আফগানিস্তানে বন্যায় নারী ও শিশুসহ ১৬ জনের মৃত্যু
আফগানিস্তানের বাঘলান ও বাদাখশান প্রদেশে ভয়াবহ বন্যায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় টোলো নিউজের বরাত দিয়ে সোমবার (২৭ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
দেশটির স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, বন্যায় ৫০০ বাড়ি সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে।
টোলো নিউজের রিপোর্ট অনুসারে, ডান্ড-ই-ঘোরি, দোশি, পুল-ই-খুমরি শহর, মধ্য বাদাখশানের মোরচাক গ্রাম এবং এই প্রদেশের আরও কয়েকটি অংশ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
বাঘলানের পুলিশ কমান্ডের প্রধান আব্দুল গফুর খাদেম বলেছেন, ‘গত রাতে খুব শক্তিশালী বন্যা হয়েছে। আমাদের প্রধান হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বাঘলান প্রদেশের দোশি জেলার লারখাব এলাকায়। লারখাবে, তিনজনসহ প্রায় ছয়জন মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে এক শিশু, এক নারীসহ দুইজন পুরুষ রয়েছেন এবং বন্যায় ৩০০টিরও বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে।’
বাদাখশানের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রধান মোহাম্মদ কামগার বলেছেন, বন্যার কারণে এক পরিবারের দশ সদস্য নিহত এবং অন্য একজন আহত হয়েছেন।
বন্যায় শত শত বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো তালেবান নেতৃত্বাধীন সরকার এবং সাহায্য সংস্থাগুলোর কাছে সহায়তার আর্জি জানিয়েছে।
জিয়াউল্লাহ নামের এক বন্যার্ত বলেন, ‘আমরা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ। আমাদের অনুরোধ, আফগানিস্তানের যে কোনো অংশে যা-ই বরাদ্দ করা হোক না কেন, আমাদের ভুলে যাবেন না।’
এনডিটিভি জানিয়েছে, আফগানিস্তানের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ বন্যায় গত সপ্তাহে ৩০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন। বন্যায় শতাধিক আবাসিক ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং হাজার হাজার একর কৃষি জমি নষ্ট হয়েছে।
দেশটির বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ভারী বন্যা আঘাত হানার পর, জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) গত ১২ মে এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, বন্যাকবলিত বেশিরভাগ এলাকায় যাতায়াত ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। জাতিসংঘের সংস্থাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ছবি শেয়ার করে, যেখানে দেখা যায় ত্রাণকর্মীরা গাধা ব্যবহার করে বাঘলানে জরুরি ত্রাণ সরবরাহ করছেন।
বাঘলানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে পৌঁছানোর প্রতিবন্ধকতা উল্লেখ করে ডব্লিউএফপি বলেছিল, ‘বন্যায় সব হারানো মানুষগুলোর কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিকে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়।’
/ফিরোজ/