ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস 

বিশ্বজিৎ ঘোষ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৫৫, ১৭ মার্চ ২০২৪   আপডেট: ১৬:৫৬, ১৭ মার্চ ২০২৪
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস 

১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনটিই আমরা জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতার মহান স্থপতি, একটি জাতিরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা, বিশ্বের নিপীড়িত, নির্যাতিত মানুষের মহান নেতা- এ কথা যেমন আমরা জানি, তেমনি জানি তিনি ছিলেন শিশুদের পরম বন্ধু। শিশুপুত্র রাসেলই যেন অস্তিত্ববান হয়ে উঠতো পৃথিবীর সকল শিশুর মাঝে, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কাণ্ডারী সব শিশুই যেনো হয়ে উঠতো তাঁর চোখে একজন রাসেল। সে-সূত্রে তাঁর জন্মদিনটিকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করা ছিল বাংলাদেশ সরকারের এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। 

প্রতি বছর অক্টোবর মসের প্রথম সোমবার পৃথিবীজুড়ে পালিত হয় বিশ্ব শিশু দিবস। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশেও পালিত হয়। পক্ষান্তরে ১৭ই মার্চ বাংলাদেশে পালিত হয় জাতীয় শিশু দিবস। বিশ্ব শিশু দিবসের আয়োজক সংস্থা ইউনিসেফ এবং আন্তর্জাতিক শিশু কল্যাণ ইউনিয়ন। জাতীয় শিশু দিবসের আয়োজক সংস্থা বাংলাদেশ সরকার। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পৃথিবীর দেশে দেশে বহু মানুষ নিহত হয়, নিহত ও আহত হয় অসংখ্য শিশু, অনেক শিশু হড়ে পড়ে এতিম। ১৯২৪ সালে জেনেভায় অনুষ্ঠিত লীগ অব নেশনসের কনভেশনে ঘোষণা করা হয়- মানবজাতির সর্বোত্তম যা কিছু দেবার আছে, শিশুরাই তা পাবার যোগ্য। শিশুদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য পৃথিবীর রাষ্ট্রসমূহের প্রতি কনভেশন থেকে আহ্বান জানানো হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পুনরায় লক্ষ লক্ষ শিশু নিহত ও আহত হয়, অসংখ্য শিশু হড়ে পড়ে এতিম কিংবা অসহায়। ১৯৪৫ সালে পারমাণবিক বোমার তেজস্ক্রিয়তায় অসংখ্য শিশু হয়ে পড়ে বিকলাঙ্গ। এ সবের প্রেক্ষাপটে দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে ১৯৮৯ সালের ২০শে নভেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে গৃহীত হয় শিশু-অধিকার সনদ।

বিশ্ব শিশু দিবস শিশুদের প্রতি মানবিক আচরণের আহ্বান জানায়, শিশুদের চেতনায় আন্তর্জাতিক ভাবনা বিকাশের আহ্বান জানায়। বিশ্ব মানব সম্পদ বিকাশে এই দিবসের তাৎপর্য তাই অপরিসীম। পক্ষান্তরে জাতীয় শিশু দিবস শিশুদের চেতনায় নিজ জাতিসত্তা উপলব্ধির আহ্বান জানায়। জাতীয় শিশু দিবস শিশুদের অন্তরে জাতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য উপলব্ধির অবারিত এক সুযোগ এনে দেয়। এ কথা সত্য যে, জাতীয় চেতনায় বিকশিত হয়েই উত্তীর্ণ হতে হয় বিশ্ব চেতনায়। তাই বিশ্ব শিশু দিবসের মতোই জাতীয় শিশু দিবসের তাৎপর্য ও অপরিসীম। পৃথিবীর যে-কোনো দেশের শিশুই প্রথমে জাতীয় সত্তায় বিকশিত হবে- তারপর নিরন্তর সাধনায় ক্রমে পৌঁছে যাবে বিশ্ব মনবিক সত্তায়। এই বিশ্ব চেতনার কথা বিবেচনা করলে বিশ্ব শিশু দিবসের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে উদযাপন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন একটা অনুষঙ্গ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শৈশব থেকেই ছিলেন শিশু তথা মানবদরদি। বর্ষায় ছাতা না থাকার ফলে শিশু শিক্ষর্থী ভিজে গেছে দেখে নিজের ছাতাটি তাকে দিয়ে দেওয়া, কিংবা শীতে কাঁপতে থাকা বৃদ্ধ ব্যক্তিকে নিজের গায়ের চাদর দেওয়া এসব  কথা তো বঙ্গবন্ধুর জীবনে কিংবদন্তী হয়ে গেছে। প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থী থাকার সময় সহপাঠীদের সহয়তায় গ্রামে পাঠশালা তৈরি করেছিলেন দরিদ্র শিশুদের জন্য। অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রাবস্থায় শিক্ষার্থীদের অসুবিধার কথা ভেবে প্রথম মন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর কাছ থেকে ছাত্রবাস মেরামতের অর্থ আদায় করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। একথা ও আজ কিংবদন্তী। বঙ্গবন্ধুর শৈশবকালীন এসব ঘটনা থেকে আমরা উপলব্ধি করতে পারি শিশু-কিশোর তথা মানুষের জন্য তাঁর ভালোবাসা ছিল কতো গভীর!

