ঢাকা     রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৬ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

পশু কাটাকুটির জিনিসের খোঁজে জিঞ্জিরায়

হৃদয় তালুকদার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৩৪, ১২ জুন ২০২৪   আপডেট: ১৫:৩৮, ১২ জুন ২০২৪
পশু কাটাকুটির জিনিসের খোঁজে জিঞ্জিরায়

ধারালো অস্ত্রসহ বিভিন্ন জিনিসের বেচা-কেনা বেড়েছে। ছবি: লেখক

কোরবানি ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। রাজধানীতে পশুর হাঁটগুলো জমে উঠেছে। ব্যস্ততা বেড়েছে কামারশালার শ্রমিকদের। রাজধানীর জিঞ্জিরায় পশু কাটাকুটির প্রয়োজনীয় ধারালো অস্ত্রসহ বিভিন্ন জিনিসের বেচা-কেনা বেড়েছে। 

রোববার  (৯ জুন) পুরান ঢাকার কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরায় গিয়ে দেখা যায় ছুরি, চাপাতি, কুড়াল, দা বানাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা। ট্রলারে করে আনা হচ্ছে চাটাই। খাটিয়া বানিয়ে স্তূপ করে রেখেছেন কাঠের দোকানীরা। কামারদের যেন দম ফেলারও সময় নেই! ছোট, মাঝারি, বড় সব রকমের ছুরি বানাতে ব্যস্ত তারা। কেউ আগুন দিয়ে লোহা ঝলসে নিচ্ছেন আবার কেউ মেপে দেখছেন বানানো অস্ত্রের ওজন আর নির্ধারণ করছেন দাম।

বিভিন্ন কামারশালা ঘুরে দেখা গেলো ছোট চাকুগুলোর দাম ৫০-৮০ টাকা, বড় চাকুর দাম ১০০-১৫০ টাকা। ছোট চাপাতির দাম ১৮০-২২০ টাকা, বড় চাপাতির দাম ২০০-৩০০ টাকা। কুড়ালের দাম ১৮০-২৫০ টাকা। কোরবানির গরু কেটে মাংস রাখার জন্য প্রয়োজনীয় চাটাইয়ের চাহিদা ৩-৪ হাত চাটাইয়ের দাম ১৭০-২০০ টাকা।

খাটিয়াকে আমরা বিভিন্ন নামে চিনি। কেউ বলেন গাছের গুঁড়ি কেউ বলেন চপিং বোর্ড। নাম যাইহোক শহরে এসব খাটিয়া বিক্রি হয় চড়া দামে। তেঁতুল গাছের খাটিয়ার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। বড়, মাঝারি এবং ছোট ধরনের খাটিয়া পাওয়া যায়। ছোট খাটিয়ার দাম ১৫০-২০০ টাকা, মাঝারি খাটিয়ার দাম ২০০-৩০০ এবং বড় খাটিয়ার দাম ৩০০-৪০০ টাকা।

এসব দরকারি পণ্য কিনতে ঢাকার নানা জায়গা থেকে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা আসছেন জিঞ্জিরায়। গেন্ডারিয়া থেকে চাপাতি ও খাটিয়া কিনতে আসা ইমাম হুসাইন বলেন, কোরবানি এলেই এসব জিনিস প্রয়োজন হয়। জিঞ্জিরায় কম টাকায় ভালো জিনিস পাওয়া যায়।

ব্যবসায়ী হাশেম আলম বলেন, মিরপুর থেকে এসেছি, ছুরি, চাপাতি এসব নিলাম। অন্য বারের চেয়ে এবার দাম একটু বেড়েছে।

ছুরি ও চাপাতি বিক্রেতা আনোয়ার মিয়া বলেন, আশা করছি এ বছর ভালো বিক্রি হবে।

চাটাই খাটিয়া বিক্রেতা আমিনুল ইসলাম বলেন, সবসময়ই তেঁতুল কাঠের খাটিয়ার চাহিদা বেশি থাকে, এবারও তাই। দামও ক্রেতাদের হাতের নাগালেই আছে।

/লিপি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়