সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডই অপশক্তি রুখবে: মেয়র আতিক

অপশক্তি রুখতে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের দরকার আছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ ভাঙা মসজিদ সংলগ্ন স্থানে সুরের ধারা ও ডিএনসিসির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘পৌষ উৎসব-১৪৩০’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এসময় ডিএনসিসি মেয়র পঞ্চমবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুরের ধারার কর্ণধার রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।

মেয়র আতিক বলেন, একদিকে গান চলছে, অন্যদিকে মেলা হচ্ছে। অপশক্তিকে রুখে দাঁড়াতে এই ধরনের মেলা, গান ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের দরকার আছে। ভুললে চলবে না, মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ভূমিকা ছিল। বিশ্বে বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে গানের, খেলাধুলার ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করতে গাওয়া হয়েছিল অসংখ্য গান।

সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ডিএনসিসি সব সময় থাকবে জানিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, সুরের ধারার মাধ্যমে সংস্কৃতির বিকাশ ঘটবে। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা শুধু একজন রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী নন, তিনি নিজে ইনস্টিটিউট হিসেবে পরিচিত হয়েছেন দেশের পাশাপাশি সারা বিশ্বে।

মেয়র বলেন, আমরা চাই আমাদের শিশুরা গান গাইবে, খেলাধুলা করবে। পড়াশোনার পাশাপাশি নানা ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবে। আমি বিশ্বাস করি সুরের ধারার মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিকাশ ঘটবে।

ডিএনসিসি এলাকার বিভিন্ন খাল দখল হয়ে যাচ্ছে জানিয়ে মেয়র আরও বলেন, বিভিন্ন খাল দখল হয়ে যাচ্ছে। রামচন্দ্রপুর খাল দখল হয়ে গিয়েছিল। যেখানে বছিলা ট্রাক স্ট্যান্ড ছিল, এখন সেই ট্রাক স্ট্যান্ড নেই। লাউতলা এখন সুন্দর সবুজ পার্ক হয়ে গিয়েছে। যেখানে দখল হচ্ছে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হবে। মাঠ, পার্ক ও খাল যারা অবৈধভাবে দখল করছে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মাঠ পার্ক ও খাল রেখে যেতে হবে। এটি আমাদের দায়িত্ব।

এরপর ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম মেলার স্টল ঘুরে দেখেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সুরের ধারার শিক্ষকবৃন্দ।