‘জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি হ্রাসে বাংলাদেশ রোল মডেল’

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি নিরসনে বাংলাদেশ প্রণীত ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্র‍্যাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি হ্রাসে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের রোল মডেল।’

স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে চলমান কপ-২৬ সম্মেলনের সাইড ইভেন্ট হিসেবে স্থানীয় সময় সোমবার (৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার নিজস্ব অর্থায়নে অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়নে কাজ করছে। জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট তহবিল থেকে ৪৪৩ মিলিয়ন ডলারের ৭৮৯টি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য দূরদর্শী নেতৃত্বে এসব পদক্ষেপের কারণেই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করেও দেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছে।’

সরকারের অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ইডকল) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের কৃষিতে জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সৌরচালিত সেচযন্ত্র ব্যবহার বিষয়ে সংলাপ’-এ মন্ত্রী বাংলাদেশের কৃষি খাতে সোলার প্যানেলের ব্যবহার বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে বিশ্বব্যাংক ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, সেচ কাজে ডিজেলচালিত পাম্পের পরিবর্তে জলবায়ুসহিষ্ণু, ব্যয়সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানি হিসেবে দেশ-বিদেশে সোলার প্যানেলের ব্যবহার বেড়েছে। বাংলাদেশে এখন ১২ লাখ ৪০ হাজারের মতো ডিজেলচালিত সেচ পাম্প আছে। এগুলো চালানোর জন্য কৃষকদের লাখ লাখ টন ডিজেল কিনতে হয়। পাশাপাশি ডিজেলচালিত সেচ যন্ত্র প্রচুর কার্বন নিঃসরণ করে। ডিজেলের পরিবর্তে সৌরশক্তিচালিত পাম্প ব্যবহার করলে একদিকে যেমন কার্বন নিঃসরণ কমবে, অন্যদিকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।

আয়োজক সংস্থার প্রশংসা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি কমিয়ে আনার উদ্যোগের অংশ হিসেবে ইডকল ইতোমধ্যেই দেড় হাজার সৌরচালিত পাম্প স্থাপন করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসা কুড়িয়েছে। সরকারের নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রতিশ্রুতি অর্জনেও সংস্থাটি ভূমিকা রাখছে। আশা করি, দেশ ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সক্ষম হবে।’

বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ও ইডকলের পরিচালক মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদার।