বাড়তি কেনাকাটার নেশা কাটানোর উপায়
লাইফস্টাইল ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
ছবি: প্রতীকী
ঈদ এলেই অনেকে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত কেনাকাটা করেন। যারা বাড়তে কেনাকাটা করেন মনোবিজ্ঞানীরা তাদেরকে কমপালসিভ বায়িং ডিজঅর্ডারের রোগী হিসেবে গণ্য করেন। এ রোগীরা মন চাইলেই কেনাকাটা করতে চান, আর কেনাকাটা করতে না পারলে নিজেদেরকে অসুখী মনে করেন। এর ফলে পারিবারিক বন্ধন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলাফল অনেক সময় মৃত্যু পর্যন্ত গড়ায়। আপনার নিজের যদি এই সমস্যা থাকে, তাহলে সচেতন হোন। কয়েকটি উপায়ে বাড়তি কেনাকাটার নেশা কাটিয়ে উঠুন।
কেনাকাটা করতে না পারলে আপনার কোন কোন সমস্যা হয়, সেগুলোর একটি লিস্ট তৈরি করুন। যেমন একঘেয়েমি, অপরাধবোধ, লজ্জা, রাগ-এমন উপসর্গ হলে লিখে রাখুন। সমস্যা চিহ্নিত করা মানে সমাধানের জন্য এগিয়ে অনেকদূর এগিয়ে যাওয়া। কেনাকাটা করতে না পারলে যদি মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হন, তাহলে বুঝতে হবে আপনার মনের যত্ন প্রয়োজন। এজন্য ইয়োগা বা যোগব্যায়াম করতে পারেন। উদ্বেগ, রাগ, লজ্জা অনুভব করলে অন্য কোনো ভালোলাগার কাজে মনোযোগ দিতে পারেন। যেমন, প্রিয় গান শোনা, টিভি দেখা অথবা বই পড়তে পারেন। সেক্ষত্রে জটিল বই পড়ায় মনোযোগ দিতে পারেন, এতে নিবিষ্ট হওয়ার সুযোগ পাবেন।
প্রয়োজনীয় শপিং করার আনন্দ আবিষ্কার করুন। অতিরিক্ত শপিং প্রবণতা থেকে বের হওয়ার এটা একটি কার্যকরী উপায় হতে পারে। যেমন, আপনার নিশ্চয় ১৫টি পার্সের প্রয়োজন নেই। শখের দোহাই দিয়ে অযৌক্তিক কেনাকাটা করা মানে অযৌক্তিক আচরণ করা। প্রয়োজন অনুধাবন করুন, আপনার অন্যান্য মৌলিক চাহিদাগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধান করুন।
অতিরিক্ত কেনাকাটা করা মানে অতিরিক্ত ব্যয় করা। এই অভ্যাস আপনাকে ঋণগ্রস্ত করে ফেলতে পারে। অথচ আপনার নজর দেওয়া উচিত আপনার পরিবারের নিরাপত্তার দিকে।
শপিংয়ে যাওয়ার আগে একটি তালিকা তৈরি করে নিন। সেই অনুযায়ী টাকা নিয়ে যান।
‘নো-ফ্লাই জোন’ তৈরি করুন। যা কিছু আপনাকে কেনাকাটা করতে উদ্বুদ্ধ করে, এমন কাজ এড়িয়ে যান।
তারপরেও যদি বাড়তি কেনাকাটার নেশা ছাড়তে না পারেন প্রিয়জনের সহযোগিতা চান। তিনি নিশ্চয় আপনাকে ভালো পরামর্শ দেবেন।
অনেক কেনাকাটা করতে পারলেই আপনি জিতে যাবেন, বিষয়টি তা নয়। বরং প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করুন। সম্পর্কগুলোতে বাড়তি মনোযোগ দিন, সেগুলো দৃঢ় করুন। ভালো থাকুন। এই ঈদে কেনাকাটাকে প্রাধান্য দিয়ে পরিবারে অশান্তি তৈরি করবেন না।
/লিপি