ঢাকা     শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ ||  শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

পিলখানার হত্যাকাণ্ডের পেছনে কী ছিল মানুষ তা জানতে চায়: মঈন খান

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:০২, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  
পিলখানার হত্যাকাণ্ডের পেছনে কী ছিল মানুষ তা জানতে চায়: মঈন খান

পিলখানার হত্যাকাণ্ডের পেছনে কী ছিল মানুষ সেই সত্যি জানতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। 

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বনানীর সামরিক কবরস্থানে পিলখানা ট্র্যাজেডির ১৫ বছর উপলক্ষে বিএনপির পক্ষ থেকে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির এ নেতা বলেন, আমি একটি কথায় বলি, বিচারকার্যে হস্তক্ষেপ করা যুক্তিযুক্ত নয়। আমাদের বিচারকরা তাদের নীতিতে অবিচল থেকে ন্যায়বিচারের মাধ্যমে এ বিষয়টি অতি দ্রুত সুরাহা করবেন ১৫ বছর পরে সেই প্রত্যাশা করি।

ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ১৫ বছরের আগে বিডিআরের যে শোকাবহ ঘটনা ঘটেছিল সেই ক্ষত দিয়ে আজও বাংলাদেশের মানুষের বুকের রক্ত ঝরে পড়ছে। আমরা আজও জানি না এই ঘটনার পেছনের ইতিহাস কি। আমরা সেই শোক বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছি।

তিনি বলেন, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধেও এমন কোনো একটি স্থানে এমন ঘটনা ঘটেনি যেখানে একসঙ্গে ৫৭ জন অফিসার প্রাণ দিয়েছেন। এই ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে, এই ঘটনা যবনিকার পেছনে কী ছিল আজকে বাংলাদেশের মানুষ সেই সত্যি জানতে চায়।

বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলা ভাষায় একটি কথা আছে- ‘বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে’। আমরা শুনেছি সেই বিচারকার্য এখনও ঝুলে আছে। কেন ঝুলে আছে? যাদেরকে কারাবন্দী করে রাখা হয়েছে তাদের আজকে পর্যন্ত বিনা বিচারে কারাবাস করা হয়েছে। একটি জাতির ইতিহাসে এমন দুঃখজনক ঘটনা কোন জাতির ইতিহাসে কখন ঘটেছে তা আমাদের জানা নেই।

ড. আব্দুল মঈন খান আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক যেন সুশাসন ও আইনের মাধ্যমে ন্যায় বিচার ফিরে পায়৷ অপরাধী শাস্তি পাবে সেই সম্পর্কে আমাদের কিছু বলার নেই।

পিলখানার ঘটনার দিন খালেদা জিয়ার গাড়ি সন্দেহজনক ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল খারুক খান। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, আমি ব্যক্তিপর্যায়ে কোনো কথা বলতে চাই না।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি দুই দিনে তৎকালীন বিডিআর বর্তমানে বিজিবি সদর দপ্তর পিলখানায় হত্যা করা হয় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে। ওই ঘটনায় একটি হত্যা ও একটি বিস্ফোরক মামলা করা হয়। মামলায় ১৫২ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। এর মধ্যে হাইকোর্টে এসে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১৪৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল থাকে।

মেয়া/এনএইচ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়