ইউক্রেনে আবারও মার্কিন আব্রামস ট্যাংক ধ্বংস করেছে রাশিয়া
![ইউক্রেনে আবারও মার্কিন আব্রামস ট্যাংক ধ্বংস করেছে রাশিয়া ইউক্রেনে আবারও মার্কিন আব্রামস ট্যাংক ধ্বংস করেছে রাশিয়া](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2024March/Abrams-Tank-2403050408.jpg)
রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ইউক্রেন যুদ্ধে মার্কিন নির্মিত আরও একটি আব্রামস ট্যাংক ধ্বংস করেছে। গত রোববার (৩ মার্চ) ধ্বংসকৃত ট্যাংকের একটি ভিডিও এরইমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এবং রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আরআইএ নভোস্তি তা শেয়ার করেছে।
সোমবার (৪ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে নিউজ উইক।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রুশ বাহিনীর গুঁড়িয়ে দেয়া আব্রামস ট্যাংকের ছবি সর্বপ্রথম রাশিয়ান সাংবাদিক এবং উপস্থাপক ভ্লাদিমির সলোভিয়েভের টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেখা গেছে। ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘আভদিবকার দাবাস শহরের বারডিচি গ্রামের কাছে ট্যাংকটি প্রবেশ করেছিল। রুশ সেনারা প্রথমে গ্রেনেড লঞ্চার দিয়ে ট্যাংকটিকে থামিয়ে দেয়।’
সলোভিয়েভ আরও বলেন, ভারী সরঞ্জামগুলো শেষ পর্যন্ত ‘স্ট্রম স্কোয়াড’ দিয়ে ধ্বংস করা হয়।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাশিয়ার সেনাদের হামলায় ইউক্রেনের সেনারা মার্কিন নির্মিত দুটি আব্রামস ট্যাংক হারালো। সম্প্রতি ইউক্রেনের কাছ থেকে রাশিয়ার সেনারা আভদিবকা নামে যে শহর দখল করে নিয়েছে তার কাছেই ট্যাংক দুটি ধ্বংস হয়।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভকে দুই ডজনের বেশি আব্রামস যুদ্ধ ট্যাংক সরবরাহ করেছে।
রাশিয়া শুরু থেকেই বলে আসছে, পশ্চিমাদের কোনো অস্ত্রের বহরই ইউক্রেন যুদ্ধের পরিস্থিতি পাল্টে দিতে পারবে না। রাশিয়া আরো বলেছে, ইউক্রেনকে যে সমস্ত অস্ত্র দেওয়া হবে তার সবকিছুই পুড়িয়ে দেওয়া হবে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গত রোববার আভদিবকার কাছে ইউক্রেনের ৪৯০ জনেরও বেশি সেনা ও চারটি যুদ্ধযান ধ্বংস করার দাবি করেছে, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি তিনটি ব্র্যাডলি রয়েছে।
কয়েক মাসের তীব্র হামলার পর, গত মাসে ইউক্রেনের আভদিবকা শহর দখল করে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অহ ওয়ার এর তথ্যমতে, রুশ বাহিনী সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আভদিভকার উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে চলেছে।
কিয়েভের দাবি, আভদিবকায় প্রায় চার মাসের যুদ্ধে ৪৭ হাজারের বেশি রুশ সেনা নিহত হয়েছে। এছাড়াও ৩৬০টি ট্যাংক, ২৪৮টি আর্টিলারি সিস্টেম এবং ৪টি বিমান হারিয়েছে মস্কো।
/ফিরোজ/
আরো পড়ুন