ইলিশ কেন খাবেন
লাইফস্টাইল ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

ইলিশ খেলে ফুসফুস শক্তিশালী হয়।
নানা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ইলিশ মাছ। স্বাদে অতুলনীয় বাঙালির অতি প্রিয় এই মাছ নানাভাবে রান্না করা যায়। এই যেমন- ভাজা, ভর্তা, শর্ষে ইলিশ, ভাপা ইলিশ, ইলিশ পাতুরি, দই ইলিশ, পান্তা ইলিশ আরও কত কি!
পুষ্টিবিদরা বলেন, ১০০ গ্রাম ইলিশ থেকে পাওয়া যায় ২৫ গ্রাম প্রোটিন, ২০৪ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ২৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ৩ দশমিক ৩৯ গ্রাম শর্করা, ২ দশমিক ২ গ্রাম খনিজ ও ১৯ দশমিক ৪ গ্রাম চর্বি। এতে আরও রয়েছে উচ্চ মাত্রার ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, নায়সিন, ট্রিপ্টোফ্যান, ভিটামিন বি১২, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামসহ অন্যান্য ভিটামিন ও মিনারেলস।
গেট বেঙ্গলের তথ্য অনুযায়ী, ইলিশ খেলে ব্লাড সার্কুরেশন ঠিক থাকে।
ইলিশে স্যাচুরেট চর্বির পরিমাণ খুব কম। এতে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি (ইপিএ ও ডিএইচএ) অ্যাসিড বেশি থাকে, যা রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইড কমিয়ে দ্রুত ভালো চর্বি বাড়াতে সাহায্য করে।
এই মাছ হৃৎপিণ্ড ভালো থাকে।
ইলিশ খেলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
ইলিশ চর্বিসংক্রান্ত সব সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে।
ইলিশ খেলে রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।
এই মাছ মাংসপেশি ও টিস্যু তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এই মাছ খেলে ত্বক সুস্থ থাকে।
ইলিশে থাকা কোলাজেন ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে।
ইলিশ আলসার, কোলাইটিস ইত্যাদি কমাতে সাহায্য করে।
স্নায়ুকোষকে সুস্থ রাখে।
ইলিশ খেলে স্মৃতিভ্রমের ঝুঁকি কমে।
ইলিশ ভিটামিন ডির ভালো উৎস। ভিটামিন ডি মানবদেহে ক্যালসিয়াম ও ফসফেটের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে।
রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
কোষের সংক্রমণ কমায়।
থাইরয়েড হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে।
ইলিশ খেলে ফুসফুস অনেক বেশি শক্তিশালী হয়।
বিষন্নতা দূর করে।
তবে যাদের শরীরে অ্যালার্জি আছে তারা এই মাছ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।
/লিপি