উত্তরকালে, বঙ্গবন্ধু যখন স্বাধীন দেশের প্রধানমন্ত্রী কিংবা রাষ্ট্রপতি, শিশুদের প্রতি তাঁর এই ভালোবাসা ও সহানুভূতি আরও প্রবল হয়েছে। জটিল সংকটময় রাষ্ট্রীয় পরিস্থিতির মধ্যেও যখন তিনি শিশুদের সঙ্গে মিলিত হবার সুযোগ পেতেন, তখন সব বিস্মৃত হয়ে নিজেই যেন সরল এক শিশু হয়ে যেতেন। শিশু সত্তায়  তিনি মিশে যেতেন অন্য শিশুদের সাথে। বঙ্গবন্ধুর জীবন-ইতিহাস থেকে এমন দু-একটা অনুষঙ্গ বিধৃত  করলেই অনুধাবন করা যাবে শিশুদের প্রতি তাঁর মায়া আর ভালোবাসার মাত্রা।
১৯৭২ সালের মার্চ মাস। বঙ্গবন্ধু যাবেন সোভিয়েত ইউনিয়নে রাষ্ট্রীয় সফরে। তিনি সেখানে কিছু উপহার নিয়ে যেতে চাইলেন। শিল্পাচার্য পরামর্শ দিলেন একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে শিশুদের আঁকা ছবির অ্যালবাম নেওয়ার কথা। বঙ্গবন্ধু মহাখুশি। তাঁর দেশের মুক্তিযুদ্ধের ছবি শিশুরা আঁকবে, আর তা দেওয়া হবে মুক্তিযুদ্ধের সহয়তাকারী অন্যতম শক্তি সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের হাতে। শিল্পাচার্যের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ১৫জন শিশু মোট ৩০টি ছবি আঁকানো। সুন্দর একটা অ্যালবামে ছবিগুলো বঙ্গবন্ধুর হাতে দেওয়ার ব্যবস্থা হলো। সিদ্ধান্ত হলো শিশু-চিত্রশিল্পীদেরও নিয়ে যাওয়া হবে বঙ্গবন্ধুর কাছে।

