ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

নির্বিষ বোলিংয়ে দিন শেষ, ১৬৭ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ

সাইফুল ইসলাম রিয়াদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৩৫, ২৪ জুন ২০২২   আপডেট: ০৪:০৫, ২৫ জুন ২০২২
নির্বিষ বোলিংয়ে দিন শেষ, ১৬৭ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ

টেল এন্ডারদের দারুণ ব্যাটিংয়ে আশা জাগিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দিনের শেষভাগে বাংলাদেশি বোলাররা নির্বিষ ছিলেন। দিনশেষে কোনো উইকেট না হারিয়ে উইন্ডিজের রান ৬৭। বাংলাদেশ এখনো এগিয়ে আছে ১৬৭ রানে।  টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ ২৩৪ রান করে। টেল এন্ডারদের দৃঢ়তায় বাংলাদেশ দুইশ পার করে। শরিফুল ২৬ ও এবাদত ২১ রানে অপরাজিত থাকেন। সর্বোচ্চ ৫৩ করেন লিটন দাস। কেমার রোচকে এই ইনিংসে উইকেট দেয়নি বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন সিলস-জোসেফ। ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু করে উইন্ডিজের দুই ওপেনার। খালেদের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বল ছাড়া উইকেটের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি বাংলাদেশ। ক্যাম্পবেল ৩২ ও ব্র্যাথওয়েট ৩০ রানে অপরজিত। সাকিব-মিরাজ ও খালেদরা ছিলেন খরুচে। অন্যদিকে ইবাদত-শরিফুল কৃপণ হলেও উইকেটের দেখা পাননি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ: ২৩৪/১০ (৬৪.১ ওভার) 

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৬৭/০ (১৬ ওভার)

রিভিউতে ক্যাম্পবেলের রক্ষা, উইন্ডিজের দারুণ শুরু

শরিফুলের প্রথম বলেই ৩ রান নিয়ে ইনিংসা সূচনা করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুই চারে ওভার থেকে আসে ১১ রান। দ্বিতীয় ওভারে এসে শেষ বলে খালেদ অল্পের জন্য ক্যাম্পবেলের উইকেট নিতে পারেননি। ব্যাকফুটে গিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন ক্যাম্পবেল। বল ব্যাট মিস করে লাগে পায়ে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন ক্যাম্পবেল। বল উইকেটের উপর দিয়ে যাওয়াতে ৮ রানে জীবন পান এই ব্যাটসম্যান। জীবন পেলেও দমে যাননি। সঙ্গী ব্র্যাথওয়েট। দুজনে প্রায় প্রতি ওভারে বাউন্ডারি মারার চেষ্টা করছেন। বাংলাদেশি বোলাররা উইকেটের দেখা পাচ্ছেন না। উলটো ওভার প্রতি ৫ রানের বেশি করে নিচ্ছেন দুই ওপেনার। সাকিবকে চার মেরে দশম ওভারে দলীয় ফিফটি এনে দেন ব্র্যাথওয়েট।

শেষ দিকে শরিফুল-ইবাদতের দৃঢ়তায় বাংলাদেশের ২৩৪

লেজের সারির ব্যাটসম্যানদের কল্যাণে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ২৩৪ রানে অলআউট হয়। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে খালেদ আউট হন ১ রানে।  দলীয় ১৯১ রানে লিটন দাস আউট হলে শঙ্কা জাগে বাংলাদেশের দুইশ হওয়া নিয়ে। রোচকে টানা দুই চারে শরিফুল তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলেন সেই শঙ্কা। সঙ্গে ছিলেন ইবাদত হোসেন। লিটনকে দারুণ সঙ্গ দেওয়ার পর এবার দিলেন শরিফুলকে। ইবাদত-খালেদ জুটি যোগ করে ৩০ বলে ৩৬ রান। শরিফুল ১৭ বলে ২৬ রান করেন। আর ইবাদতের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ২১ রান। দুজনের এট ক্যারিয়ার সেরা রান।  সর্বোচ্চ ৫৩ রান আসে লিটনের ব্যাট থেকে। তামিম ৪৬ শান্ত ২৬ ও এনামুল আউট হন ২৩ রানে। দুই অঙ্কের ঘর পার হতে পারেননি সাকিব (৮)-সোহান (৭)। দ্বিতীয় সেশনে ৪ উইকেট হারিয়ে মূলত বাংলাদেশ ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছিল। সিলস-জোসেফ সর্বোচ্চ ৩ উইকেট করে নেন। অভিষিক্ত ফিলিপ ও কাইল মায়ার্স নেন ২টি করে উইকেট। কেমার রোচ কোনো উইকেটের দেখা পাননি। 

