ঢাকা     মঙ্গলবার   ২২ অক্টোবর ২০২৪ ||  কার্তিক ৬ ১৪৩১

‘চীনের ব্যবসায়ীদের থেকে পজিটিভ রেসপন্স পাচ্ছি’ 

নুরুজ্জামান তানিম, বেইজিং থেকে || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:০৯, ১০ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ১৩:১০, ১০ জুলাই ২০২৪
‘চীনের ব্যবসায়ীদের থেকে পজিটিভ রেসপন্স পাচ্ছি’ 

আল মামুন মৃধা। ছবি: রাইজিংবিডি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরে মধ্যে দিয়ে আগামী দিনে বাংলাদেশ ও চায়নার ট্রেডিং এবং বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতির একটা অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটবে। এই দুই দেশের মধ্যে যে বাণিজ্য ভারসাম্য আছে সেটা অনেকটা গ্রহণযোগ্য জায়গায় চলে আসবে। এ সম্মেলনে চীনের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বেশ পজিটিভ রেসপন্স পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিসিসিআই‌) সাধারণ সম্পাদক আল মামুন মৃধা।

বুধবার (১০ জুলাই) চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত ‘দ্য রাইজ অব বেঙ্গল টাইগার: ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটিজ বিটুইন বাংলাদেশ অ্যান্ড চায়না’ শীর্ষক সম্মেলন প্রসঙ্গে রাইজিংবিডিকে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ‘দ্য রাইজ অব বেঙ্গল টাইগার: ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটিজ বিটুইন বাংলাদেশ অ্যান্ড চায়না’ শীর্ষক সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিসিসিসিআই সাধারণ সম্পাদক বলেন, এবার বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিটের অন্যতম সহ-আয়োজক বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। আমাদের পক্ষ থেকে প্রায় এক হাজার চাইনিজ বিনিয়োগকারী বা যারা ব্যবসায়ী তাদেরকে এই সম্মেলনে ডাকা হয়েছে। যারা বাংলাদেশের সাথে ব্যবসা করছেন বা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সাথে ব্যবসা করতে চান, পাশাপাশি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সাথে নতুন কি ধরনের উইন্ডো খোলা যায় সে ব্যাপারে তারা একাডেমিক আলোচনা করতে আগ্রহী। এরকম স্টেকহোল্ডারদের এবারের আমরা এই ইনভেস্টমেন্ট সামিটে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তাদের কাছ থেকে আমরা বেশ পজিটিভ রেসপন্স পাচ্ছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের যে অগ্রগতি হচ্ছে সেটা অব্যাহত রাখতে চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। আমাদের যেসব গুরুত্বপূর্ণ খাত রয়েছে, সেগুলোতে আরও বড় মাত্রায় বিনিয়োগ আনতে এবারের বিজনেস সামিটের প্রধান উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য। বাংলাদেশ চায়না চেম্বার গত দুই দশক ধরেই এই ভূমিকা পালন করে আসছে। ২০০৩ এ বাংলাদেশের সাথে চীনের ব্যবসা দেড় বিলিয়ন ডলারেরও কম ছিল। গত দুই দশক ধরে বাংলাদেশের সাথে চীনের যে প্রাইভেট সেক্টরে ব্যবসার প্রসার হয়েছে তার পেছনে বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ একটা অন্যতম অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে। সামনের দিনেও আমাদের এই কার্যক্রমগুলো আরও বৃদ্ধি করতে পারবো বলে আমরা ধারণা করছি।

তিনি বলেন, আমাদের নতুন নতুন ডিল হচ্ছে যেখানে আমরা বিনিয়োগকারীদের ডেডিকেটেড সার্ভিস দেওয়ার জন্য ডেডিকেটেড টেবিল হচ্ছে, ডেডিকেটেড সেক্রেটারি হচ্ছে। আমাদের ট্রেড স্পিউট যত রকম আছে সেগুলোকে মিটগেট করার জন্য আমাদের আলাদা একটা লিগ্যাল প্যানেল হয়েছে। চায়নাতে বিভিন্ন রকম এক্সিবিশন হয় যেগুলো দ্বারা বাংলাদেশে যারা ব্যবসায়ী আছেন তারা বহুমাত্রিকভাবে উপকৃত হতে পারবেন। চাইনিজদের কাছ থেকে যে আশ্বাস আমরা পেয়েছি, যে বাংলাদেশের জন্য একটা স্পেশাল ডিস্কাউন্ট বা প্রিভিলেজ থাকবে। সামনের দিনগুলোতে যেন বাংলাদেশিরা এখানে পরিদর্শক হিসেবে আসতে পারেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির যত মেম্বার আছেন তারা যেন সহজে ভিসা পেতে পারে সে ব্যাপারেও চায়না দূতাবাসের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। যাতে করে উভয় দেশের মধ্যে যোগাযোগগুলো যেন আরও বেশি মাত্রায় বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও যেসব চীনা বিনিয়োগকারীরা আছেন তাদের যে বড় বড় প্রতিনিধিদল সামনের দিনে বাংলাদেশে আসবে, তাদের সাথে  আমরা যেন সমন্বয় সাধন করতে পারি সেজন্য উভয় দেশ কাজ করছে। আমরা আশা করছি, এ বছরের শেষ নাগাদ হয়ত আমরা প্রথম চাইনিজ ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ট্রেড সামিটের একটা ভার্সন  বাংলাদেশেও দেখতে পাবো। আশা করছি যে বড় মাত্রায় একটা চীনা বিনিয়োগকারীদের একটা সম্মেলন হয়তো ঘটাতে পারবো। 

/এনটি/এসবি/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়