ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ৩০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

শেখ হাসিনা এসেছিলেন বলেই দেশ উন্নয়নের রোল মডেল: নানক

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:২৭, ১৭ মে ২০২৪  
শেখ হাসিনা এসেছিলেন বলেই দেশ উন্নয়নের রোল মডেল: নানক

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ফিরে এসেছিলেন বলেই বাংলাদেশ, বাঙালি জাতি ও আজকের প্রজন্ম স্বপ্ন দেখছে, স্বপ্ন দেখা শিখেছে। বাংলাদেশ আজকে বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সেমিনারটি আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম।

আরো পড়ুন:

জাতির জন্য তিনটি প্রত্যাবর্তন খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে নানক বলেন, প্রথম প্রত্যাবর্তনটি হলো ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি   বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। সেদিন বঙ্গবন্ধু যদি ফিরে না আসতে পারতেন তাহলে বাংলাদেশ আর থাকত না। দ্বিতীয় প্রত্যাবর্তনটি হলো ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন। সেদিন যদি শেখ হাসিনা না ফিরে না আসতেন তাহলে বাংলাদেশ কেমন বাংলাদেশ হতো? যে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি সেই বাংলাদেশ এবং নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নিজের পরিচয় দেওয়া অসম্ভব ব্যাপার ছিল। তৃতীয় প্রত্যাবর্তনটি হচ্ছে ২০০৮ সালের ৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। সেদিনও যদি শেখ হাসিনা ফিরে না আসতেন, তাহলে কী হতো এই বাংলাদেশের।

তিনি বলেন, ‘এই বাংলাদেশ থেকে জয়বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ ছিল, ৭ মার্চের ভাষণকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এই বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধারা কোথাও পরিচয় দিতে পারত না। এই বাংলাদেশ হতো গোলাম আজম, জেনারেল জিয়া, সাকা চৌধুরী, নিজামী ও কাদের মোল্লাদের বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশে ফিরে এসে শেখ হাসিনাকে ত্রিমাত্রিক লড়াই করতে হয়েছে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘ওরা বেহায়া, ওদের লজ্জা নেই। যা বলবেন বুঝে শুনে বলবেন। ইট মারলে পাটকেল খাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবেন।’

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে নানক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেন, একটা সাংবিধানিক সরকারকে উৎখাত করলেন। সেই জেনারেল জিয়াদের মাধ্যমে বাংলাদেশে কারা আশ্রিত হলো? সেই পঁচাত্তরের খুনিরা। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের শুধু ফিরিয়ে আনা হলো না, তাদের রাজনীতি করার অধিকার দেওয়া হলো। ২৪ বছরের সংগ্রামের মাধ্যমে যাদের আমরা বিদায় করেছিলাম, তাদের আবার ফিরিয়ে এনে দেশকে একটা অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করা হলো। এমন প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন ছিল একটা সাহসী সিদ্ধান্ত।’

বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সভাপতি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় আরও ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

/পারভেজ/সাইফ/

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়