ঢাকা     শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ ||  শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

গ্রিন কোজি কটেজে আগুন

ঝুঁকি উল্লেখ করে ভবন কর্তৃপক্ষকে ৩ বার নোটিশ দিয়েছিল ফায়ার সার্ভিস

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৫৪, ১ মার্চ ২০২৪   আপডেট: ১৬:৫৮, ১ মার্চ ২০২৪
ঝুঁকি উল্লেখ করে ভবন কর্তৃপক্ষকে ৩ বার নোটিশ দিয়েছিল ফায়ার সার্ভিস

রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া গ্রিন কোজি কটেজ ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় ভবন কর্তৃপক্ষকে নিরাপত্তাসহ নানা কারণে তিনবার নোটিশ দিয়েছিল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। এরপরও ভবন মালিক কিম্বা ব্যবসায়ীরা কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুরে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। 

মাইন উদ্দিন বলেন, এই ভবনকে পূর্বে নোটিশ দেয়া হয়েছিল। ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় ভবনের মালিককে তিনবার নোটিশ পাঠানো হয়। মালিক কিংবা ভবনে যারা ব্যবসা করেন তাদের সবার অগ্নি নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখা দরকার ছিল। ভবনে ফায়ার সেফটি প্ল্যান ও ভবন নির্মাণ করতে অন্য সব প্রতিষ্ঠানের অনুমতি ছিল কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। নোটিশের পরপর ভবন কর্তৃপক্ষ কিংবা ব্যবসায়ীদের এসব বিষয় নিশ্চিত করা দরকার ছিল। এত বড় একটি ভবনে মাত্র একটি সিঁড়ি, লিফট রয়েছে দুটি, এছাড়া কোনো ফ্লোরেই ছিল না অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। এ ছাড়াও যেভাবে গ্যাস সিলিন্ডার সিঁড়িতে রাখা হয়েছিল তা নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ছিল।  

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগুনের কারণ নিশ্চিত হতে আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। কমিটির তদন্তের প্রতিবেদনের পর আগুনের কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে র দিকে বেইলি রোডের আটতলা ওই ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় ভেতরে অনেক লোকের সমাগম ছিল। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে ছড়িয়ে পড়ায় তাদের অনেকে বের হতে পারেননি। পরে ফায়ার সার্ভিস, র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবির সহযোগিতায় তাদের ভেতর থেকে বের করে আনা হয়। এ ঘটনায় ৪৬ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বেইলি রোডের আগুনে হতাহতের ঘটনায় শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মাকসুদ/তারা

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়