ঢাকা     মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

মাদক ব্যবসায় অর্জিত ১৭৮ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১৪, ১৭ এপ্রিল ২০২৪  
মাদক ব্যবসায় অর্জিত ১৭৮ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ 

মাদক ব্যবসার মাধ্যমে অর্জিত ১৭৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকার সম্পদ জব্দ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি’র সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া।

তিনি বলেন, সিআইডি এখন পর্যন্ত ৩৫টি মাদকের টাকা পাচার সংক্রান্ত মামলা তদন্ত করছে। এর মধ্যে ১০টি মামলায় প্রকৃত গডফাদারদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, মাদকের অর্থে করা বাড়ি-গাড়ি ও জমি ক্রোক করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত মাদক মামলায় ১২২ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। তাদের মধ্যে এজাহারনামীয় ৬৭ জন। এসব মামলায় গডফাদারদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিছু মামলায় চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। ১০টি মামলার মধ্যে তিনটি মামলায় গডফাদারদের ৯.১৪ একর জমি ও দুটি বাড়ি ক্রোক করা হয়েছে। এসবের দাম ৮ কোটি ১১ লাখ টাকা। বিভিন্ন মামলায় ব্যাংকে গচ্ছিত ১ কোটি ২৩ লাখ ২৩ হাজার ৪২৫ টাকা ফ্রিজ করা হয়েছে। আরও ৩৫.১৭৩ একর জমি, ১২টি বাড়ি ও একটি গাড়ি ক্রোক করার প্রক্রিয়া চলছে। এসবের দাম ৩৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা।

সিআইডির প্রধান বলেন, মাদক মামলায় সাধারণত সেবনকারী বা বাহক পর্যন্ত তদন্ত করেই চার্জশিট দেওয়া হয়। গডফাদাররা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। গডফাদারদের আইনের আওতায় আনতে পারলে মাদকের এত ব্যাপকতা থাকত না। সিআইডি প্রথম গডফাদারদের গ্রেপ্তার ও তাদের সম্পদ ক্রোকের কাজে হাত দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সম্পদের তথ্য আমরা আদালতে উপস্থাপন করি। আদালত ক্রোকের নির্দেশ দেন। পরে সম্পদ ক্রোক করে আদালতে জমা দেওয়া হয়। গডফাদাররা এতদিন ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল। তারা প্রকৃতপক্ষে পেশাগতভাবে মাদক ব্যবসায়ী। মাদক সংশ্লিষ্টতায় সাধারণত প্রথমে বাহক বা সেবনকারীকে ধরা হয়। এর পেছনে কারা আছেন, সে পর্যন্ত যাওয়া হতো না। সিআইডি ভিন্ন আঙ্গিকে পেছনের ব্যক্তিদের খোঁজ নেওয়া শুরু করে। তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তল্লাশি করা হয়েছে। সন্দেহজনক লেনদেনের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা মাদক ব্যবসার কথা স্বীকার করে।

মাকসুদ/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