বাবার ২৫ বছর পর বাংলাদেশে খেলতে আসছেন ছেলে
পঁচিশ বছর আগে বাংলাদেশ আয়োজন করেছিল ‘মেরিল ইন্টারন্যালশনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট-১৯৯৯’। যেখানে স্বাগতিক দেশ ছাড়াও অংশ নিয়েছিল জিম্বাবুয়ে ও কেনিয়া। সেবার জিম্বাবুয়ে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেল।
বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে তিনি ৪ চারে ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন। এরপর বল হাতে ৫ ওভারে ২৫ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। দ্বিতীয় ম্যাচে বল হাতে কোনো উইকেট না পেলেও ব্যাট হাতে ৯৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে জেতান। হন ম্যাচসেরাও।
১৯৯৯ সালে ক্যাম্পবেল যখন বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন তখন তার ছেলে জোনাথান ক্যাম্পবেলের বয়স ছিল ১ বছর ৩ মাস। বাবার সেই সফরের ২৫ বছর পর ছেলে জোনাথান খেলতে আসছেন বাংলাদেশে। বাংলাদেশের বিপক্ষের পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজকে সামনে রেখে জিম্বাবুয়ে আজ ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে। সেই দলে নতুন মুখ হিসেবে আছেন জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেলের ২৬ বছর বয়সী ছেলে জোনাথান।
জাতীয় দলে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা এই অলরাউন্ডার এ পর্যন্ত ৩০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে চারটি সেঞ্চুরি ও ৮টি হাফ সেঞ্চুরিতে রান করেছেন ১৬৭৮। সর্বোচ্চ ইনিংসে ১৯৪। বল হাতে নিয়েছেন ৩৯ উইকেট। এক ইনিংসে সেরা বোলিং ফিগার ৬২ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট।
৩৯টি লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেট ম্যাচে ৮ হাফ সেঞ্চুরিতে রান করেছেন ১০৬৩। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ ৭৬। উইকেট নিয়েছেন ২৭টি। সেরা বোলিং ফিগার ২৮ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট।
এছাড়াও ২৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে রান করেছেন ২৯৩টি। উইকেট নিয়েছেন ১০টি। সেরা বোলিং ফিগার ১৯ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট।
তার বাবা অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেল জিম্বাবুয়ের হয়ে ৬০টি টেস্ট, ১৮৮টি ওয়ানডে খেলেছিলেন। টেস্টে ২ সেঞ্চুরি ও ১৮ হাফ সেঞ্চুরিতে রান করেছিলেন ২৮৫৮টি। সর্বোচ্চ ছিল ১০৩ রানের ইনিংস। ওয়ানডেতে ৭টি সেঞ্চুরি ও ৩০ হাফ সেঞ্চুরিতে রান করেছিলেন ৫১৮৫টি। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ ছিল অপরাজিত ১৩১।
ওয়ানডেতে ৩০ ইনিংসে উইকেট নিয়েছিলেন ১২টি। সেরা বোলিং ফিগার ২০ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট।
৩ মে থেকে চট্টগ্রামে শুরু হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। চলবে ১২ মে পর্যন্ত। প্রথম তিন ম্যাচ হবে চট্টগ্রামে। বাকি দুই ম্যাচ হবে ঢাকায়।
ঢাকা/আমিনুল