ঢাকা     শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ ||  শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

সাকিব থাকলেও তাইজুল বড় ভূমিকায়

ক্রীড়া প্রতিবেদক, সিলেট থেকে || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:১৫, ২৯ নভেম্বর ২০২৩  
সাকিব থাকলেও তাইজুল বড় ভূমিকায়

দুজনই বাঁহাতি স্পিনার। উপমহাদেশের কন্ডিশনে দুজনের একসঙ্গে মাঠে নামা নিয়মিত ঘটনা। কিন্তু বাইরের কন্ডিশনে টিম কম্বিনেশনে একজন বাদ পড়েন। দলের সেরা তারকার সঙ্গে অধিনায়ক এবং ব্যাটিংয়ে এগিয়ে থাকায় সাকিব অটোমেটিক পছন্দ। তাইজুলকে তাই আড়ালে থাকতে হয়।

তবে সাকিবের অনুপস্থিতিতে তাইজুলই সব। স্পিন আক্রমণে নেতৃত্ব দেওয়া থেকে শুরু করে দলের কাণ্ডারি হয়ে উঠেন। আবার দুজন একসঙ্গে মাঠে নামলে দায়িত্বটা ভাগাভাগি হয়ে যায়। সাকিবের টেস্ট ক্যারিয়ার এখন পেন্ডুলামে ঝুলছে। অনেক আগে থেকেই সাকিব টেস্ট খেলছেন নিজের ইচ্ছে মতোন। সাদা পোশাকের খেলা হলে ছুটি নেওয়া এবং দেশের খেলা বাদ দিয়ে আইপিএলে অংশগ্রহণ করার ঘটনাও আছে। তার প্রয়োরিটি লিস্টে এখন টেস্ট নেই। তাই বাঁহাতে স্পিন আক্রমণের দায়িত্বটা সামলাতে হচ্ছে তাইজুলকে।

নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেট টেস্টে তাইজুল বেশ ভালো দায়িত্ব পালন করেছেন। ৩০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৮৯ রানে পেয়েছেন ৪ উইকেট। শিষ্যর বোলিং সাফল্যে বেশ খুশি স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ। তবে সাকিবের অনুপস্থিতিতেই যে তাইজুলের ওপর বাড়তি দায়িত্ব পড়ে তা মানতে চাইলেন না। জানালেন, সাকিব থাকলেও তাইজুলকে বড় ভূমিকা দেওয়া হয়।

তার ভাষ্য, ‘খেলুক আর না-ই খেলুক, তাইজুল আমাদের জন্য বড় ভূমিকা পালন করে। সে আক্রমণাত্মক ও রক্ষণাত্মক— দুটি ভূমিকাই পালন করে থাকে। সে সব সময়ই তার লাইন ও লেংথের ওপর নির্ভর করে।’

তাইজুলের প্রশংসা করে হেরাথ আরও বলেছেন, ‘তাইজুল আমাদের সব সময়ই আক্রমণাত্মক বোলার। আমাদের লিডিং স্পিনার। নিউ জিল্যান্ডের ওপর বেশ চাপ তৈরি করেছে। তার অভিজ্ঞতা দারুণ এবং যথেষ্ট জ্ঞান ও বোঝাপড়া রয়েছে। আমি খুশি যে চারটা উইকেট পেয়েছে।’

বাংলাদেশ সিলেট টেস্টে ভালো অবস্থায় আছে। ৩১০ রানের পুঁজি নিয়ে নিউ জিল্যান্ডের ৮ উইকেট তুলে নিয়েছে ২৬৮ রানে। সফরকারীরা হাতে ২ উইকেট রেখে ৪৪ রানে পিছিয়ে। ভালো অবস্থায় থাকা বাংলাদেশের লক্ষ্য প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়ার, ‘আমি মনে করি আমাদের স্পিনাররা দারুণ বোলিং করেছে। আমরা কিছুটা চাপ তৈরি করতে পেরেছি। ৮ উইকেট তুলে নিয়েছি। তাতে দিনটা আমাদের হয়েছে।’

নিজেদের ভালো দিনে বাংলাদেশ তিনটি সুযোগ হাতছাড়া করেছে। কেন উইলিয়ামসনের দুটি ক্যাচ ছেড়েছে। সঙ্গে ড্যারিল মিচেলের ক্যাচ নিয়ে রিভিউ না নিয়ে সাফল্য মেলেনি। এই দুই সুযোগ হাতছাড়ার আক্ষেপ ঝরল তার কণ্ঠে, ‘আপনি যদি সুযোগ হাতছাড়া করেন তা বেশ ব্যয়বহুল হয়ে যাবে। কেন উইলিয়ামসনের উইকেট দিয়ে বোঝা যাচ্ছে। ৬৩ ও ৭১ রানে ক্যাচ দিয়েছিল। আমরা নিতে পারিনি। পরবর্তীতে সে শতক হাঁকিয়েছে। আমাদেরকে সুযোগ দিয়েছিল কিন্তু আমরা নিতে পারিনি।’

৩০ নভেম্বর হেরাথের সঙ্গে বিসিবির চুক্তি শেষ হচ্ছে। কাল কাজ করেই আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেবেন তিনি। তাকে পরবর্তীতে পাওয়া যাবে কিনা নিশ্চিত নয়। বিসিবির ইচ্ছা তাকে রেখে দেওয়ার। হেরাথেরও চুক্তি করার ইচ্ছা রয়েছে। কিন্তু নিজের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিয়ে দরকষাকষি করছেন শ্রীলঙ্কান এই কোচ।

নিজের অবস্থান জানাতে গিয়ে হেরাথ আজ বলেছেন, ‘আমি বিসিবির সঙ্গে আলোচনা করছি কিভাবে সামনে তাকানো যায়। যদি হয় সেটা ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে নয় অবশ্যই। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে।’

ইয়াসিন/আমিনুল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়