ঢাকা     বুধবার   ০১ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

কূটনৈতিক প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:০৪, ৪ এপ্রিল ২০২৪  
ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক স্মরণ সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ

নিরীহ নারী-শিশু ও সাধারণ ফিলিস্তিনিদের পর ত্রাণকর্মীদেরও যে অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হচ্ছে, ইসরায়েলে সে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সদ্য প্রয়াত সাংবাদিক আতাউর রহমান শামীমের স্মরণসভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

গাজায় ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এ হামলায় মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের বর্বরতা, নৃশংসতা ও মানুষ হত্যার মহোৎসব থামছেই না। সেখানে এইড ওয়ার্কারদের হত্যা করা হয়েছে। এটি কল্পনারও বাইরে। 

হাছান মাহমুদ বলেন, ইসরায়েল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকেও তোয়াক্কা করছে না। আমি আশা করব, এই ঘটনার পর পশ্চিমা বিশ্বের বোধোদয় হবে এবং তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের সরকার যেকোনো যুদ্ধের বিরুদ্ধে। আমরা ফিলিস্তিনিদের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকব। 

‘অবশ্যই আমরা দুই রাষ্ট্র নীতিতে বিশ্বাস করি। কিন্তু, ১৯৬৭ সালের সীমানার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মধ্যেই সেখানে শান্তি নিহিত। অন্যথায়, সে অঞ্চলে কখনো শান্তি আসবে না,’ বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করব, যারা ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ করে, সেই অস্ত্র যে নিরীহ নারী, শিশু ও সাধারণ মানুষকে হত্যায় ব্যবহৃত হচ্ছে, এমনকি তা দিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের এইড ওয়ার্কারদেরও হত্যা করা হচ্ছে। এর পরে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ হবে।

এর আগে স্মরণসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি ঢাকার বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন নেতা সাপ্তাহিক গণবাংলার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান শামীমকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন ও তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন।

হাছান মাহমুদ ভবনগুলোতে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং অগ্নিদগ্ধদের চিকিৎসায় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের অবদানের কথা তুলে ধরেন। 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যারা রাজনীতির নামে আগুনসন্ত্রাস করে, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে, তাদের রাজনীতি করার অধিকার থাকতে পারে না। এরা রাজনীতিক নয়, এরা দুর্বৃত্ত। এ দেশে বিএনপি-জামায়াত যারা আগুনসন্ত্রাস করেছে, এখনো ওত পেতে আছে, তাদের যারা অর্থ যোগান দেয়, তারা দুর্বৃত্তদের নেতা।’

বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি এবং সাপ্তাহিক গণবাংলা পত্রিকার যৌথ উদ্যোগে এ স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিমের সভাপতিত্বে ও এম এ বাশারের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি, প্রয়াত আতাউর রহমানের কন্যা ফারদিন রহমান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য উপ-কমিটির সদস্য লায়ন মশিউর আহমেদ, আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া উপ-কমিটির সদস্য মাহমুদ আল প্রিন্স, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির চেয়ারম্যান সুমন সরদার বক্তব্য দেন।

আতাউর রহমান শামীমের স্মৃতিচারণ করেন বঙ্গবন্ধু একাডেমির মহাসচিব হুমায়ুন কবির মিজি, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েল, যুবলীগ নেতা মানিক লাল ঘোষ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রোকন উদ্দিন পাঠান এবং বঙ্গবন্ধু দুস্থ কল্যাণ সংস্থার সভাপতি মাহবুব হোসেন।

হাসান/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়