অভিব্যক্তি বোঝার জন্য আসছে ‘ট্রান্সপারেন্ট মাস্ক’
![অভিব্যক্তি বোঝার জন্য আসছে ‘ট্রান্সপারেন্ট মাস্ক’ অভিব্যক্তি বোঝার জন্য আসছে ‘ট্রান্সপারেন্ট মাস্ক’](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2020June/bg/mask-risingbd20200611213615.jpg)
করোনাভাইরাস আসার পর থেকে ধীরে হলেও মানুষের মুখে মাস্ক পরার প্রবণতা বেড়েছে। এখন বাড়ির বাইরে বের হলে বেশিরভাগ মানুষের মুখেই দেখা যায় মাস্ক। কারোটা কাপড়ের তো কারোটা সার্জিক্যাল। কারোটা হয়তো ভিন্ন উপাদানে তৈরি।
কিন্তু মাস্ক যেরকমই হোক না কেন, কোনো মাস্ক পরিহিত ব্যক্তির মুখের অভিব্যক্তি কিন্তু বোঝা যায় না। বিশেষ করে হাসপাতালগুলোতে একজন রোগীর মুখের অভিব্যক্তি দেখাটা যেমন চিকিৎসকের জন্য জরুরি তেমনি রোগীর জন্যও জরুরি চিকিৎসকের অভিব্যক্তি বোঝা। কেননা চিকিৎসকের অভিব্যক্তির ওপর নির্ভর করে রোগীর তাকে অনুসরণ করার প্রবণতা।
চিকিৎসক যদি একটু উদ্বেগ নিয়ে রোগীকে কিছু বলে রোগী তখন সেটাকে গুরুত্ব দিয়ে মেনে চলে। অন্যদিকে চিকিৎসকও রোগীর মুখের অভিব্যক্তি দেখে রোগের ধরনের অনেকটা আচ করতে পারেন। সমস্যা হলো, ভাইরাসের এই সময়ে আসলে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে মানুষ আর অভিব্যক্তির ওপর গুরুত্ব দেয়ার সুযোগ পাচ্ছিল না। তাই বলে বিজ্ঞানীরা বসে থাকবেন কেন?
দ্য সুইস ফেডারেল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি ল্যাসানে (ইপিএফএল) এবং দ্য সুইস ফেডারেল ল্যাবরেটরিস ফর ম্যাটেরিয়ালস সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি যৌথভাবে উদ্ভাবন করেছে ট্রান্সপারেন্ট বা স্বচ্ছ ফেস মাস্ক, যা দিয়ে মুখের অভিব্যক্তি বোঝা যাবে। এছাড়া এটি সমানভাবে অন্যান্য সার্জিক্যাল ফেস মাস্কের মতোই ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করবে। প্রাথমিকভাবে এর নাম ঠিক করা হয়েছে ‘হ্যালো মাস্ক’।
ইপিএফএলের এসেন্সিয়াল টেকের প্রধান ক্লওজ শোনেনবার্জার বলেন, ‘এটা খুবই আবেগঘন একটা ব্যাপার ছিল, যখন চিকিৎসক ও নার্সরা পা থেকে মাথা পর্যন্ত পিপিইতে ঢেকে রোগীদের সঙ্গে কথা বলতো নিজের ছবি বুকে ঝুলিয়ে, যাতে রোগী বুঝতে পারে কার সঙ্গে কথা বলছে। এটা ছিল ২০১৫ সালে ইবোলা মহামারির ঘটনা। তখন থেকেই আমরা চেয়েছিলাম এমন একটি মাস্ক যার দ্বারা অভিব্যক্তি বোঝা যাবে। এজন্য গবেষণা করে পলিমারকে নতুন করে গবেষণা করে একে অক্সিজেন পরিবহনের উপযোগী করে তোলা হয়। এখন এটা অন্যান্য সার্জিক্যাল মাস্কের মতোই ভাইরাস প্রতিরোধ করবে এবং অক্সিজেন সরবরাহ করবে।’
এইচএম কেয়ার নামের একটি স্টার্টআপ কোম্পানিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে একে বাজারজাত করার। তারা ইতিমধ্যে ১ মিলিয়ন ডলারের বেশি ফান্ড তুলে ফেলেছে। প্রথম দিকে এই মাস্ক চিকিৎসক ও নার্সদের দেয়া হবে। পরে সাধারণ মানুষের জন্যও বাজারে ছাড়া হবে।
ঢাকা/ফিরোজ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন