ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

শুটিং বন্ধ: প্রতিদিন প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি

রাহাত সাইফুল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:১৯, ১ জুলাই ২০২১   আপডেট: ১৮:৩৩, ১ জুলাই ২০২১
শুটিং বন্ধ: প্রতিদিন প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি

শুটিং বন্ধ থাকায় ফাঁকা বিএফডিসি

করোনার সংক্রমণ কমাতে দেশজুড়ে আজ থেকে শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন। যে কারণে চলচ্চিত্রের শুটিংও বন্ধ। চলচ্চিত্রের এই মন্দার সময়ে শুটিং বন্ধ থাকায় মোটা অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্টরা। এর মধ্যে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন চলচ্চিত্রের সঙ্গে জড়িত নিম্ন আয়ের মানুষ। এফডিসিতে শুটিংকে কেন্দ্র করেই তাদের জীবিকা নির্ভরশীল। শুটিং বন্ধ থাকলে পরিবার নিয়ে তারা বিপদে পড়েন বলে জানিয়েছেন।

গত কয়েক মাসে প্রতিদিন গড়ে ৬টি সিনেমার শুটিং হচ্ছিল বলে এফডিসি সূত্রে জানা গেছে। শুটিংয়ের সঙ্গে জড়িত প্রায় এক হাজার মানুষ। তাদের প্রত্যেকেরই পারিশ্রমিক নির্ভর করে প্রতিদিনের শুটিংয়ের উপর। শুটিং বন্ধ থাকায় গড়ে প্রতিদিন চলচ্চিত্রশিল্পে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছে পরিচালক সমিতি।

এ প্রসঙ্গে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান রাইজিংবিডিকে বলেন,'করোনার কারণে আমরা শুটিং বন্ধের সিন্ধান্ত নিয়েছি। শুটিং বন্ধ রাখার কারণে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হচ্ছে। এই ক্ষতি সিনেমার সবার।'

পরিচালক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অপূর্ব রানা বলেন,'চলচ্চিত্রের খুব খারাপ সময় পার করছে। এর মধ্যে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে গত কয়েক মাসে বেশ কিছু সিনেমার শুটিং শুরু হয়। প্রতিদিন গড়ে ৬-৭টি সিনেমার শুটিং হতো। একটি সিনেমায় দৈনিক এক-দেড় লক্ষ টাকা খরচ হয়। ক্ষেত্র বিশেষ ৩-৫ লক্ষ টাকাও একদিনে খরচ করে। পুরো টাকা টেকনিশিয়ানদের পেছনে খরচ করা হয়। শুটিং বন্ধ হওয়ায় তাদের হাতে এই টাকা যাচ্ছে না। অন্যদিকে প্রযোজকদেরও লোকসান। শুটিং হাউস মালিকদের, এফডিসির সবার লোকসান। এই ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা কঠিন।'

শুটিং বয়রা প্রতিদিন শুটিং হলে কিছু টাকা বকশিস পায়। কিন্তু শুটিং না থাকলে তারা এ থেকে বঞ্চিত হয়। শুটিং বয় বনি জানান, ‘সিনেমার উপরেই তাদের পরিবার চলে। শুটিং না হলে উপার্জনের অন্য কোনো ব্যবস্থা থাকে না।

আজ ১ জুলাই বিএফডিসিতে গেলে দেখা যায় ফ্লোরে সেট তৈরি থাকলেও কোনো শুটিং হচ্ছে না।  শুটিং হাউজসগুলোতে ঝুলছে  তালা । ডাবিং ও এডিটিং প্যানেলে সিনেমার কাজ চলছে না। এ নিয়ে কথা হয় ভিশন প্লাস অডিওর কর্ণধার জিয়া আনসারীর সঙ্গে। জিয়া বলেন, প্রতিদিন আমাদের হাউসে অনেক লোক থাকে। এখন খালি। তারা বেকার বসে আছে। অথচ তাদের আমার টাকা ঠিকই দিতে হচ্ছে। এটা আমার জন্য লোকসানের।’

এদিকে প্রযোজকরা তাদের টাকা লগ্নি করে বসে আছেন কিন্তু সিনেমার কাজ শেষ করতে পারছেন না। শিল্পীরা শিডিউল দিয়েও কাজ করতে পারছেন না। এতে তারা পরবর্তী সময় শিডিউল ঝামেলায় আশংকা করছেন। পরিচালকদের সিনেমা নিয়ে সব ধরনের পরিকল্পনা এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন অনেকে।

ঢাকা/তারা

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়