টি-টোয়েন্টি খেলে ফিরলেন শরিফুল 

কেমার রোচকে এক ওভারে ৩ চার দিয়ে রানের খাতা খোলেন শরিফুল ইসলাম। আগ্রাসী মেজাজে ছিলেন যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন। তার এমন সাহসী ব্যাটিংয়েই দুইশ পার করে বাংলাদেশ এখন আড়াইশর পথে। ৫ চারে ১৭ বলে ২৬ রান করেন এই পেসার। তার এই ক্যামিও ইনিংসে বাদ সাধেন সিলস। তার বলে বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন ব্ল্যাকউডের হাতে। ইবাদতকে সঙ্গে নিয়ে নবম উইকেটের জুটিতে যোগ করেন ৩০ বলে ৩৬ রান। এটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ রান। শুধু তাই নয় প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটেও এটি সর্বোচ্চ। ক্রিজে ইবাদতের সঙ্গী খালেদ আহমেদ। 

ফিফটির পর আউট লিটন, শরিফুলের দুই চারে বাংলাদেশের ২০০ 

সেন্ট লুসিয়া যখন ব্যাটিং ধসে বাংলাদেশ তখন একের পর এক শটে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছিলেন লিটন দাস। কখনো পুল শট আবার কখনো ফ্লিক। খেলছিলেন ওয়ানডে মেজাজে। তুলে নিয়েছিলেন ফিফটি। কিন্তু বেশিদূর যেতে পারেননি। পুল করতে গিয়েই মিডউইকেটে ধরা পড়েন ৫৩ রানে। ৭০ বলে ৮ চারে এই রান করেন লিটন। উইকেটের যে অবস্থা লিটনের দ্রুত রান তোলা ছাড়া বিকল্প ছিল না, সেটি করতেই কাটা পড়লেন লিটন। তার আউটের পর ক্রিজে আসেন শরিফুল ইসলাম। মাঠে এসেই নিজের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে টানা দুই চারে বাংলাদেশের স্কোর ২০০ পার করেন। দলীয় স্কোর দুইশ হতে লাগে ৫৮.৩ বল। রোচের এই ওভারে শরিফুল তিন চারে ১৩ রান নেন! 

 

ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে লিটনের ‘প্রথম’ ফিফটি

দল যখন একের পর এক উইকেট হারাচ্ছিল তখন লিটন এক পাশ আগলে রাখেন। ইবাদতকে সঙ্গে নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন যুদ্ধ। ওভারের পঞ্চম-ষষ্ঠ বলে রান নিয়ে নিজে ব্যাটিং প্রান্তে বেশি থাকার চেষ্টা করছেন। এর মধ্যেই ৬৬ বলে হাঁকালেন ক্যারিয়ারের ১৪তম ফিফটি। সিলসকে মিডউইকেট দিয়ে দারুণ ফ্লিকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে তুলে নেন উইন্ডিজের মাটিতে প্রথম ফিফটি। লিটনই এখন বাংলাদেশের শেষ ভরসা। আর তাকে ভরসা দেখাচ্ছেন ইবাদত। 

অহেতুক শটে মিরাজের বিদায়

মিরাজ আউটের পর ধারাভাষ্যকার বিশ্বাসই করতে পারেননি। বলছিলেন, 'লুক এট দ্য শর্ট'। যখন মিরাজের দরকার ছিল লিটনকে সঙ্গ দিয়ে সময় পার করা। তখনি মায়ার্সের শর্ট বলে পয়েন্টে খেলতে গিয়ে বদলি নামা থমাসের দারুণ ক্যাচে ফিরেন সাজঘরে। অহেতুক এই শট না খেললেও পারতেন মিরাজ।  ৩০ বলে ২ চারে ৯ রান করেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তার আউটে ভেঙে যায় ভরসা জাগানো ৫৪ বলে ২৭ রানের জুটি। ক্রিজে লিটনের সঙ্গী ইবাদত।

ব্যাটিং ধসের সেশনে ভরসা লিটন-মিরাজ 

অ্যান্টিগার তুলোনায় সেন্ট লুসিয়াতে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল দারুণ। প্রথম সেশনে ২ উইকেটে আসে ৭৭ রান। কিন্তু দ্বিতীয় সেশন আসতেই যেন সেই চেনা বাংলাদেশ। অসহায় আত্মসমর্পণ। এই সেশনে বাংলাদেশ ৪ উইকেট হারিয়ে ৮২ রান করে। একে একে আউট হয়েছেন এনামুল হক বিজয় (২৩) নাজমুল হোসেন শান্ত (২৬) সাকিব আল হাসান (৮) ও নুরুল হাসান সোহান (৭)। মাত্র ৩৩ রানের ব্যবধানে বাংলাদেশ এই ৪টি উইকেট হারায়। ৪৭.১ ওভারে বাংলাদেশ দেড়শ রান করেন। শেষ ভরসা লিটন-মিরাজ জুটি। লিটন ৩৪ ও মিরাজ ৫ রানে অপরাজিত আছেন। দিনের শেষ তারা কাটিয়ে দিতে পারলে ম্যাচে ফিরতে পারবে বাংলাদেশ।  

জোসেফের বাউন্সে ৭ রানে পরাস্ত সোহান 

আলঝারি জোসেফের লেগ স্ট্যাম্প বরারবর বাউন্সে পরাস্ত হলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান। বুঝতেই পারেননি তিনি, শেষ দিকে অনসাইডে খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দেরি হয়ে গেছে। বল গ্লাভসে লেগে উইকেটের পেছনে উপরে উঠে যায়। একহাতে বল তালুবন্দি করেন সিলভা। ১৯ বলে ৭ রান করেন সোহান। তার আউটে আরও বিপদে বাংলাদেশ। ১৩৮ রানে হারালো ৬ উইকেট। শেষ ভরসা হয়ে ক্রিজে লিটন-মিরাজ জুটি। তাদের সপ্তম উইকেটে এখন পর্যন্ত আসে ৩১ বলে ১৩ রান। 

২০ রানের ব্যবধানে আউট এনামুল-শান্ত-সাকিব

পানি পানের বিরতির পরই সিলসের বলে বোল্ড হয়ে ফিরলেন সাকিব আল হাসান। ১২৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ। তার মধ্যে ২০ রানের ব্যবধানে আউট হলেন এনামুল-শান্ত-সাকিব। সবশেষ উইকেট সাকিব। অথচ ক্রিজে দারুণ স্বাচ্ছন্দ্যে দেখা গিয়েছিল বাংলাদেশ অধিনায়ককে। রানের খাতা খোলেন দারুণ চারে। কিন্তু ৮ রানের বেশি করতে পারেননি। সিলসের আউট সাইড অফের বল পয়েন্টে খেলতে গিয়ে ইনসাইড এজ হন। বল ব্যাট হয়ে আঘাত করে উইকেটে। ৯ বলে ৮ রান আসে অ্যান্টিগা টেস্টে দুই ইনিংসে ফিফটি করা সাকিবের। ক্রিজে লিটন দাসেরর সঙ্গী নুরুল হাসান সোহান। ২০ রানের ব্যবধানে আউট এনামুল-শান্ত-সাকিব।

পরপর দুই ওভারে ফিরলেন এনামুল-শান্ত

এনামুলের পর সাজঘরে ফিরলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ফিলিপের করা ৩৪তম ওভারে সাজঘরে ফেরেন এনামুল। এর পরেই মায়ার্সের শিকার শান্ত। মায়ার্সের লেগ স্ট্যাম্পের বল অনসাইডে খেলতে চেয়েছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। কিন্তু বল ব্যাট মিস করে লাগে প্যাডে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। নাখোশ শান্ত রিভিউ নেন। দেখা যায় বল লেগ স্ট্যাম্পের একদম উপরে লেগে বেরিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আম্পায়ার্স কলের কারণে মাঠ ছাড়তে হয় শান্তকে। ড্রেসিংরুমে রিপ্লে দেখে তামিম ইকবালও আশ্চর্য হন। ৪ চারে ৭৩ বলে ২৬ রান করেন তিনি। ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। তার সঙ্গী লিটন দাস।

৮ বছর পর দলে ফিরে এনামুলের ২৩ রান

৮ বছর পর টেস্ট দলে ফিরে ৩৩ বলে ২৩ রান করে ফিরলেন এনামুল হক বিজয়। অভিষিক্ত ফিলিপের দ্বিতীয় শিকার এনামুল। অথচ আউটের আগেও এনামুল মায়ার্সকে দুই চার মেরেছিলেন। যদিও একটি ছিল ঝুঁকিপূর্ণ। আউট হতে পারতেন। পরের ওভারে আর রক্ষা হলো না। ফিলিফের নিচু হয়ে আসা বল লাগে এনামুলের পায়ে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। শেষ মুহূর্তে রিভিউ নেন এনামুল কিন্তু লাভ হয়নি। 

শান্ত-এনামুলে বাংলাদেশের সেঞ্চুরি 

অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন এনামুল হক বিজয়। কাইল মায়ার্সকে খোঁচা দিয়ে অল্পের জন্য দ্বিতীয় স্লিপে ধরা পড়েননি। বল চলে বাউন্ডারির বাইরে। এতেই ৩৩.২ ওভারে বাংলাদেশ দলীয় ১০০ রান পূর্ণ করে। একই ওভারের পঞ্চম বলে স্ট্রেইট ড্রাইভে দারুণ চার হাঁকান ৮ বছর পর দলে ফেরা বিজয়। তার সঙ্গে আছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনের জুটি থেকে এখন পর্যন্ত আসে ৬৩ বলে ৩৬ রান। 

