ঢাকা     শনিবার   ০৪ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২১ ১৪৩১

কার্গোর ধাক্কায় ব্রিজ ভেঙে পড়ার ১৬ দিনেও কোনো পদক্ষেপ নেই 

বরগুনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২২, ৮ এপ্রিল ২০২৪   আপডেট: ১৩:৩০, ৮ এপ্রিল ২০২৪
কার্গোর ধাক্কায় ব্রিজ ভেঙে পড়ার ১৬ দিনেও কোনো পদক্ষেপ নেই 

বরগুনার পাথরঘাটার হলতা খালে মালবাহী কার্গোর ধাক্কায় সোনার বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলজিইডির আয়রন ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় ১৬ দিন ধরে এই পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

এতে সোনার বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শতকর সোনার বাংলা প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা, কলেজের শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীসহ প্রায় দেড় হাজার মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। দেখা দিয়েছে চরম দুর্ভোগ।

গত‌ শনিবার (২৩ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার হলতা নদীর খালের ওপর এলজিইডির আয়রন ব্রিজটি কার্গোর ধাক্কায় মাঝের অংশ ভেঙে খালে পড়ে যায়। দুর্ঘটনার পর বাল্কহেডের চালক ও তার সহকারীরা সাঁতরে তীরে ওঠেন। তবে, সেতুর ভাঙা অংশ বাল্কহেডের ওপরে পড়লে বাল্কহেডটি চাপা পড়ে যায়। এতে শিক্ষার্থীসহ দুই পারের বাসিন্দাদের পারাপার বন্ধ হয়ে গেছে। দুর্ঘটনার ১৬ দিন পার হলেও এখনো ব্রিজটি মেরামত করে চলাচল উপযোগী করে দেয়নি এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। 

সোনার বাংলা এলাকার বাসিন্দা কাইয়ুম হাওলাদার বলেন, ঈদের আগ মুহূর্তে ব্রিজটি পুনঃ নির্মাণ না করতে পারলেও অন্তত মেরামত করে দিতে পারতো। অদক্ষ কার্গো চালকের কারণে ব্রিজটি ভেঙে যায়। কার্গো মালিক এসে কার্গো ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে আমরা পাথরঘাটা এলজিইডি অফিসে জানাই। কিন্তু তারা গুরুত্ব না দেওয়ায় এলাকার লোকজন কার্গো ব্রিজের নিচ থেকে বের করে নিয়ে যেতে দেয়নি। ভাঙা ব্রিজের জন্য গোটা এলাকার মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে।

হলতা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা বাবুল হোসেন বলেন, প্রতিদিন এই ব্রিজ দিয়ে দেড় থেকে দুই হাজার মানুষ পারাপার হতো। ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় এখন উল্টো পথে ১৪/১৫ কিলোমিটার পথ উল্টো ঘুরে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়। আমরা এলজিইডি, ইউএনও ও উপজেলা চেয়ারম্যানের দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তু সমাধান হয়নি। 

এলজিইডির পাথরঘাটা উপজেলা প্রকৌশলী চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, বরাদ্ধ না থাকায় দ্রুত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। ব্রিজটির ক্ষয়ক্ষতি দেখে প্রাক্কলন তৈরি করা হয়েছে। জুনের আগেই আমরা কাজ করাতে পারবো। 

ইমরান/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়