ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘ঈদ মানেই আম্মুর হাতের চটপটি’

সাইফুল ইসলাম রিয়াদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫০, ৩ মে ২০২২   আপডেট: ১৬:৩২, ৩ মে ২০২২
‘ঈদ মানেই আম্মুর হাতের চটপটি’

নিগার সুলতানা জ্যোতি, বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক। এক নামেই তাকে চেনার কথা। তার নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলেছে বাংলাদেশ। এবারের ঈদ উল ফিতরে তিনি মুখোমুখি হলেন রাইজিংবিডির। ঈদ, নিজের ব্যক্তিগত জীবন হতে শুরু করে বিয়ে; কত কিছুই না বলেছেন এই ঈদ আড্ডায়। রাইজিংবিডির পাঠকদের জন্য তা হুবহু তুলে ধরা হলো।

ঈদের কেনাকাটা কেমন হলো?

নিগার সুলতানা: আমি একজন শপিং পাগল মানুষ। কেনাকাটা খুব পছন্দ করি। জুতোর প্রতি আলাদা আকর্ষণ আছে। প্রচুর পরিমাণ জামা-জুতো কেনা হয়। অনেক উপহার পেয়েছি; আম্মু, বাবা, ভাই ও দুলাভাই সবাই দিয়েছে।

ক্রিকেট খেলার জন্য বিদেশেও যেতে হয় প্রচুর। শপিং কি বিদেশ থেকে করেছেন?

নিগার সুলতানা:  বাংলাদেশ থেকে শপিং করেছি। বাইরে থেকে কেনার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। দেশে ভালো ভালো দোকান আছে, ঢাকা থেকে সবার জন্য কেনাকাটা করে নিয়ে এসেছি।

নিজের জন্য শুধু, নাকি পরিবারের সবার জন্য?

নিগার সুলতানা: একদম সবার জন্য। আমরা তিন ভাই বোন। আমার ভাইয়া বড়, আপু মেজ আর আমি সবার ছোট। ভাই, ভাবী, ভাইয়ের বাচ্চা, বোন-দুলাভাই, কাজের মানুষসহ সবার জন্যই কিনেছি।

পোশাকে ওয়েস্টার্ন নাকি বাঙালিয়ানা, কোনটা পছন্দ?

নিগার সুলতানা: যেখানে যেটা যায়, আসলে আমি ওটাই পছন্দ করি। অবশ্যই উৎসব থাকলে শাড়ি পরা হয়। সেখানে শাড়ি পরি। বাসায় থাকলে সাধারণ সালওয়ার-কামিজ পরা হয়। এটাও অনেক পছন্দ। শাড়িটা পছন্দ করি না। এটা পরা আমার কাছে অনেক কঠিন মনে হয়। হাঁটতে পারি না। কিন্তু পরলে খারাপ লাগে না (হাসি), ভালো লাগে। ছবি তোলা হয় অনেক। 

ঈদ নিয়ে নিশ্চয় অনেক কিছু পরিকল্পনা করে রেখেছেন?

নিগার সুলতানা:  আমাদের আত্মীয়স্বজন সবাই চলে আসছে। আমরা এক জায়গায় ঈদ করি। গত দুই বছর করোনার জন্য আসতে পারেনি। ঢাকায় ছিলাম। এবার সবাই আসতে পেরেছে। ঈদের একদিন পরেই কাজিনের বিয়ে, এ জন্য উৎসবটা আরো জমে উঠেছে।

ঈদের দিনে মূলত কী করা হয়?

নিগার সুলতানা: সকাল থেকে যা হয়। আপুর যখন বিয়ে হয়নি তখন সে বাড়ি ঘর পরিস্কার করতো, তারপর শুরু করতো রান্না বান্না। এ বিষয়গুলো এখন আমাকে করতে হয়।

বিশেষ কিছু রান্না করে খাওয়াবেন কি না?

নিগার সুলতানা: আম্মু আমাকে দেখিয়ে দেয়। আমি সবকিছু করি। আম্মু রান্না অনেক ভালো করেন, তো আমি আম্মুকে বলি তুমি এখানে বসো কীভাবে কী করতে হবে, আমাকে বলো আমি করে দিচ্ছি। আমাদের বাসায় স্পেশাল হচ্ছে চটপটি, আমি চটপটি রান্না করতে পারি। আমাদের বাসায় ঈদ মানেই আম্মুর হাতে চটপটি। এটা এখন আমি রান্না করার চেষ্টা করি। গতবার দেখিয়ে দিয়েছিল, এবার চটপটি আমি করব।  

ঢাকা/ফাহিম

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়