কুকুরের মৃত্যুর জন্য মালিকের জেল ও জরিমানা
অন্য দুনিয়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
ছবি: সংগৃহীত
বেশি খাওয়ার কারণে নিউজিল্যান্ডের একটি কুকুরের মৃত্যু হয়েছে। মালিককে কুকুরের চিকিৎসা এবং শারীরিক চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য দায়ী ঘোষণা করেছেন দেশটির অকল্যান্ডের মানুকাউ জেলা আদালত। এই ঘটনায় কুকুরের মালিককে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং ৭২০ ডলার জরিমানা করা হয়েছে। নিহত কুকুরটির নাম নুগি।
পোষা কুকুরটিকে প্রতিদিন শুকনো খাবারের সঙ্গে প্রায় ১০ টুকরো মুরগির মাংস খাওয়ানো হযতো। খাওয়ার পরে নুগির শ্বাস নিতেও কষ্ট হতো।
২০২১ সালে কুকুরটিকে মুমূর্ষু অবস্থায় খুঁজে পেয়েছিল পুলিশ। তখন কুকুরটির ওজন ছিল ৫৪ কেজি। কুকুরের মালিকের বাড়ি নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে। পুলিশ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আরও কয়েকটি কুকুর পেয়েছিল। পরে সেগুলোকে সোসাইটি ফর দ্য প্রিভেনশন অফ ক্রুয়েলটি টু অ্যানিম্যালস (এসপিসিএ) এর কাছে হস্তান্তর করেছিল।
এসপিসিএ-এর তত্ত্বাবধানে আসার পরে নুগির জীবনধারা পাল্টে যায়। ধীরে ধীরে তার ওজনও কমতে থাকে। দুই মাসে প্রায় ৯ কেজি ওজন কমে যায় নুগির। কিন্তু লিভাবের রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় তার।
সংস্থাটি দাবি করেছে— নুগির ময়নাতদন্ত করে দেখা গেছে অসুস্থতা এবং লিভাবেরর সমস্যা দেখা দিয়েছিল। যার কারণ অতিরিক্ত ওজন।
এসপিসিএ-একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, অতিরিক্ত ওজনের কারণে নুগির হৃদস্পন্দন শনাক্ত করা কঠিন ছিল। স্টেথোস্কোপ ব্যবহার করেও পশুচিকিত্সকেরা কুকুরটির হৃদস্পন্দন শনাক্ত করতে করতে পারতেন না। কুকুরটির কনুই ও পেটে অতিরিক্ত চর্বি জমে গিয়েছিল। নুগির নখরগুলো বড় ছিল। এ ছাড়া চোখেও সংক্রমণ হয়েছিল।
এসপিসিএ প্রধান টড ওয়েস্টউড জানিয়েছেন, তাদের দেখা সবচেয়ে স্থূল প্রাণীদের মধ্যে একটি ছিল নুগি। অথচ দুঃখজনকভাবে তারা প্রতিদিন অনেক প্রাণীকে দেখেন যেগুলোর ওজন কম, ক্ষুধার্ত বা অপুষ্টিতে ভুগছে। খুব মোটা কিংবা ক্ষুধার্ত উভয় প্রাণীই অসহায়। এগুলো দেখাও সমানভাবে হৃদয়বিদারক।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি
/লিপি