কিন্তু বাদ সাধলো গণভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সারাদিন বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় কাজে বঙ্গবন্ধু ব্যস্ত থাকেন-  এতগুলো ‘বাচ্চা-কাচ্ছা’ নিয়ে গেলে তাঁর কাজে বিঘ্ন ঘটবে। তাই ওদের নেওয়া যাবে না-  এ কথা জানিয়ে দিলেন নিরাপত্তা কর্মকর্তা। কীভাবে যেন কথাটা পৌঁছলো বঙ্গবন্ধুর কাছে। তিনি তৎক্ষণাৎ তাঁর কাছে শিশু-শিল্পীদের নিয়ে আশার নির্দেশ দিলেন। শিশুরা ভিতর ঢুকতেই বঙ্গবন্ধু দাঁড়িয়ে উঠলেন, ওদের অভ্যর্থনা জানালেন। শিশুদের ছবি দেখে বঙ্গবন্ধু মুগ্ধ হলেন, হলেন অভিভূত, একইসঙ্গে বেদনাবিহ্বল। শিশুদের ছবিতে ফুটে উঠেছে গণহত্যার ভয়াবহতা, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মমতা- একই সঙ্গে বাঙালির প্রতিরোধের কথা। ছবিগুলো দেখে বঙ্গবন্ধু চোখ অশ্রুসজল হলো। তিনি ক্ষুদে শিল্পীদের বুকে জড়িয়ে ধরে আদর কর বললেন, আজকের কর্মব্যস্ত দিনের মধ্যে এই একটুখানি সময়ের জন্য আমি শান্তি পেলাম। শিশুদের সান্নিধ্য আমাকে সব অবসাদ থেকে মুক্তি দিয়েছে।

১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাস। গুলিস্তানের শহীদ মতিউর শিশুপার্কে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কচি-কাঁচার মেলার জাতীয় শিক্ষা শিবির। তৎকালীন ১৭টি জেলা থেকে শিশুরা এসেছে শিবিরে প্রশিক্ষণ নিতে। শিবির পরিদর্শনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু শিবিরের সমাপ্তি দিনের সকালে তিনি খবর পাঠালেন ব্যস্ততার জন্য যেতে পারবেন না। তবে তিনি শিশুদের সঙ্গে দেখা করতে চান। সব শিশু যেন গণভবনে এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করে। তিনি শিশুদের আনার জন্য অনেক বাস পাঠালেন। ১৭ জেলার শত শত শিশু গণভবনের আঙিনায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলো। কচি-কাঁচার মেলার টুপি পরিধান করে বঙ্গবন্ধু শিশুদের গার্ড অব অনার পরিদর্শন করলেন, মার্চ পার্স্টের সালাম গ্রহণ করলেন। শিশুদের লাঠিখেলা দেখে তিনি মুগ্ধ হলেন, সবার হাতে তুলে দিলেন মিষ্টির প্যাকেট। চঞ্চল এক শিশুকে ডেকে নাম জানতে চাইলেন বঙ্গবন্ধু। ঘটনাচক্রে ওই শিশুর নাম ছিল মজিবর রহমান। শিশুর নাম শুনে উচ্ছ্বসিত বঙ্গবন্ধু ছেলেটিকে জড়িয়ে ধরে জোরে বলে উঠলেন ‘পেয়েছি, আমার মিতাকে পেয়েছি।’

১৯৭৫ সালের ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবস। বঙ্গবন্ধুকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য চারটি শিশু-সংগঠনের আটশো শিশু সমবেত হলো নতুন গণভবন প্রাঙ্গণে। জাতীয় প্রতিষ্ঠান কচি-কাঁচার মেলা ও খেলাঘর আসর এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান বয় স্কাউটস্ ও গার্লস গাইডসের ছেলেমেয়েরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে, বঙ্গবন্ধুর আগমনের প্রতীক্ষায়। বঙ্গবন্ধু এলেন শিশুদের সঙ্গে ঘুরতে ঘুরতে তিনি নিজেও হয়ে উঠলেন এক চঞ্চল শিশু। রাষ্ট্রীয় কোনো প্রটোকলের বালাই নেই, নেই নিরাপত্তার তোড়জাড়। শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা আর দুষ্টুমিতে বঙ্গবন্ধু সময় কাটাচ্ছেন মহা আনন্দে। শিশুদের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে তিনি গাইছেন- আমরা রক্ত দিয়ে দেশ এনেছি, দেশ আমাদের প্রাণ। 

