ঢাকা     শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ ||  শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

আইন না মানলে বাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২৮, ১৪ মে ২০২৪   আপডেট: ১৬:৩১, ১৪ মে ২০২৪
আইন না মানলে বাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার 

তেজগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, রাজধানীর যানজট নিরসনে আন্তঃজেলা বাসে গেটলক সিস্টেম চালু হয়েছে। মহাখালী থেকে বনানী পর্যন্ত যেসব বাস গেটলক সিস্টেম না মেনে যত্রতত্র যাত্রী তুলবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ‘ট্রাফিক সেফটি অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম ও রোড সেফটি স্লোগান প্রতিযোগিতা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, গেটলক সিস্টেমে টার্মিনাল থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে বাস ছেড়ে দেওয়ার পর নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া আর কোথাও দাঁড়াতে পারবে না। টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে গন্তব্যে চলে যাবে। যত্রতত্র দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। 

তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরী এলাকায় মহাখালী বড় বাস টার্মিনাল। টার্মিনালে যে পরিমাণ জায়গা রয়েছে, সেখানে ৪০০ গাড়ি পার্ক করার সুযোগ আছে। কিন্তু, এখানে প্রতিদিন ১ হাজার ৮০০ গাড়ি চলাচল করে। যে কারণে দীর্ঘদিন ধরে গাড়িগুলো রাস্তার মধ্যে পার্ক করা হতো। মহাখালী থেকে আব্দুল্লাহপুর ও উত্তরা হয়ে যে গাড়িগুলো ঢাকার বাইরে যায়, সেই গাড়িগুলো মহাখালী থেকে ছেড়ে বনানী পর্যন্ত একটু একটু করে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলতে তুলতে যেত। বিশেষ করে, মহাখালী রেল ক্রসিংয়ে যাত্রীরা জড়ো হলে সেখান থেকে বাসগুলো যাত্রী তুলত। এটিই মহাখালী এলাকায় যানজটের অন্যতম কারণ। যানজট কমানোর উদ্দেশ্যে মহাখালী থেকে যে গাড়িগুলো ছাড়বে, তারা বনানীর আগে কোনোভাবেই পার্ক করবে না, কোনো যাত্রী তুলবে না এবং যাত্রী নামাবে না। ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ কার্যক্রমে দেখা গেছে, কোনো কোনো গাড়ি এই নিয়ম অমান্য করছে। যখন মহাখালী বাস টার্মিনাল চালু হয়, তখন থেকেই রাস্তায় পার্ক করে যাত্রী নেওয়ার কার্যক্রম চলে আসছে। এতদিন পরে কাজটি শুরু হয়েছে। তবে, শতভাগ প্রতিষ্ঠিত করতে কিছুটা সময় লাগবে। একই রাস্তায় তিন রকমের গাড়ির গতি নির্ধারণ করা হয়েছে। 

হাবিবুর রহমান আরও বলেন, একজন চালক রাস্তার অবস্থা বুঝে গাড়ি চালান। আমাদের ঢাকা মহানগরীতে বড় গাড়ির জন্য ৪০ ও মোটরসাইকেলের জন্য ৩০ কিলোমিটার গতি নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে বৈধ ওভারটেকিংয়ের ব্যবস্থা কোথাও নেই। চালক পরিস্থিতি বুঝে বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে ওভারটেকিং করলে সমস্যা হবে না। যেসব যাত্রীবাহী গাড়ি রয়েছে, সেসব গাড়ি রাস্তায় কোনো সার্জেন্ট আটকাবে না। তবে, সেই গাড়ি যদি গতিসীমা ভঙ্গ করে ও দুর্ঘটনা ঘটায়, সেক্ষেত্রে আটকানো হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান। চেয়ারপারসন হিসেবে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ঢাকা রোড সেফটি প্রজেক্টের ডিরেক্টর মো. মুনিবুর রহমান। প্রেজেন্টেশন দেন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ট্রাফিক, অ্যাডমিন অ্যান্ড রিসার্চ) ও ঢাকা রোড সেফটি প্রজেক্টের ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং জাইকা বাংলাদেশের প্রতিনিধি ইয়ামি ওকাযাকি প্রমুখ।

মাকসুদ/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়