ঢাকা     রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৬ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ইউটিউবে ‘রিভিউ’ দিয়ে চাকরি খোয়ালেন টেসলা কর্মী!

মো. রায়হান কবির || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৩৮, ১৭ মার্চ ২০২২  
ইউটিউবে ‘রিভিউ’ দিয়ে চাকরি খোয়ালেন টেসলা কর্মী!

ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান টেসলাতে চাকরি করা অবশ্যই বিশেষ কিছু। কারণ বিশ্বের অন্যতম সফল প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি ইলন মাস্কের এই প্রতিষ্ঠান।

টেসলা মূলত সেলফ ড্রাইভিং গাড়ি বা স্বচালিত গাড়ির জন্য জগৎখ্যাত। আর এসব গাড়ির সফটওয়্যার মোবাইল ফোনের অপারেটিং সিস্টেমের মতো প্রতিনিয়ত হালনাগাদ হতে থাকে। ফলে এর বেটা সংস্করণের পরীক্ষার জন্য টেসলা তার গ্রাহকদের টাকাও দিয়ে থাকে।

সেলফ ড্রাইভিং গাড়ি অনেকের কাছে গেমসের নেশার মতো। ফলে টেসলার আন্তরিক ভক্তের অভাব নেই। তারা এর ভালো ভালো দিকগুলো তুলে ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় রিভিউ দেয়। অনেকে অবশ্য এসব রিভিউয়ে খারাপ দিকগুলোও তুলে ধরেন।

কিন্তু যখন কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মী নিজেই সেই প্রতিষ্ঠানের পণ্যের দোষ ধরিয়ে দেন তখন নিশ্চয়ই তার জন্য পুরস্কার অপেক্ষা করেনা! ঘটেছেও তেমনই।

টেসলার কর্মী জন বারনাল তার ইউটিউব চ্যানেল ‘এআই এডিক্ট’-এ এফএসডি বেটা সফটওয়্যারের রিভিউ দিতে গিয়ে এর ত্রুটিও তুলে ধরেন। ফলে আর পায় কে? তাকে তার কৃতকর্মের জন্য চাকরি খোয়াতে হয়েছে। টেসলার সেলফ ড্রাইভিং গাড়ির ‘ফুল সেল ড্রাইভিং’ সফটওয়্যারের বেটা সংস্করণের উন্নয়নের লক্ষ্যে গ্রাহকদের কাছ থেকে মতামত নিচ্ছিল টেসলা। কিন্তু টেসলারই এক কর্মী যখন এর রিভিউ দিতে গিয়ে ইউটিউব চ্যানেলে বলে এই সংস্করণের সফটওয়্যারে গাড়ি চালানোর সময় সেটি রাস্তার পাশের একটি খুঁটিকে ধাক্কা দেয় তখন সেটা টেসলার জন্য বিব্রত হওয়ারই কথা।

যদিও তাকে চাকরি থেকে বরখাস্তের সময় এবিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়নি। তবে সিএনবিসি’র এক রিপোর্টে বলা হয়, জন বারনাল বলেন, তাকে লিখিত কিছু দেয়া হয়নি তবে তার ম্যানেজার তাকে মৌখিকভাবে বলেছে, ‘সে (জন বারনাল) টেসলার পলিসি ভেঙেছে এবং তার ইউটিউব চ্যানেল ‘স্বার্থের দ্বন্ধ’ বা কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট হিসেবে বিবেচ্য।

জন বারনাল দাবি করেন, তাদের চাকরি পলিসিতে সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে তেমন কিছু নেই। তবে সেখানে বলা আছে, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ক্ষেত্রে কমনসেন্স এবং গুড জাজমেন্ট বিবেচ্য।

স্বাভাবিকভাবেই টেসলায় চাকরি করে টেসলার পণ্যের বদনাম করলে চাকরি খোয়ানোরই কথা এবং ঘটেছেও তাই। অথচ বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো সব সময় নীতির এবং নিরপেক্ষতার কথা বলে থাকে। সে হিসেবে জন বারনাল তার ব্যক্তিগত নিরপেক্ষ মতামত দেয়ার স্বাধীনতা রাখেন। কিন্তু মুখের কথা যে বাস্তবের সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রেই মেলে না, জন বারনালের চাকরি খোয়ানো তার জ্বলন্ত উদাহরণ।

/ফিরোজ/

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়