চাওয়া মাত্র শিশুদের তিনি অটোগ্রাফ দিচ্ছেন, নিরাশ করছেন না কেউকে, বলছেন না ব্যস্ততার কথা। বয়স্করা শিশুদের শৃঙ্খলা রক্ষা করার কথা বললে, বঙ্গবন্ধু বলে উঠলেন-  ওরা শিশু, ওদের এতো শৃঙ্খলা কিসের? এখন খেলার বয়স, চঞ্চলতার বয়স। হঠাৎ বঙ্গবন্ধু বললেন, এই গণভবন তোদের। ইচ্ছামতো খেলা কর। তবে দেখিস আমার চারাগাছগুলো যেন নষ্ট না হয়। বঙ্গবন্ধু নির্দেশ পাবার সঙ্গে সঙ্গে শিশুরা সারি ভেঙে এদিক- ওদিক ছোটাছুটি শুরু করলো। বঙ্গবন্ধু মহাখুশি। হঠাৎ বঙ্গবন্ধু বললেন, চল, তোদের মাছ দেখাই।

বলেই তিনি শিশুদের নিয়ে গেলেন গণভবনের পূর্বপাশে পাড়- বাঁধানো পুকুরের কাছে। বঙ্গবন্ধু সজোরে তিনবার হাততালি দিলেন- মাছেরা এসে হাজির।  শিশুদের বঙ্গবন্ধু বললেন, দেখ মাছেরা কথা শোনে, কিন্তু মানুষকে সহজে কিছু শোনানো যায় না।’

মাছের খেলা দেখার জন্য শিশুরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। বঙ্গবন্ধু তাকে ঘিরে রাখা দেহরক্ষীদের সতর্ক করে বললেন, তোরা এখানে আমাকে কেন পাহারা দিচ্ছিস? দেখছিস না, শিশুরা ছুটাছুটি করছে। শিশুদের পাহারা দে, যাতে একটি শিশুও পুকুরে পড়ে না যায়।

মাছের খেলা দেখে শিশুদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু ফিরে এলেন গণভবনের সবুজ লনে। শিশুদের সঙ্গে খেলায় পুনরায় মেতে উঠলেন বঙ্গবন্ধু। ক্রমে বিদায় নেওয়ার সময় এলো। শিশুরা সরিবদ্ধভাবে শৃঙ্খলার সাথে বেরিয়ে আসছিল গণভবন থেকে। বঙ্গবন্ধু শিশুদের সাথে গণভবনের প্রধান ফটক পর্যন্ত এলেন, সবাইকে বিদায় দিলেন। গণভবনের সামনের রাস্তায় তখন কয়েকটা গাড়ি চলছিল। গার্ডকে ডেকে বললেন, শিশুরা না যাওয়া পর্যন্ত কোনো গাড়ির চাকা ঘুরবে না। বলে দিস, এটা প্রেসিডেন্টের অর্ডার। শিশুরা যাতে দুর্ঘটনায় না পড়ে সেজন্য বঙ্গবন্ধু সেদিন দিয়েছিলেন এই নির্দেশ। 

এখান একটা কথা বলা খুব জুরুরি। বঙ্গবন্ধুর সেদিনের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য গণভবনে উপস্থিত হয়েছিলেন বিদেশি বহু কূটনীতিক, বহু গণ্যমান্য ব্যক্তি। তাদের সাথে কথা বলার সময়েই যখন শিশুরা গণভবনে এলো, তিনি কোনো কথা না বলে মুহূর্তেই চলে এসেছিলেন শিশুদের কাছে। সেদিন তিনি কোনো প্রোটোকল মানেননি। এমনকি রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে শিশুদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য যেখানে মাত্র পনেরো মিনিট বরাদ্ধ ছিল, মন্ত্রীদের পীড়াপীড়িতে বঙ্গবন্ধু যখন পুনরায় কূটনীতিকদের কাছে গেলেন ততক্ষণে পেরিয়ে গেছে পুরো দেড় ঘণ্টা।

বঙ্গবন্ধু যেমন ছিলেন কঠোর কঠিন, তেমনি ছিলেন সরল এক শিশু। শিশুর সারল্য তাঁকে মুগ্ধ করতো, তাঁর ভালো লাগতো শিশুর চাঞ্চল্য। শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর মায়া আর ভালোবাসা অভিন্ন সত্তায় ছড়িয়ে পড়ুক বাংলাদেশের সব শিশুর অন্তরে, বিশ্বের সব শিশুর চিত্তলোকে। এবং এভাবেই তারা হয়ে উঠুক বিশ্ব-নাগরিক।
 

তারা//

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়