ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ৩০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

শীতে সুস্থ থাকতে যেসব খাবার গুরুত্বপূর্ণ

দেহঘড়ি ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৩৮, ২৭ নভেম্বর ২০২২  
শীতে সুস্থ থাকতে যেসব খাবার গুরুত্বপূর্ণ

ঠান্ডার মৌসুম এসে পড়েছে। এসময় ফ্লু, ঠান্ডাজ্বর, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগ শরীরকে সহজেই কাবু করে ফেলতে পারে। তাই শীতে সুস্থ থাকতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করার দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতে ডায়েটে সেসব খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে সংক্রমণকে সহজেই পরাস্ত করতে পারে। এর ফলে রোগে ভুগলেও গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। সুস্থ থাকার জন্য ডায়েটে পুষ্টিকর খাবারের বৈচিত্র্য থাকা উচিত। এখানে শীতকালে সুস্থ থাকার জন্য যেসব খাবারে গুরুত্বারোপ করা উচিত তার একটি তালিকা দেয়া হলো।

* সাইট্রাস ফল: কমলা ও মোসাম্বির মতো সাইট্রাস ফল ভিটামিন সি-তে সমৃদ্ধ। ভিটামিন সি শরীরের রোগদমন তন্ত্রকে সাহায্য করে থাকে। প্রতিদিন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর ৭৫ মিলিগ্রাম এবং প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের ৯০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি গ্রহণ করা উচিত। একটি মাঝারি আকারের কমলা থেকে প্রায় ৭০ মিলিগ্রাম, একটি মোসাম্বি থেকে প্রায় ৮০ মিলিগ্রাম এবং একটি লেবু থেকে প্রায় ৩০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি পাওয়া যায়। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করে ত্বক ও রক্তনালীকে সুস্থ রাখে এবং শরীরের রোগদমন তন্ত্রকে উন্নত করে।

* সবুজ শাকসবজি: পালংশাক, বাঁধাকপি ও অন্যান্য সবুজ শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে। এটি রোগদমন তন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

* লাল ক্যাপসিকাম: শরীরেরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য খুবই উপকারী একটি খাবার হলো, লাল ক্যাপসিকাম। কারণ এতে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি এর পাশাপাশি বিটা ক্যারোটিনও আছে। ভিটামিন সি সুস্থতার পথকে সহজ করে। ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিনও সংক্রমণ থেকে দ্রুত মুক্তি দিতে অবদান রাখে।

* দই: স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, দইয়ে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে, যা হাড় ও ত্বককে সুস্থ রাখতে পারে। সুস্থ টিস্যু হলো সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরক্ষা। ত্বক সুস্থ থাকলে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। প্রোটিন ছাড়াও অধিকাংশ দইয়ে উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে। দই খেলে অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় থাকে। গবেষকদের মতে, সংক্রমণের বিরুদ্ধে ইমিউন সিস্টেমের অধিক ফলপ্রসূ লড়াইয়ের জন্য অন্ত্রের সুস্থতাও গুরুত্বপূর্ণ।

* গ্রিন টি: গ্রিন টি-তে খুব উচ্চ পরিমাণে ক্যাটেচিনস ও পলিফেনলস রয়েছে। এসব অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষের ক্ষতি এড়াতে সাহায্য করে।কোষ সুস্থ থাকলে শরীরের রোগদমন তন্ত্র সংক্রমণের বিরুদ্ধে ভালো প্রতিক্রিয়া (ইমিউন রেসপন্স) দেখাতে পারে।

* আদা: আদায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব প্রিভেন্টিভ মেডিসিনে প্রকাশিত গবেষণা মতে, আদা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সাপোর্ট করে এবং ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা গোটা আদা ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন। তরকারিতে বা চায়ে গোটা আদা ব্যবহার সবচেয়ে উপকারী।

* রসুন: স্বাস্থ্যের উপকার বিবেচনায় শতশত বছর ধরে রসুনের ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি হৃদরোগ, উচ্চ কোলেস্টেরল, ফ্লু ও ঠান্ডাজ্বরে উপকারী বলে ধারণা করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, রসুনে বিদ্যমান অ্যালিসিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে এবং ইমিউন সিস্টেমকে সহায়তা করে। রঙ চায়ে রসুনের নির্যাস মিশিয়ে পান করতে পারেন।

* হলুদ: বিশেষজ্ঞদের মতে, হলুদ শরীরের রোগদমন ক্ষমতা বাড়াতে পারে। শীতকালে হলুদ চা বা হলুদ পানি পান করতে পারেন। অথবা তরকারিতে হলুদের ব্যবহার বাড়াতে পারেন।

তথ্যসূত্র: হেলথ লাইন

/ফিরোজ/

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়