প্রথম সেশনে ২ উইকেট হারালো বাংলাদেশ

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম সেশনে ২ উইকেট হারিয়ে ৭৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত ১৬ ও এনামুল হক বিজয় ৫ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গিয়েছেন। দলীয় ৪১ রানে মাহমুদুল হাসান জয় বোল্ড হন অভিষিক্ত অ্যান্ডারসন ফিলিপের বলে। দুইবার জীবন পাওয়া জয় ১০ রানের বেশি করতে পারেননি। তামিম ইকবাল বেশ সাবলীল ব্যাটিং করছিলেন। ভুল-ভাল শট খেলছিলেন না বললেই চলে। কিন্তু আলজারি যোসেফের লাফিয়ে ওঠা একটি বল ঠিকমতো খেলতে পারেননি। সেটি তার ব্যাট ছুঁয়ে কাভারে ব্ল্যাকউডের তালুবন্দি হয়। হাফ সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৪ রান দূরে থাকতে আউট হন তিনি। এরপর শান্ত ও এনামুল অবিচ্ছিন্ন থেকে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যান।

এবার ফিরলেন তামিম:

জয় আউট হওয়ার পর তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্ত বাংলাদেশ দলকে টেনে নিচ্চিলেন। দলীয় ৪১ রানে জয়ের উইকেট হারানোর পর তারা দুজন ১০ ওভারে ২৫ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু দলীয় ৬৮ রানের মাথায় আলজারি যোসেপের বলে ব্ল্যাকউডের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তামিম। ৬৭ বল খেলে ৪৬ রান করে যান তিনি।

অভিষিক্ত ফিলিপ ফেরালেন জয়কে:

অবশেষে ফিরলেন মাহমুদুল হাসান জয়। কেমার রোচের করা সপ্তম ওভারে দুই-দুইবার রিভিউ নিয়ে বাঁচলেও অভিষিক অ্যান্ডারসন ফিলিপের দ্বিতীয় বলেই বোল্ড হন তিনি। ৩১ বল খেলে ১ চারে ১০ রান করে যান তিনি।

তামিম-জয়ে সতর্ক শুরু বাংলাদেশের:

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সতর্ক শুরু করেছে বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান জয় দেশে-শুনে ব্যাট করছেন। যদিও সপ্তম ওভারে দুইবার জয়কে আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার। কিন্তু দুইবারই রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান তিনি। ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৩১ রান। তার মধ্যে তামিম করেছেন ২৭ রান, আর জয় ৪ রান।

বাংলাদেশ দলে দুই পরিবর্তন:

সেন্ট লুসিয়া টেস্টে টস হেরে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ দলে দুটি পরিবর্তন এসেছে। মুমিনুল হকের পরিবর্তে খেলছেন এনামুল হক বিজয়। আর মোস্তাফিজুর রহমানের পরিবর্তে খেলছেন শরিফুল ইসলাম। অন্যদিকে গুদাকেশ মোতির পরিবর্তে এই টেস্টে উইন্ডিজের হয়ে অভিষেক হয়েছে অ্যান্ডারসন ফিলিপের।

টস:

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টেও টস হেরেছেন সাকিব আল হাসান। টস জিতে বাংলাদেশ দলকে ব্যাট করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন উইন্ডিজ অধিনায়ক। বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হবে ম্যাচটি।

বাংলাদেশ দলে দুটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। মুমিনুল হকের পরিবর্তে একাদশে এসেছেন এনামুল হক বিজয়। অন্যদিকে মোস্তাফিজুর রহমানের পরিবর্তে একাদশে এসেছেন শরিফুল ইসলাম। অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে একটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। গুদাকেশ মোতির পরিবর্তে একাদশে এসেছেন অ্যান্ডারসন ফিলিপে।

বাংলাদেশের একাদশ:
তামিম ইকবাল, মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, এনামুল হক বিজয়, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), নুরুল হাসান সোহান, মেহেদী হাসান মিরাজ, এবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের একাদশ:
ক্রেইগ ব্রাথওয়েট, জন ক্যাম্পবেল, রেমন্ড রেইফার, এনক্রুমাহ বোনার, জার্মেইন ব্ল্যাকউড, কাইল মেয়ার্স, জশুয়া ডি সিলভা, আলজারি যোসেফ, কেমার রোচ, জয়ডেন সিলস ও অ্যান্ডারসন ফিলিপ।

এন্টিগায় প্রথম টেস্টেও টস হেরেছিল বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ১০৩ রানে অলআউট হয়েছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪৫ রান করলেও বাংলাদেশ হেরে যায় ৭ উইকেটে। এখন দেখার বিষয় নতুন এবং অচেনা ভেন্যুতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে ঘুরে দাঁড়াতে পারে কিনা বাংলাদেশ।

ঢাকা/আমিনুল/রিয়াদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়