শেষ সময়ে দম ফেলার ফুরসত নেই দর্জিপাড়ার কারিগরদের
পটুয়াখালী (উপকূল) প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
কেউ তৈরি করছেন পাঞ্জাবি, কেউ তৈরি করছেন শার্ট, কেউবা আবার প্যান্ট, কেউবা নাইরা কিংবা তৈরি করছেন লেহেঙ্গা। অনেক দর্জি আবার কাপড় কাটায় ব্যস্ত।
দেখে মনে হয় শেষ সময়ে জেলার সকল দর্জিদের যেন দম ফেলার ফুরসত নেই। ঈদের বাকি আর মাত্র ৫ দিন। তাই গ্রাহকের চাহিদা মতো ব্যতিক্রমী ডিজাইনের পোশাক ঈদের আগে হাতে পৌঁছে দিতে দিন-রাত মিলিয়ে কাজ করছেন তারা।
মূলত আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে পছন্দসই পোশাকে নিজেদের ফুটিয়ে তুলতেই দর্জিদের কাছে পোশাক তৈরি করতে যাওয়া হয় বলে জানান গ্রাহকরা। তবে বিগত বছরগুলোর তুলনায় কাপড়ের দাম এবং দর্জিদের মজুরি অনেকটা বাড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের। তবে ইচ্ছাকৃত নয় সুঁই-সুতোর দাম বাড়ায় আগের তুলনায় কিছুটা মজুরি বাড়ানো হয়েছে বলে দাবি দর্জিদের।
কলাপাড়া পৌর শহরের নতুন বাজার এলাকায় শার্ট বানাতে আসা গ্রাহক বাবুল মিয়া বলেন, বাজারে হরেক রকমের জামা কাপড় কিনতে পাওয়া যায়। তবে মন মতো পাওয়া যায় না। আমি একটি শার্ট বানিয়েছি। সঙ্গে দুটো পকেট দিয়েছি। বাজারে তো দুই পকেটওয়ালা শার্ট পাওয়া যায় না। তাই দর্জির কাছ থেকে পোশাক বানাতে এসেছি। তবে গত বছরের তুলনায় দর্জিরা মজুরি অনেক বাড়িয়েছে।
অপর গ্রাহক রিমন মিয়া বলেন, আমি মূলত সব সময় জুব্বা পাঞ্জাবি পড়ি। এই পাঞ্জাবি কোন সময়ই কিনতে পাওয়া যায় না। পাওয়া গেলেও মাপে হয় না। তাই প্রতিবার দর্জিদের কাছ থেকে বানাই। এবছরও বানাতে এসেছি। তবে ঈদের আগে দিতে পারবে কিনা সেটা নিয়েই চিন্তায় আছি। আর আগের তুলনায় কাপড় এবং মজুরি দুটোই বেশি দিতে হচ্ছে।
কলাপাড়া পৌর শহরের নীলগঞ্জ বস্ত্রালয়ের দর্জি মামুন বলেন, প্রতি মাসে অনেক সময় কাজ না থাকায় আমাদের অলস সময় কাটাতে হয়। ঈদ আসলে একটু কাজ বাড়ে। তবে এ বছর কাজের চাপ অনেক বেশি। এক সপ্তাহ পর্যন্ত রাতে মাত্র ৩ থেকে ৪ ঘন্টা ঘুমাই। বাকি সময় গ্রাহকদের পণ্য কাঙিক্ষত সময়ে পৌঁছাতে কাজ করছি।
দর্জি ইসমাইল বলেন, আমরা তো দাম বাড়াইনি। বাজারে সুঁই সুতাসহ সব জিনিসের দাম বাড়ছে। তাই আগের তুলনায় সামান্য মজুরি বাড়িয়েছি।
কলাপাড়া পৌর শহর বন্দর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বলেন, গ্রাহকরা যাতে সহনীয় দামে দর্জিদের কাছ পোশাক বানাতে পারে এবং দর্জিরাও যাতে ন্যায্যমূল্য পায়; এজন্য ব্যবসায়ী সমিতির তদারকি রয়েছে।
ইমরান/ফয়সাল
আরো পড়ুন