জঙ্গি ছিনতাই: ৭ কার্যদিবসে প্রতিবেদন দেবে মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি
![জঙ্গি ছিনতাই: ৭ কার্যদিবসে প্রতিবেদন দেবে মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি জঙ্গি ছিনতাই: ৭ কার্যদিবসে প্রতিবেদন দেবে মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2022August/Untitled-1212-2211211521.jpg)
ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশ সদস্যদের ওপর পিপার স্প্রে মেরে দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে।
সোমবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরিদর্শন শেষে উল্লিখিত তথ্য জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের (কারা অনুবিভাগ) অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেছেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছি। আসামিদের কিভাবে কারাগার থেকে আনা হয়, কোথায় রাখা হয়, এরপর কিভাবে আদালতে তোলা হয়, কোন জায়গা থেকে দুষ্কৃতিকারীরা তাদের নিয়ে যায়— এগুলো প্রাথমিকভাবে দেখার জন্য এসেছি। পরবর্তীতে এর সাথে যারা সম্পৃক্ত; নিরাপত্তার সাথে, আনা-নেওয়ার সাথে যে ব্যবস্থা আছে, প্রত্যেকের সাথে পৃথকভাবে কথা বলব। কারণগুলো বিশ্লেষণ করব। নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা ছিল, তাদের কোনো গাফিলতি ছিল কি না। যদি থেকে থাকে, কার কতটুকু, এ বিষয়গুলো প্রতিবেদনে তুলে ধরব। একই সাথে রিপোর্টে আরেকটা অংশ থাকবে, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কিছু ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা আছে, সে ব্যাপারে সুপারিশ করব।’
সিসি ক্যামেরা এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সব বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য নেবো এবং পর্যালোচনা করব। এর আগে ফাইন্ডিংসের ব্যাপারে কোনো কথা বলা হয়তো সমীচীন হবে না।’
মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সব দলিলপত্র তলব করেছি। এগুলো নিয়ে আমরা বসব। একটা একটা করে যাচাই করব—এখানে আইনের বিধান কী, কার কী দায়িত্ব নির্ধারণ করা আছে এবং বাস্তবে সে কতটুকু দায়িত্ব পালন করেছে। ডকুমেন্ট পর্যালোচনা করে কার কী গাফিলতি ছিল, অপর্যাপ্ততা ছিল কি না, দেখব।’
কারও গাফিলতি পেয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্তে এখন কিছু বলতে চাচ্ছি না। কারণ, আমরা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ বা কারও বক্তব্য রেকর্ড করিনি। আসামিদের বের করে মূল রাস্তা দিয়ে পিছনে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এটা একটা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। যদি ভিতর দিয়ে আনা-নেওয়া করা হতো, তাহলে ঝুঁকিটা অনেকখানি কম থাকত। ঘটনা কেন ঘটল, কী কী করলে ঘটনাটা ঘটত না। এমন ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে, এমন সুপারিশ করব এবং তা যেন কার্যকর হয়, তারও সুপারিশ থাকবে।’
গাফিলতি থাকলে কী সাজা হতে পারে, এমন প্রশ্নে হাবিবুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত কমিটি শাস্তির সুপারিশ করে না। দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ করে। কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয়। তবে, যাদের বিরুদ্ধে অবহেলার প্রমাণ পাওয়া যাবে, এর মধ্যে সুরক্ষা বিভাগের যারা সম্পৃক্ত, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মামুন/রফিক
আরো পড়ুন