ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড দ্বিতীয় ওয়ানডে পরিত্যক্ত

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৩৫, ২০ মার্চ ২০২৩   আপডেট: ২০:৪১, ২০ মার্চ ২০২৩
বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড দ্বিতীয় ওয়ানডে পরিত্যক্ত

বাংলাদেশ: ৩৪৯/৬ (৫০ ওভার) 

বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিতীয় ওয়ানডেটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ম্যাচ শুরুর শেষ সময় ৯টা ৩৩ মিনিট নির্ধারণ করা হলেও বৃষ্টির গতি-প্রকৃতির কারণে শেষ পর্যন্ত ৮টা ৩২ মিনিটে ম্যাচ অফিসিয়ালরা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন।

সিলেটে মুষলধারে বৃষ্টি, খেলা শুরু হতে দেরি:

আয়ারল্যাড ইনিংস শুরুর আগে সিলেটে হানা দেয় বৃষ্টি। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টি ঝরছে। ম্যাচ শুরুর শেষ সময় ৯.৩৩ মিনিট। এর মধ্যে খেলা শুরু না করা সম্ভব হলে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হবে। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৩৪৯ রান করে।  

মুশফিকের দ্রুততম সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড

মাত্র ৬০ বলে সেঞ্চুরি করলেন মুশফিক। এর আগে ৬৩ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন সাকিব আল হাসান। ১৪টি চার ও ২টি ছয়ে তার সেঞ্চুরির ইনিংসটি সাজানো ছিল। এর আগে ফিফটি করেছিলেন ৩৩ বলে। পরের ফিফটি আসে মাত্র ২৭ বলে। তার দ্রুততম সেঞ্চুরির দিনে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে। এদিন বাংলাদেশ ৬ উইকেটে ৩৪৯ রান করে। এর আগে প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ তাদের বিপক্ষেই ৩৩৮ রান করেছিল। একদিন বাদেই নিজেদের রেকর্ড নিজেরাই ভাঙল লাল সবুজের দল। ফিফটি করেন লিটন (৭০) ও শান্ত (৭৩)। মাত্র ১ রানের জন্য ফিফটি মিস করেন তাওহীদ হৃদয়। আইরিশদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন গ্রাহাম হুম।  

একদিনও টিকলো না রেকর্ড

একদিনও টিকলো না রেকর্ড। প্রথম ওয়ানডেতে ৩৩৮ রান করে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৪৯ ওভারেই ৩৩৯ রান করে সেই রেকর্ড টপকে যায় লাল সবুজের দল। 

৪৯ রানে হৃদয়ের বিদায় 

অভিষেক ওয়ানডেতে ৮ রানের জন্য পাননি সেঞ্চুরি। একদিন বিরতি দিয়ে হৃদয় এবার আউট হলেন ৪৯ রানে। অ্যাডায়ারের বলে খোঁচা দেন উইকেটের পেছনে। মাত্র ৩৪ বলে ৪টি চার ও ১টি ছয়ে এই রান করেন তরুণ এই ব্যাটসম্যান। তার আউটে ভেঙে যায় মুশফিকের সঙ্গে গড়া মাত্র ৭৮ বলে ১২৮ রানের জুটি। ক্রিজে মুশফিকের সঙ্গী ইয়াসির। 

