‘বিশেষ শিশুর শিক্ষা ও অভিভাবকদের করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
![‘বিশেষ শিশুর শিক্ষা ও অভিভাবকদের করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত ‘বিশেষ শিশুর শিক্ষা ও অভিভাবকদের করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2024April/usha-2405230452.jpg)
ছবি: রাইজিংবিডি
‘বিশেষ শিশুর শিক্ষা ও অভিভাবকদের করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২২ মে) রাজধানীতে এ কর্মশালার আয়োজন করে ঊষা শিশু বিকাশ কেন্দ্র।
ঊষা শিশু বিকাশ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সালমা তালুকদারের পরিচালনায় ‘শিশুদের যত্ন, মনোবল বৃদ্ধির উপায়, শিশুদের বিকাশ’ বিষয়ে কর্মশালায় আলোচনা করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রান্সফরমেটিভ এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ এর নির্বাহী পরিচালক ও ফ্যাকাল্টি মেম্বার সিফাত আল হাসনাত এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রান্সফরমেটিভ এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ এর পরিচালক সোমাইয়া ফাতিমা।
কর্মশালায় সিফাত আল হাসনাত বলেন, বিশেষ শিশুদের প্রতি অভিভাবকদের বেশি যত্নশীল হতে হবে। প্রত্যেক বাবা-মা তাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন। সামনে আসা কঠিন চ্যালেঞ্জ সন্তানরা কীভাবে মোকাবিলা করবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন। শিশুর মনোবল বাড়াতে পরিবার ও পিতামাতার পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের ভূমিকাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের যত্ন বা বিকাশ ত্বরান্বিত করা মানে শুধু তাদের স্বাস্থ্যের বা শিক্ষার প্রতি যত্নশীল হওয়া নয় বরং তাদেরকে প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করে তোলাও। শারীরিক সুস্থতার সঙ্গে সঙ্গে মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করাও গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের সঙ্গে অভিভাবকদের আবেগিক সম্পর্কের ভিত মজবুত না হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রেই তারা জীবন সম্পর্কে অসচেতনতাবশত ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে। আশা করবো কর্মশালাটি এ বিষয়ে সচেতনতা ও গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করবে।
সোমাইয়া ফাতিমা বলেন, শিশুরা স্বভাবতই বিভিন্ন গল্প শুনতে আগ্রহী হয়। সেই গল্পের নায়ক বা হিরোদের মতো করে নিজেদেরকে কল্পনা করে। তাই তাদের সামনে যদি অভিভাবক বা শিক্ষকেরা নিজেদের জীবনের সাহসী হয়ে ওঠার গল্পগুলো যেগুলো শিশুদেরকেও ঝুঁকি মোকাবিলায় উৎসাহিত করতে পারে, সেগুলো উপস্থাপন করে তাহলে শিশুরা সাহসী হয়ে ওঠার উৎসাহ পাবে। বড় সমস্যাগুলো শিশুদের ছোট ছোট ধাপে সমাধান করতে সহায়তা করার জন্য অভিভাবকদের ভূমিকা নিতে হবে। এই ছোট ছোট ধাপগুলো তাদের মনোবল বাড়াতে বড় ভূমিকা পালন করবে।
সালমা তালুকদার বলেন, কর্মশালাটিতে অভিভাবকদের মতামত, অতিথিদের অভিজ্ঞতা ও গল্পগুলো শুনে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন নিয়ে আসবে। পিতামাতা বা অভিভাবক কিংবা শিক্ষকেরা সব সময়ই কোমলমতি শিশুদের সব ধরনের সমস্যা থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেন। এতে করে তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে যেতে পারে। শিশুদের মাঝে যদি প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলার মনোবল না থাকে তাহলে কখনোই তারা জীবনে সফল হতে পারবে না। তাই শিশুদের নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে উৎসাহ দেওয়া উচিত।
কর্মশালায় ঊষা শিশু বিকাশ কেন্দ্রের শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
/এসবি/
আরো পড়ুন