ঢাকা     শনিবার   ০৪ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২১ ১৪৩১

এসএসসি পরিক্ষার্থীদের লাঞ্ছনা, প্রধান শিক্ষকের প্রত্যাহার দাবি

নরসিংদী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:২১, ২৫ জানুয়ারি ২০২৪  
এসএসসি পরিক্ষার্থীদের লাঞ্ছনা, প্রধান শিক্ষকের প্রত্যাহার দাবি

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ে ঢুকতে না দেওয়া, টাকা নিয়েও খরচ না করা, নিম্নমানের খাবার পরিবেশন ও অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে নরসিংদী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে শহরের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলনে নামে।

বিদায়ী এসএসসি পরীক্ষার্থী লুবানা, শাহরিয়া ও  হামজা জানায়, আজ বিকেলে আমাদের দশম শ্রেণীর বিদায় অনুষ্ঠান ছিল। বিদায় অনুষ্ঠানে একটি প্যান্ডেল ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। তার সাথে বিভিন্ন আয়োজনও থাকে। কিন্তু আজকে স্কুলে এসে দেখি এখানে কোন আয়োজনই করা হয়নি। আমাদেরকে ভিতরে ঢুকতে দেয়নি, পরবর্তীতে জোর করে আমরা স্কুলে ঢুকি। আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদেরকে বিদায় দেওয়ার কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষক শিউলি আক্তার তা করেনি। পরে স্কুলের অন্য শিক্ষকরা কোনোরকমভাবে গোজামিল দিয়ে আমাদের বিদায় দেওয়ার চেষ্টা করলেও উনি বার বার বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বাধা দেন। পরবর্তীতে হলরুমে তিনজন শিক্ষককে নিয়ে মাত্র তিন মিনিটের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করার নির্দেশ দেযন। তিন মিনিটের মধ্যে আমাদেরকে বিদায় দিয়ে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করে। এসময় আমাদেরকে এতটাই নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয় যা মুখে তোলা যায় না। অথচ প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে দেড়শ’ করে টাকা নেওয়া হয়েছে এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে। উনি একজন প্রতিষ্ঠান প্রধান হয়েও আমাদেরকে বিদায় দিতে আসেননি।  আমাদের স্কুলে ৬০ জন শিক্ষক ছিল কিন্তু বিদায় অনুষ্ঠানে উনি কাউকে আসতে বলেন নি। উনি নিজে অফিস কক্ষে বসেছিলেন। মাত্র তিন জন শিক্ষককে পাঠিয়েছেন। বসে বসে সবকিছু পরিচালনা করছিলেন। প্রধান শিক্ষক শিউলি আক্তার গত দুই বছর আগে আমাদের স্কুলে এসেছেন। উনি আসার পরপর বিভিন্ন অজুহাতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফান্ডের নামে টাকা তোলা হয়। প্রতিদিন আমাদেরকে যে খাবার দেওয়া হয় তা খুবই খারাপ খাবার। এর প্রতিবাদ করলে বিভিন্নভাবে আমাদেরকে উনি মানসিক নির্যাতন করেন। আমাদের অনেক সহপাঠীকে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে স্কুল থেকে বের করে দিয়েছেব উনি। উনাকে যতক্ষণ পর্যন্ত প্রত্যাহার না করা হবে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

অভিযোগের বিষয়ে নরসিংদী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিউলী আক্তার বলেন, বাচ্চারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে। সাংবাদিকদের আমি সবকিছু বলতে বাধ্য নই।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা সুলতানা নাসরিন বলেন, শিক্ষার্থীদের সাথে আমার কথা হয়েছে। সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করে। পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।

হৃদয়/ফয়সাল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়