ঢাকা     রোববার   ১৯ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

অ্যাপসের বাজার সম্প্রসারণে চাই এপিআই এক্সচেঞ্জ

মনিরুল হক ফিরোজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২৩, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অ্যাপসের বাজার সম্প্রসারণে চাই এপিআই এক্সচেঞ্জ

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : দেশের অ্যাপস ডেভেলপমেন্টে অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে অ্যাকসেস পয়েন্ট ইন্টারফেস (এপিআই) এক্সচেঞ্জের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন বক্তারা।

বক্তারা বলেন, অ্যাপস ডেভেলপমেন্টকে সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে যাওয়ার জন্য এপিআই এক্সচেঞ্জ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা প্রতিটি অ্যাপসের জন্য তথ্যসমৃদ্ধ ব্যাকএন্ড প্রয়োজন। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিজ্ঞান, গবেষণা ও উদ্যোক্তাদের জন্য ন্যাশনাল এপিআই এক্সচেঞ্জ সময়ের দাবি।

১ ফেব্রুয়ারি, বেসিস সফটএক্সপোর প্রথমদিন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের গ্রিন ভিউ হলে এপিআই এক্সচেঞ্জ নিয়ে একটি টেকনিক্যাল সেশনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

উইনটেল লিমিটেডের চেয়ারম্যান এটিএম মাহবুবুল আলমের সঞ্চালনায় সেশনে সভাপতিত্ব করেন বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার। এতে বক্তব্য রাখেন উইনটেলের ন্যাশনাল মোবাইল অ্যাপ অ্যাওয়ারনেস অ্যান্ড কেপাসিটি বিল্ডিং প্রোগ্রামের টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, ইএটিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মুবিন খান, এডিসন গ্রুপের এস স্টোরের চেয়ারম্যান রেজওয়ানুল হক এবং ই.বি. সল্যিউশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাফিউর রহমান খান ইউসুফজাই প্রমুখ।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এপিআই এক্সচেঞ্জ হল একটি উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম, যেখানে অ্যাপস ডেভেলপাররা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তথ্য নিজেদের অ্যাপসের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবেন। এতে কোনো অ্যাপস ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে প্রকৃত তথ্য ব্যবহার করে অ্যাপসকে সমৃদ্ধ করা সম্ভব।’

ইএটিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মুবিন খান বলেন, ‘মোবাইল অ্যাপসে বাংলাদেশে বিপ্লব হচ্ছে। অগমেন্ট রিয়েলিটি (এআর) এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) নিয়ে কাজ হচ্ছে। আমাদের দেশের ছেলেরা অনেক মেধাবী। তরুণ অ্যাপস ডেভেলপাররা অ্যাপস তৈরি করার এক পর্যায়ে গিয়ে হোঁচট খাচ্ছে। তাদের প্রয়োজনীয় ডাটার অ্যাকসেস পাচ্ছে না। সরকারি ডাটাবেজ উন্মুক্ত না করার ফলে তথ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ ব্যবহারকারীরা। এজন্যই ন্যাশনাল এপিআই এক্সচেঞ্জ দ্রুত চালু করা উচিত। এপিআই এক্সচেঞ্জের সুবিধা পেলে অ্যাপসের মাধ্যমে মানুষ ঘরে বসে আরো সরকারি তথ্য পেত।’

রেজওয়ানুল হক বলেন, ‘মোবাইল ফোন ব্যবহার করার জন্য সবার আগে ডিভাইস গুরুত্বপূর্ণ। দেশে ৮ কোটি মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী রয়েছে। এদের মধ্যে স্বল্প সংখ্যক মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করে। ২০২০ সালের মধ্যে মোট মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর মধ্যে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। আমাদের বিশাল বড় অ্যাপসের মার্কেট তৈরি হচ্ছে। এজন্য এপিআই ব্যাকবোন তৈরি করা উচিত।’

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘সরকার ২৮২ কোটি টাকার মোবাইল অ্যাপস এবং গেমস ডেভেলপমেন্টের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। কিন্তু তারা এখনো এপিআই এক্সচেঞ্জের গুরুত্ব বুঝে উঠতে পারেনি। আমার মতো অনেকেই এখনো এপিআই এক্সচেঞ্জের গুরুত্ব সম্পর্কে বুঝে উঠতে পারেনি। আজকের এই কর্মশালায় অনেকেই এপিআই এক্সচেঞ্জ স¤পর্কে ধারণা পেয়েছেন। দেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে অ্যাপসের বাজার বিশাল। ইউরোপের বাজারের চেয়েও আমাদের দেশের অ্যাপসের বাজার বড়। কিন্তু চ্যালেঞ্জ হল এই অ্যাপস বাজারজাত করা। এজন্য এপিআই এক্সচেঞ্জ দরকার। সবার আগে অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট প্লাটফর্ম তৈরি করতে হবে। বেসিস এই প্লাটফর্ম তৈরি করতে আইসিটি ডিভিশনসহ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবে।’

এটিএম মাহবুবুল আলম বলেন, ‘দেশে এখনো এপিআই এক্সচেঞ্জ হয়নি অথচ প্রতিদিন অজস্র অ্যাপস তৈরি হচ্ছে। অ্যাপস ডেভেলপারদের জন্য একটি কমন প্ল্যাটফর্ম দরকার। শেয়ার বাজারে যেমন ক্রেতা, বিক্রেতা এবং শেয়ার বিপণনকারীদের মধ্যে একটি আন্তযোগাযোগ থাকে তেমনি অ্যাপস ডেভেলপারদের মধ্যে একটি আন্তযোগাযোগের জন্য এপিআই এক্সচেঞ্জ থাকা উচিত। এতে নিরাপত্তাজনিত কোনো সমস্যা থাকবে না। কারণ প্রত্যেকটি অ্যাপস ডেভেলপারস বেসিসের ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি রেজিস্ট্রেশন (আইপিআর) দ্বারা সুরক্ষিত। এতে অ্যাপস শেয়ার সম্পূর্ণ নিরাপদ। তাই দেশের অ্যাপস বা গেমস বাজারকে সমৃদ্ধ করার আগে এপিআই এক্সচেঞ্জকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়