ঢাকা     শনিবার   ০৪ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২১ ১৪৩১

ইনসেপটায় এসিড লিকেজ: যা বললেন বিশেষজ্ঞ

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:২৬, ১২ এপ্রিল ২০২৪   আপডেট: ০৯:৩১, ১২ এপ্রিল ২০২৪
ইনসেপটায় এসিড লিকেজ: যা বললেন বিশেষজ্ঞ

ঢাকার ধামরাইয়ে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাতে ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালসের কারখানায় নাইট্রিক এসিড লিকেজ হয়। উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের বারবাড়িয়া এলাকায় ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালসেএ দুর্ঘনা ঘটে। তবে, ওই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। যদি কোনো কারণে নাইট্রিক এসিড ছড়িয়ে পড়ত, তাহলে তা মানবদেহে ঝুঁকি তৈরি করত বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ। 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আরজু মিয়া বলেন, দুই ধরণের এসিড রয়েছে। এটা যদি ঘনীভূত হয়, তবে তা থেকে অনেক ক্ষতির আশঙ্কা আছে। কারো গায়ে লাগলে পুড়ে যাবে। আর যদি ডাইলোড হয়, তাহলে তুলনামূলকভাবে ক্ষতি কম হবে। তবে, পোড়ার সম্ভাবনা আছে। যেকোনো এসিডই গায়ে লাগলে চামড়া পুড়ে যাবে। যদি কম্পিটেড হয়, ক্ষতি বেশি হবে। 

আরও পড়ুন: ইনসেপটা ফার্মায় নাইট্রিক এসিড লিকেজ

তিনি আরও বলেন, এসিডের ধোঁয়া যদি মানুষের শরীরে বেশি পরিমাণে যায়, তাহলে ক্ষতি হবে। কারণ, ধূমায়িত এসিড, এতে যাদের অ্যাজমা সমস্যা আছে, তাদের বেশি ক্ষতির কারণ হবে। স্বাভাবিক মানুষেরও ক্ষতি হতে পারে। দেখতে হবে, কী পরিমাণ নিঃশ্বাসে গেছে। যদি বেশি যায়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) খান মো. আব্দুল্লা আল মামুন বলেন, ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালসে এসিড লিকেজের বিষয়টি আমার জানা আছে। এটি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আপাতত সমস্যা নেই। ফায়ার সার্ভিস পরিষ্কার করে ফেলেছে।

ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, সেখানে সালফার এসিড ও নাইট্রিক এসিডের দুইটি কন্টেইনার ফেটে পড়ে যায়। তখন কারখানার লোকজন বালু নিক্ষেপ করে সেখানে। ফায়ার সার্ভিস গিয়েছিল। অন্য কোনো ঘটনা নেই।

ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালসের সহকারী এডমিন অফিসার ফাইজুর রশিদ বলেন, আমাদের এখানে জার্মানি ও বাংলাদেশের জয়েন্ট ভেঞ্চারে সুইচ বায়োফ্যাক্টরি আছে। এখানে যে জিনিস বানানো হয়, সেখানে একটি এসিডের ড্রাম খুলে পড়ে ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। ধামরাই থানা পুলিশ এসেছিল। ফায়ার সার্ভিস এসে সেটি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ধামরাই ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সোহেল রানা বলেন, গতকাল রাত ৯টার দিকে খবর পেয়ে ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালসের কারখানায় আসি। নাইট্রিক এসিড যেখানে রাখা হয়েছিল, সেখান থেকে সেটি পড়ে যায়। আমরা পানি দিইনি, যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে। আগুন লাগেনি। ধামরাই ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ও মানিকগঞ্জের একটি ইউনিট এবং ইপিজেড থেকে কেমিক্যাল টেন্ডারসহ মোট পাঁচটি ইউনিট সেখানে আসে।

সাব্বির/মাসুদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়