সেই অভিনেত্রীর পাশে ওমর সানি
জ্যেষ্ঠ বিনোদন প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
বাংলাদেশের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র মুখ ও মুখোশের অভিনেত্রী বিলকিস বারী। সংসার চালাতে জীবনের শেষের দিনগুলো মানুষের কাছে হাত পাততে হয়েছে তাকে। তার মৃত্যুর পর তার মেয়ে অভিনেত্রী ভুলু বারীরও জীবন কাটছে মানুষের কাছে হাত পেতে। করোনার প্রাদুর্ভাবে খাদ্যহীন গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন ভুলু বারী।
আজ রোববার ‘অভিনেত্রীর ঘরে খাবার নেই, ভিক্ষার দরজাও বন্ধ’ শিরোনামে রাইজিংবিডিতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর পরই বিষয়টি নজরে আসে জনপ্রিয় অভিনেতা ওমর সানির। এই প্রতিবেদকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভুলু বারীর মুঠোফোন নাম্বার ও ঠিকানা সংগ্রহ করে ভুলু বারীর খোঁজ খবর নেন এবং সহযোগিতা করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে ওমর সানি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘প্রথমেই আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি রাইজিংবিডিকে। তাদের এই প্রতিবেদন না দেখলে আমরা জানতাম না তার সমস্যার কথা। আমি ভুলু বারীর সঙ্গে কথা বলেছি। তার খোঁজ খবর নিয়েছি। যতটুকু পেরেছি তাকে সহযোগিতা করছি। আল্লাহ যেন তাকে হায়াতে তৈয়েবা দান করেন। আমি তার সুস্থতা কামনা করছি।’
আরো পড়ুন: অভিনেত্রীর ঘরে খাবার নেই, ভিক্ষার দরজাও বন্ধ
ভুলু বারী বিএফডিসিতে পরিচিতদের কাছে টাকা চেয়েই বাড়ি ভাড়া ও পরিবারের খরচ জোগাড় করতেন। এদিকে মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে এসেছে করোনাভাইরাস। এফডিসির সকল কার্যক্রম বন্ধ। জনমানবহীন, নীরব-নিস্তব্ধ এফডিসি। স্বাভাবিক কারণে ভুলু বারীর ভিক্ষা করার দরজাও এখন বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
এর আগে দুর্যোগময় এই অবস্থায় কেমন আছেন ভুলু বারী? তা জানতে রাইজিংবিডির এই প্রতিবেদক কথা বলেন তার সঙ্গে। ভুলু বারী তখন বলেছিলেন, ‘আজ ২৭ দিন ঘর থেকে বের হই না। মাঝে জায়েদ খান খবর দিয়ে এফডিসিতে ডেকেছিলেন। ২০০ টাকা গাড়ি ভাড়া দিয়ে গিয়ে চাল, ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু দ্রব্য নিয়ে আসি। এতে আর কতদিন চলে? এর ফাঁকে পাড়ার ছেলেরা ত্রাণ দিয়ে গিয়েছিল, এগুলো দিয়ে চলেছি। এখন বাসায় খাবার নেই। কীভাবে কি হবে বুঝতেছি না।’
ঢাকা/রাহাত সাইফুল/শান্ত
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন