প্রধান ঈদ জামাতে যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনিদের জন্য দোয়া
জাতীয় ঈদগাহে প্রায় ৩৫ হাজার নারী-পুরুষ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন
জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের নামাজের প্রধান জামাত শেষে মোনাজাতে যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মানুষদের জন্য দোয়া করা হয়েছে। এ সময় দেশ ও জনগণ এবং মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ ও শান্তি কামনা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় শুরু হয় প্রধান জামাত। এতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। মোকাব্বির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ওই মসজিদের মুয়াজ্জিন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
নামাজ শেষে মোনাজাতে বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করা হয়। ডেঙ্গুসহ দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে সবার হেফাজত কামনা করা হয়। বিশেষ করে, ফিলিস্তিনিদের জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য কামনা করা হয়।
নামাজের আগে আমবয়ানে মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন দেশকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্ত করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বপ্ন নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন, সেই স্বপ্ন পূরণ করতে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে। দেশ গঠনে সন্তানদের সুক্ষিশিত করতে হবে। সন্তানদের প্রতি দায়িত্ব সুন্দরভাবে পালন করতে হবে।
জাতীয় ঈদগাহ মাঠে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, সংসদ সদস্যগণ, ঊর্ধ্বতন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, বিদেশি কূটনীতিক, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগণসহ সর্বস্তরের মুসল্লিরা জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাতে অংশ নেন। নারীদের নামাজের জন্য রাখা হয়েছে আলাদা ব্যবস্থা। এখানে প্রায় ৩৫ হাজার নারী-পুরুষ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন। ঈদের প্রধান জামাতকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল পরিমাণ সদস্য মোতায়েন করা হয়।
মামুন/রফিক