সূচকের পতন, লেনদেন ফের ৩০০ কোটির ঘরে
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (২৯ মে) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন সকাল থেকেই সূচকের উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন চলতে থাকে। কিন্তু, লেনদেন শুরুর তিন ঘণ্টা পর সূচক পতনমুখী হতে শুরু করে। দিনশেষে সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন সমাপ্ত হয়।
এদিন আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে। ডিএসইতে লেনদেন কমে ৩০০ কোটির ঘরে নেমে এসেছে। একইসঙ্গে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।
ডিএসই ও সিএসই’র ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৫০.৩৫ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২২৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসই শরিয়া সূচক ১৩.৫৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৩৮ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১৬.৭৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৬৪টি কোম্পানির, কমেছে ২৮৬টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৪টির।
ডিএসইতে এদিন মোট ৩০৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪৪০ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক ৯৫.৩৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯ হাজার ৭৪ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৫৫.৭৮ কমে ১৫ হাজার ৮৪ পয়েন্টে, শরিয়া সূচক ৭.০৮ পয়েন্ট কমে ৯৮৮ পয়েন্টে এবং সিএসই৩০ সূচক ১৪৮.৪৩ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ৬১৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন সিএসইতে ২২২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৩৭টি কোম্পানির, কমেছে ১৬৭টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮টির।
দিনশেষে সিএসইতে ৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১৭০ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
এনটি/রফিক