মদ পান করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে কুকুর
![মদ পান করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে কুকুর মদ পান করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে কুকুর](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2023March/11111111-2304170905.jpg)
আনন্দ উদযাপনে কিংবা দুঃখ ভুলতে অনেকে মদ্যপান করেন। অনেকের এ জন্য লাইসেন্সও রয়েছে। কারণ অতিরিক্ত মদ্যপান শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। কিন্তু এ কথা সত্য যে, যারা নেশা করেন তারা এর থোরাই কেয়ার করেন। তারা যেমন মাতালের আচরণ করেন, তেমনি মদ না পেলে নানাবিধ পাগলামি এমনকি হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
তবে একটি কুকুর যদি মদ পান করতে না পেরে পাগলামি করে তখন ব্যাপারটা কেমন দাঁড়ায়? রীতিমতো চমকে যাবার মতো ঘটনা! ইংল্যান্ডের একটি কুকুরের ক্ষেত্রে ঘটেছে এমনই এক ঘটনা।
পেটে মদ না পড়লে কোনো কাজই যেন ঠিকঠাক হয় না কোকোর। কোকো নামের এই ল্যাব্রাডর কুকুরের মদ্যপান করা ছিল নিয়মিত অভ্যাস। ভালোই চলছিল সবকিছু। হঠাৎ তার মালিক মারা যাওয়াতে বাধে বিপত্তি। মালিকের মৃত্যুর পর ঠিকঠাক মদ না পাওয়ায় অদ্ভুত আচরণ শুরু করে কোকো। আর এ খবর ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
কোকোর খবর জানার পর তাকে উদ্ধার করে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। পরে তাকে ডেভনের প্লাম্পটনের উডসাইড অ্যানিমাল ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই হয় কোকোর চিকিৎসা।
সংস্থার সংশ্লিষ্টরা জানান, দীর্ঘ দিনের নেশায় অভ্যস্ত ছিল কোকো। সেই নেশা থেকে মুক্তি পেতে ভিন্ন আচরণ শুরু করে কোকো। যখন কোকোকে আমরা এনেছিলাম ওর অবস্থা খুবই বাজে ছিল, বাঁচার অবস্থা ছিল না বললেই চলে। দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে কোকো এখন অনেকটা ভালোর পথে। অন্য পোষ্যদের মতো এখন স্বাভাবিক আচরণ করছে।
উডসাইড অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট আরও জানায়, কোকো এখনও দত্তক নেয়ার জন্য প্রস্তুত নয় এবং শারীরিকভাবে ফিট থাকা সত্ত্বেও এখনও মাঝে মাঝে তাকে খুব উদ্বিগ্ন বলে মনে হয়।
কোকোকে পুরোপুরি সারিয়ে তুলতে একটি বিশেষ ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়েছে। এখানে সে ঘরোয়া পরিবেশ পাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সেই সংস্থা থেকে জানানো হয়: ‘কোকো আমাদের সাথে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে আছে। তার মালিকের মৃত্যুর পর সে দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ে। সৌভাগ্যক্রমে একজন ডাক্তার সে সময়ে সেখানে ছিলেন এবং জরুরি সেবা দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। কোকো এলকোহল জনিত সমস্যায় ভুগছিল। যদিও আমরা এখন খুব খুশি যে কোকো বিপদমুক্ত। কোকোর সমস্ত ওষুধ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং এখন কোকো একটি সাধারণ কুকুরের মতো আচরণ করতে শুরু করেছে। তবে মানসিকভাবে কোকো এখনও খুব উদ্বিগ্ন।’
ডুনরোমিন ইউনিট অর্থ হলো সেখানে আরও বেশি ঘরোয়া পরিবেশ তৈরি করে চিকিৎসা দেয়া। সেখানে কোকোর মতো অনেক কুকুর রয়েছে যাদের সঠিক চিকিৎসা প্রয়োজন।
শান্ত//
আরো পড়ুন