ঢাকা     শুক্রবার   ০৪ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১৯ ১৪৩১

বাজারে ক্যানসারের নতুন ওষুধ আনছে টাটা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:১৭, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ২০:১২, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বাজারে ক্যানসারের নতুন ওষুধ আনছে টাটা

ফাইল ফটো

ভারতের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী টাটা ক্যানসারের নতুন একটি ওষুধ তৈরি করেছে। ‘আর+সিইউ’ নামের এই ওষুধটি দেহের ভেতরে ক্যানসারের প্রভাবক উপাদানগুলোকে নির্মূল করতে সক্ষম বলে দাবি করেছে টাটা শিল্পগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান টাটা মেমোরিয়াল সেন্টারের (টিএমসি) গবেষক দল।

টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতাল মুম্বাই শাখার সিনিয়র সার্জন (ক্যানসার) ডা. রাজেন্দ্র বাদভে রয়েছেন এই দলে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে ডা. বাদভে বলেছেন, টানা ১০ বছর গবেষণার পর সাফল্য পেয়েছেন তারা।

এক সাক্ষাৎকারে এনডিটিভিকে ডা. বাদভে বলেন, ক্যানসার এখন খুব দুরারোগ্য কোনো ব্যাধি নয়। যেসব রোগী ক্যানসারের প্রাথমিক কিংবা মাঝামাঝি অবস্থায় থাকেন, বর্তমানে রেডিয়েশন থেরাপি, কেমো থেরাপি অথবা সার্জারির মাধ্যমে তাদের ক্যানসার আক্রান্ত কোষ নির্মূল করে সুস্থ করে তোলা সম্ভব।

এই চিকিৎসক ববলেন, তারপরও সমস্যা হলো—ক্যানসার আক্রান্ত কোষগুলো ধ্বংস হওয়ার পর এগুলো অতি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণায় ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় যেসব ধ্বংসাবশেষকে বলা হয় ক্রোমাটিন। রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে ক্যানসার রোগীর পুরো দেহে ক্রোমাটিন ছড়িয়ে পড়ে এবং দেহের সুস্থ কোষগুলোকে আক্রমণ করে। তাই, অনেক সময়েই আমরা দেখি যে, ক্যানসার রোগীরা একবার চিকিৎসা নিয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার পর ফের ক্যানসারে আক্রান্ত হন। বস্তুত, চিকিৎসা নিয়ে সেরে ওঠা প্রত্যেক ক্যানসার রোগীই দ্বিতীয়বার ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার উচ্চ ঝুঁকি থাকেন।

তিনি বলেন, যে ওষুধটি আমরা তৈরি করেছি, সেটির মূল উপাদান রেভেরাট্রল এবং দস্তা। রেডিশেন, কেমো বা সার্জারির পর এই ওষুধটি সেবন করা হলে মানবদেহে অক্সিজেনসমৃদ্ধ একপ্রকার প্রোটিন তৈরি হয় এবং এই প্রোটিন দেহের অভ্যন্তরে রয়ে যাওয়া ক্রোমাটিন ধ্বংস করে। এছাড়া, কেমো বা রেডিয়েশন থেরাপির ফলে দেহে যেসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, সেসব নির্মূলেও কার্যকর আর+সিইউ।

‘আর+সিইউ’ মুখে খাওয়ার ট্যাবলেট, এ তথ্য জানিয়ে ডা. বাদভে বলেন, ওষুধটির অনুমোদন ও জরুরি অবস্থায় ব্যবহারবিষয়ক ছাড়পত্রের জন্য ভারতের অন্যতম নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়া (এফএসএসআই) বরাবর আবেদন করা হয়েছে। আগামী জুনের আগেই ছাড়পত্র মিলবে বলে আশা করছে টিএমসি।

ডা. রাজেন্দ্র বাদভে জানান, টানা ১০ বছরের নিরলস গবেষণার ফলাফল এই আর+সিইউ। এফএসএসআই অনুমোদন হলে আগামী জুন-জুলাই মাস থেকেই বাজারে সহজলভ্য হবে ট্যাবলেটটি। খুচরা পর্যায়ে প্রতিটি আর+সিইউ ট্যাবলেটের দাম ধার্য করা হয়েছে ১০০ রুপি।

সূত্র : এনডিটিভি

মেয়া/রফিক


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়