ঢাকা     মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৪৯, ১৭ এপ্রিল ২০২৪   আপডেট: ১৩:৫২, ১৭ এপ্রিল ২০২৪
ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ

ইসরায়েলে ভূপাতিত করা ইরানের একটি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র

ইসরায়েলে ইরানের প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলার ঘটনার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জানিয়েছে, ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের দিকে নজর দিচ্ছে তারা।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেছেন, সামনের দিনগুলোতে ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি আশা করছেন। অন্যদিকে, ইইউয়ের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, তাদের জোট নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে কাজ করছে।

গত শনিবার ইসরায়েলে ইরানের প্রথম সরাসরি হামলায় ইরান, ইরাক, সিরিয়া এবং ইয়েমেন থেকে ৩০০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন নিক্ষেপ করা হয়। তবে এসবের বেশিরভাগই ইসরায়েল এবং তার মিত্ররা ধ্বংস করেছে বলে দাবি করেছে।

তেহরান বলছে, হামলাটি ১ এপ্রিল সিরিয়াতে তার কনস্যুলেটে ইসরায়েলি বিমান হামলার প্রতিশোধ ছিল, যাতে ১৩ জন নিহত হয়েছিল।

এ ঘটনায় ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৩০টিরও বেশি দেশকে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন।

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ গত বছরের অক্টোবরে শেষ হয়েছে। ইসরায়েল তার মিত্র দেশগুলোর প্রতি ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছে।

ইসরায়েল ইরানের বিপ্লবি গার্ড বাহিনীকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করার জন্যও আবেদন জানায় মিত্র দেশগুলোর প্রতি। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে তা করলেও যুক্তরাজ্য এখনও সেটি করেনি।

মার্কিন অর্থমন্ত্রী ইয়েলেন মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) তার বক্তৃতায় বলেছেন, ‘আমরা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ইরানের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞার ব্যবস্থা নেব। আমরা আমাদের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আগে থেকে বলি না। তবে ইরানের সন্ত্রাসী অর্থায়ন ব্যাহত করার সমস্ত বিকল্প টেবিলে রয়েছে।’

তার মতে, ইরানের তেল রপ্তানি এমন ‘একটি সম্ভাব্য ক্ষেত্র যা আমরা টার্গেট করতে পারি’। তার ভাষায়: ‘স্পষ্টতই, ইরান এখনো কিছু পরিমাণ তেল রপ্তানি চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা হয়তো আরো কিছু করতে পারি।’

মার্কিন অর্থমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘ইরানকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যেই আর্থিক নিষেধাজ্ঞাগুলোকে ব্যবহার করছে। পাঁচ শতাধিক ব্যক্তি এবং সংস্থাকে লক্ষ্য করে আরোপিত এ নিষেধাজ্ঞা প্রক্সি গোষ্ঠীগুলোকে অর্থায়ন করার এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধকে সমর্থন করার ক্ষমতাকে ব্যাহত করার কাজ করছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, ‘নতুন করে নিষেজ্ঞা আরোপ করা হবে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন কর্মসূচিকে লক্ষ্য করে। পাশাপাশি ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিপ্লবী গার্ড বাহিনীও থাকবে এর আওতায়।’ এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ও সহযোগী দেশগুলো আলাদাভাবে তাদের নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

ইইউর শীর্ষ কূটনীতিক বোরেল বলেছেন, ‘কিছু সদস্য দেশ ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরো বাড়ানোর জন্য বলেছে। নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় কাজ শুরু করার জন্য ইইউ এর কূটনৈতিক পরিষেবার কাছে একটি অনুরোধ পাঠাবেন তিনি।’

/ফিরোজ/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