ঝড়ো ফিফটিতে মুশফিকের ৭ হাজার

ঝড়ো ফিফটিতে মুশফিকের ৭ হাজার রান। আইরিশদের বিপক্ষে দেখা যাচ্ছে পুরোনো মুশফিককে। প্রথম ম্যাচে ফিফটির কাছে গিয়ে ফিরেছেন, দ্বিতীয় ম্যাচে আর এই ভুলটা করেননি। অ্যাডায়ারের শর্ট বলে পয়েন্টে কাট করে ছয় হাঁকিয়ে মাত্র ৩৩ বলে ফিফটির দেখা পান। ফিফটির পরেই কার্টিস ক্যাম্পারকে হাঁটু গেঁড়ে মিড অফে দারুণ এক চারে তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ৭ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। গতকাল সাকিব আল হাসান এই রেকর্ড গড়েছিলেন। এর আগে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে কৃতিত্ব অর্জন করেন তামিম। মুশফিক ফিফটির পর যেন আরও আগ্রাসী। সঙ্গে থাকা হৃদয়ও খেলছেন ঝড়ো ইনিংস। দুজনের জুটি থেকে মাত্র ৬৩ বলে শতারান আসে। ৪৪.২ ওভারে বাংলাদেশ পার করে দলীয় ৩০০ রান। 

মুশফিক-হৃদয়ের ফিফটির জুটিতে এগোচ্ছে বাংলাদেশ

পরপর দুই সেট ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান-নাজমুল হোসেন শান্তর বিদায়ে কিছুটা ব্যাকফুটে পড়ে বাংলাদেশ। তবে সেটি বুঝতেই দেননি মুশফিকুর রহিম-তাওহীদ হৃদয়। দুই প্রান্তে দুজনে খেলছেন দারুণ। সুযোগ পেলেই হাঁকাচ্ছেন বাউন্ডারি। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। মাত্র ৩৮ বলে দুজনের জুটি থেকে আসে ৫০ রান। 

সাকিব-শান্তর বিদায়ের পর বাংলাদেশের দুইশ

৩৫.৫ ওভারে অ্যাডায়ারকে কাভারে খেলে সিঙ্গেল নেন তাওহীদ হৃদয়। বাংলাদেশ পূর্ণ করে দলীয় ২০০। মুশফিক ২৩ ও হৃদয় ২১ রানে ব্যাট করছেন। 

৭৩ রানে থামলেন শান্ত 

গ্রাহাম হুমের লেগ স্ট্যাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দারুণ ক্যাচ নেন লরকান টকার। দুর্দান্ত খেলতে থাকা শান্তর ইনিংস থামে ৭৩ রানে। ৭৭ বলে ৩টি চার ও ২টি ছয়ে এই রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ক্রিজে দুই নতুন ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম-তাওহীদ হৃদয়। 

ছক্কা মারতে গিয়ে সাকিবের বিদায়  

গ্রাহাম হুমের আউটসাইড অফের স্লোয়ার বলে সজোরে হাঁকিয়েছিলেন সাকিব। ব্যাটে-বলে এক হয়নি। বল উঠে যায় উপরে। গালিতে সহজ ক্যাচ নেন হ্যারি টেক্টর। মাঠে নেমে প্রথম বল থেকে সাবলীল থাকা সাকিব ফিরলেন ১৮ বলে ১৭ রান করে। ভেঙে যায় শান্তর সঙ্গে ৩৯ বলে ৩৬ রানের জুটি। সাকিবের পর বিদায় নেন শান্তও। ৭৩ রান করে আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। 

লিটনের বিদায়ের পর শান্তর ফিফটি

কার্টিস ক্যাম্পারকে পুল করে ১ রান নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৫৯ বলে দেখা পান ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটির। ২টি চার ও ১টি ছয়ে সাজানো ছিল তার ফিফটির ইনিংস। পরের ওভারে আবার একটি ছয় হাঁকান। সবশেষ তিন ওয়ানডেতে শান্তর এটি দ্বিতীয় ফিফটি। 

লিটনের বিদায় 

ক্যাম্পারের বলে অহেতুক শট খেলতে গিয়ে বিদায় নেন লিটন। মিডল-লেগ স্ট্যাম্পের মাঝের বলে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ঠিকমতো টাইমিং হয়নি। বল সরাসরি জমা হয় মিডউইকেটে দাঁড়ানো বালবির্নির হাতে। ৩টি করে চার-ছয়ে ৭১ বলে ৭০ রানের দারুণ এক ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে। তার আউটে ভেঙে যায় শান্তর সঙ্গে গড়া শতরানের জুটি। ক্রিজে শান্তর সঙ্গী সাকিব। 

৯৬ বলে ১০০ রানের জুটি 

দ্বিতীয় উইকেটে ৯৬ বলে লিটন-শান্তর জুটি থেকে আসে ১০০। জুটির প্রথম পঞ্চাশ এসেছে ৫৬ বলে। পরের পঞ্চাশ আসে ৪০ বলে। 

ওয়ানডেতে লিটনের ২ হাজার 

২ হাজার থেকে ৫৫ রান দূরে থেকে আইরিশদের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন লিটন। দারুণ এক ফিফটিতে ২ হাজারি ক্লাবে নাম লেখালেন এই ব্যাটসম্যান। ৬৫ ওয়ানডতে ৩২.৯৬ গড়ে এই রান করেন লিটন। সর্বোচ্চ ১৭৬। সেঞ্চুরি ৫টি ও হাফ সেঞ্চুরি ৮টি। বাংলাদেশের নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে এই কীর্তি গড়েন লিটন। 

ছক্কা মেরে লিটনের হাফ সেঞ্চুরি

একটু পেছনে গিয়ে জায়গা করে লং অনে উড়িয়ে বাউনন্ডারি পার করলেন লিটন। ৫৩ বলে আসে তার ক্যারিয়ারের অষ্টম ফিফটি। এর আগে বাংলাদেশ ইনিংসের প্রথম ছয়ও আসে লিটনের ব্যাট থেকে। তার ফিফটির ইনিংসটি ৩টি ছয় ও ২টি চারে সাজানো। শুরুটা ধীরগতির ছিল লিটনের, ক্রিজে সেট হয়ে এখন খেলছেন তার সাবলীল খেলা। শান্তর সঙ্গে গড়া ফিফটির জুটি এগোচ্ছে সেঞ্চুরির দিকে। 

লিটন-শান্ত জুটির ফিফটি, বাংলাদেশের সেঞ্চুরি

তামিমের আউটের পর এখন পর্যন্ত কোনো বিপদ ঘটেনি বাংলাদেশের ইনিংসে। শান্তকে সঙ্গে নিয়ে ছড়ি গোরাচ্ছেন লিটন। দুজনের জুটি থেকে ইতিমধ্যে ৫৬ বলে ৫০ রান আসে। সুযোগ পেলেই হাঁকাচ্ছেন বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি। ২০তম ওভারের তৃতীয় বলে ম্যাকব্রিনকে স্লগসুইপে ছয় হাঁকিয়ে দলীয় শতরান পূর্ণ করেন শান্ত। 

রানআউট হয়ে সাজঘরে তামিম

পাওয়ার প্লের শেষ বলে গ্রাহাম হুমকে শর্ট ফাইনে খেলেন লিটন দাস। অপর প্রান্তে থাকা তামিম ইকবাল কুইক সিঙ্গেলের ডাক দিয়ে দৌড় দেন। তামিম পৌঁছানোর আগেই সেখানে থাকা ফিল্ডার অ্যাডায়ার সরাসরি থ্রো করে ভেঙে দেন উইকেট। প্রথম ৫ ওভার ধীরগতিতে খেলার পর হাত খুলে খেলার চেষ্টা করছিলে। কিন্তু রানআউটে তার ইনিংসের ইতি ঘটে। ৪ চারে ৩১ বলে ২৩ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ক্রিজে লিটনের সঙ্গী শান্ত। প্রথম পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৪২। প্রথম পাঁচ ওভারে আসে মাত্র ১৪ রান আর পরের পাঁচ ওভারে আসে ২৮ রান। 

তামিম-লিটনে বাংলাদেশের ধীরগতির শুরু

তামিম-লিটনে বাংলাদেশের ধীরগতির শুরু। আইরিশ দুই পেসার গ্রাহাম হুম-মার্ক অ্যাডায়ারকে যেন খেলতেই পারছেন না দুই ওপেনার। বাংলাদেশের প্রথম বাউন্ডারি আসে পঞ্চম ওভারে। তামিম ১৪ বলে ৭ ও লিটন ১৬ বলে ৭ রানে ব্যাটিং করছেন। 

ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ 

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার (২০ মার্চ) দুপুর ২টায় আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি বাংলাদেশ। আজ জিতলেই তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাবে স্বাগতিকরা। এই ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিং করছে স্বাগতিক শিবির।

বাংলাদেশ একাদশ

এক পরিবর্তন নিয়ে নেমেছে বাংলাদেশ। পেসার মোস্তাফিজুর রহমানের পরিবর্তে একাদশে এসেছেন হাসান মাহমুদ। হাসান সবশেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন ভারতের বিপক্ষে মিরপুরে। 

একাদশে যারা, তামিম ইকবাল, লিটন কুমার দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, তৌহিদ হৃদয়, ইয়াসির আলী চৌধুরী, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, এবাদত হোসেন চৌধুরী ও নাসুম আহমেদ।

আয়ারল্যান্ড একাদশ

এক পরিবর্তন নিয়ে নেমেছে আয়ারল্যান্ডও। অলরাউন্ডার গ্যারেথ ডেলানির জায়গায় অভিষেক হচ্ছে ম্যাথু হামফ্রেজের। ওয়ানডে ক্রিকেটে আয়ারল্যান্ডের ৬৬তম ক্রিকেটার ২০ বছর বয়সী এই বাঁহাতি স্পিনার। 

একাদশে যারা, অ্যান্ড্রু বালবার্নি (অধিনায়ক), মার্ক অ্যাডায়ার, কার্টিস ক্যাম্পার, ম্যাথু হামফ্রেজ, জর্জ ডকরেল, স্টিভেন ডোহেনি, গ্রাহাম হিউম, অ্যান্ড্রু ম্যাকব্রাইন, পল স্টার্লিং, হ্যারি টেক্টর, লর্কান টাকার।

আগ্রাসী ক্রিকেটে সিরিজ নিশ্চিত করতে চায় বাংলাদেশ 

প্রথম ম্যাচে রানের পাহাড় গড়ে ওয়ানডে ইতিহাসে রেকর্ড জয় নিয়ে সিরিজে এগিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ। এবার এক ম্যাচ হাতে রেখে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলে সিরিজ নিজেদের পকেটে পুরতে বদ্ধপরিকর তামিম ইকবালের দল। 

প্রথম ওয়ানডেত শিষ্যদের পারফরম্যান্স টেনে স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ ইঙ্গিত দিলেন আগ্রাসী ক্রিকেটের, ‘আমি মনে করি দলের সব সদস্যদের দ্বারা এটি চমত্কার প্রচেষ্টা (জয়)। বিশেষ করে তাওহিদ ও সাকিব, তারপর মুশফিক এবং ইয়াসিরও। তাদের আক্রমণাত্মক মনোভাব ছিল চমত্কার। আমরা এই মুহূর্তে আমাদের ব্র্যান্ড অব ক্রিকেট প্রদর্শন করছি। আশা করি আগামীকালও আমরা একই কাজ করব।’

ছেড়ে দেবে না আয়ারল্যান্ড

আইরিশরা প্রথম ম্যাচে ১৮৩ রানের বড় ব্যবধানে হারলেও তারা ছেড়ে কথা বলবে না। চোখে চোখ রেখে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন কোচ হেনরিক মালান। 

‘অবশ্যই, এটি ফলাফলের বিষয়ে। আমরা বুঝি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মানেই জয়-পরাজয়। আমাদের খেলায় এগিয়ে যাওয়ার জন্য এটাই পথ। আমি মনে করি আপনি যদি গত ১২ মাসের দিকে তাকান, আমরা যেভাবে খেলার চেষ্টা করেছি তাতে কিছু বড় দলকে হারানোর সুযোগ পেয়েছি। আমরা [টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছি।’

/রিয়াদ/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়