'টো ভর্তি বিবরণী সংগ্রহ করা হয়। যেখানে দেখা যায়, প্রতিটি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১০০ টাকা হারে চাঁদা আদায় করা হয়। উল্লেখ্য কলেজে মোট ৮ হাজার ৮৩৭ জন শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত। সে হিসাবে বছরে ৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭০০ টাকা আদায় করা হয়। যার সম্পূর্ণটা অধ্যক্ষের বহনকারী মাইক্রোবাসটির জন্য ব্যয় হয়ে থাকে!

মাইক্রোবাসের পিছনে এতো টাকা ব্যয় হয় কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসা করা হয়। তাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমার জানা মতে ড্রাইভারের বেতন ১৭ হাজার টাকার মতো, এর বেশি হবে না।’

ড্রাইভারের বেতন ১৭ হাজার টাকা হিসাবে বছরে খরচ হয় ২ লাখ ৪ হাজার টাকা। বাকি ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৭০০ টাকা হিসাব পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে কলেজের হিসাব নিরীক্ষক সফিক আহমেদকে কল করা হলে তিনি বলেন, অধ্যক্ষ স্যার ছাড়া আমি এসব হিসাব কাউকে দিতে পারবো না। আপনার তথ্যের প্রয়োজন হলে অধ্যক্ষ স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অধ্যক্ষ স্যারই তথ্য দিবেন, আমি দিতে পারবো না! উল্লেখ্য এর আগে তথ্য চাইতে গেলে শফিকের বিরুদ্ধে এক কলেজ সাংবাদিককে হেনস্তার অভিযোগ রয়েছে! 

অধ্যক্ষ মোহসীন কবিরের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আপনি অফিসে আসেন সরাসরি কথা হবে। আপনি কে বলছেন, কি বলছেন- সেসব নিয়ে সরাসরি কথা হবে, অফিসে আসেন।’

/ইয়াছিন/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়