ঢাকা     শনিবার   ০৪ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২১ ১৪৩১

চাঁদপুরে ফরিদগঞ্জের বিখ্যাত আউয়ালের মিষ্টি

চাঁদপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:০৫, ২৩ এপ্রিল ২০২৪  
চাঁদপুরে ফরিদগঞ্জের বিখ্যাত আউয়ালের মিষ্টি

ছবি- সংগৃহীত

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ বাজারে উৎসব ছাড়াই আউয়ালের মিষ্টি খেতে সারাবছর ভিড় লেগে থাকে। ১৯৫২ সাল থেকে প্রতিষ্ঠিত এই দোকানে দিন দিন বাড়ছে তাদের তৈরিকৃত মুখরোচক মিষ্টির চাহিদা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে হাজী আউয়ালের মিষ্টির দোকানে গেলে এসব তথ্য জানা যায়। এখানকার তৈরিকৃত মিষ্টি দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও যাচ্ছে বলে আউয়াল সুইটস দোকানটিকে বলা হয় ফরিদগঞ্জের আভিজাত্যের প্রতীক।

আউয়াল সুইটস এর কারিগর মো. নেয়ামত বলেন, ১৯৯১ সাল থেকেই আমি এখানে মিষ্টি তৈরির কারিগর হিসেবে যোগ দিয়েছি। এখানকার নামকড়া স্পঞ্জের রসগোল্লাগুলো তৈরির প্রথম ধাপে দুধকে জাল দিয়ে ছানা তৈরি করা হয়। এরপর দুধ আগুনের জ্বালে কড়াইয়ে উতরানোর পর ভালোভাবে নেড়েচেড়ে জাল দিয়ে ছানা কাটা হয়। তারপর ছানাগুলোর পানি ছাড়িয়ে এরসাথে ময়দা ও চিনি মিশিয়ে দিয়ে রসগোল্লা মিষ্টি তৈরি করা হয়।

হাজী আউয়াল সুইটসের পরিচালক হারুনুর রশীদ বলেন, পারিবারিকভাবে কথিত রয়েছে এই দোকানের প্রতিষ্ঠাতা হাজী আব্দুল আউয়াল অর্থাৎ আমার আব্বা যখন ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়তেন। তখন থেকেই তিনি এখানে ছোট পরিসরে মিষ্টি বিক্রি শুরু করেন। এরপর কালের পরিক্রমায় তার তৈরিকৃত স্পঞ্জের রসগোল্লা দিনদিন সবার মুখে মুখে আউয়ালের মিষ্টি নামে পরিচিত লাভ করে।

বর্তমানে দোকানটিতে স্পঞ্জের রসগোল্লা ছাড়াও শুকনা মিষ্টি, কালোজাম, মালাইকারী, দধি, রসমলাই ও ছানা তৈরি হয়। এরমধ্যে রস মিষ্টি ৩৬০ টাকা, শুকনা মিষ্টি ৩২০ টাকা, দই ১ বাটি ২৬০ টাকা, মালাইকারি ১ বাটি ৪৭০ টাকা, রসমালাই ১ বাটি ৪২০ টাকা, ছানা ১ কেজি ৬শ’ টাকা, টপি ১ কেজি ৫৪০ টাকা এবং আংকুরি ১ কেজি ৫২০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতারা জানান, উৎসব পার্বন তো রয়েছেই। রাজনৈতিক চর্চা কিংবা ঘুরাঘুরি। ফরিদগঞ্জের সব কিছুতেই মিষ্টির প্রয়োজন পড়া মানেই প্রথম পছন্দে থাকে আউয়ালের মিষ্টি। আর বর্তমান বাজার দর হিসেবে দামও সহনশীল থাকায় আমরা এখানকার মিষ্টিই দেশ বিদেশে পাঠাচ্ছি।

এ বিষয়ে হাজী আউয়াল সুইটসের প্রধান পরিচালক আব্দুল আখের বলেন, এখানে দিনে মিষ্টির চাহিদা মিটাতে ৩৫ থেকে ৪০ মণ দুধ লাগে। কখনো কখনো অর্ডার থাকলে বা বিশেষ দিনে চাহিদা থাকলে আরও ২০/২৫ মণ দুধ সংগ্রহ করতে হয়। আর এতো এতো দুধের যোগান দিতে নিজেদের খামারের পাশাপাশি ২০/২৫ জন খামারি এবং ৮/১০ জন গোয়ালা নিয়মিতই এখানে দুধ দেয়। পুরো দোকান ও কারখানায় ৩০ জনের অধিক লোক কাজ করছে। আমার আব্বা হাজী আব্দুল আউয়াল বয়সের ভারে নুইয়ে পড়ায় আমরা তার ৭ ছেলে ও ৪ মেয়ের মধ্যে ২/৩ জন ছেলে নিয়মিতই সময় দিয়ে এখানে দোকান ও কারখানা পরিচালনা করছি। স্বাভাবিকভাবে এখানে আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকা এবং ঈদ-পূজা-পার্বণে ১০/১২ লাখ টাকার মিষ্টি বিক্রি হচ্ছে।

জয়/ফয়সাল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়