ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ওয়ালটন ফ্রিজে পরিপূর্ণ স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নতুন সংসার

জাকির হুসাইন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ৪ ডিসেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ওয়ালটন ফ্রিজে পরিপূর্ণ স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নতুন সংসার

পঙ্কজ পালের (মাঝে) হাতে লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার ও অন্যান্য পণ্য তুলে দেওয়া হচ্ছে

জাকির হুসাইন : মাত্র তিন মাস আগে বিয়ে করেছেন রাজধানীর তাঁতিবাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী পঙ্কজ পাল। স্ত্রী গ্রামের বাড়িতেই থাকেন। এ মাসে তাকে ঢাকায় আনার কথা। নতুন সংসার, টিভি, ফ্রিজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু ইলেকট্রনিক্স পণ্য প্রয়োজন। সবার আগে ফ্রিজ কেনার সিদ্ধান্ত নেন পঙ্কজ। বেছে নেন ওয়ালটনকে। আর সেই ফ্রিজ কিনেই পেয়ে যান লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার। ফলে নতুন করে আর কিছু কিনতে হয়নি তাকে। সেই ফ্রিজেই ভরে গেছে তার নতুন সংসার।

পঙ্কজ পালের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তার গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে। ব্যবসায়িক কারণে রাজধানীর তাঁতিবাজারে ভাড়া বাসায় ছোট ভাইকে নিয়ে থাকেন। তিন ভাই-বোনের মধ্যে তিনি মেজ। মা-বাবা গ্রামের বাড়িতে থাকেন। সম্প্রতি মানিকগঞ্জের ধামরাইয়ে বিয়ে করেছেন পঙ্কজ। বর্তমানে স্ত্রী সেখানেই থাকেন। তবে ডিসেম্বরের শুরুতেই ঢাকার ভাড়া বাসায় আনার কথা রয়েছে। সেখানেই নতুন সংসার শুরু করবেন তারা।

পঙ্কজ পাল বলেন, ‘নতুন বউকে নিয়ে নতুন সংসার শুরু করব। কিন্তু বাসায় সংসারের প্রয়োজনীয় কোনো জিনিসপত্র নাই। বর্তমান ডিজিটাল যুগ হওয়ার কারণে টিভি-ফ্রিজ এখন নিত্যপ্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রনিকস পণ্যে পরিণত হয়েছে। তাই বউ ঢাকায় আসার আগেই নতুন সংসার সাজাতে সব ধরনের পণ্য কেনার সিদ্ধান্ত নিই। প্রথমে ফ্রিজ কেনার কথা ভাবি।’

তিনি জানান, টিভি-ফ্রিজের ক্ষেত্রে সেরা ব্র্যান্ড ওয়ালটন। তাই আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলেন নতুন সংসারের প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিকস পণ্য ওয়ালটন থেকেই কিনবেন। সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় গত শুক্রবার দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে স্টেডিয়াম মার্কেটের আবাবিল ইলেক্ট্রনিকসে যান পঙ্কজ। শোরুম ঘুরে যাচাই-বাছাই করে ২৬ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে সাড়ে ১৫ সিএফটি সাইজের একটি ফ্রিজ কেনেন তিনি।

পঙ্কজ জানান, ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের কোটি কোটি টাকার অফার সম্পর্কে আগে থেকে জানা ছিল না তার। ফ্রিজ কিনতে গিয়ে বিষয়টি জানতে পারেন তিনি।

পঙ্কজ বলেন, ‘ক্যাশ ভাউচারের কথা শুনে আমি ততটা আগ্রহ দেখাইনি। কারণ ছোটবেলা থেকে এখন পর্যন্ত আমার জীবনে কোনো দিন কোনো লটারি বা পুরস্কার জোটেনি। সেরা ব্র্যান্ড থেকে পছন্দের ফ্রিজ কিনেই খুশি ছিলাম। তবে ফ্রিজ কেনার পর শোরুমের বিক্রয়কর্মীরা আমার মোবাইল নম্বর নিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে দেন। একইসঙ্গে তারা বলেন, আমার মোবাইলে ক্যাশ ভাউচারের একটা মেসেজ আসবে। ভাগ্য ভালো হলে আমি লাখ টাকা পর্যন্ত পেতে পারি। পরে ফ্রিজ নিয়ে বাসায় চলে যাই।’

স্টেডিয়াম মার্কেটের আবাবিল ইলেক্ট্রনিকসে বন্ধুদের নিয়ে পঙ্কজ পাল

তিনি জানান, বাসায় যাওয়ার পরই তার মোবাইলে একটা মেসেজ আসে। যাতে বলা হয়, তিনি ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেয়েছেন। তবে বিষয়টি পঙ্কজের কাছে ভুয়া বলে মনে হয়। তারপরেও নিশ্চিত হওয়ার জন্য শোরুমে ফোন দেন। তারা লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে পঙ্কজকে শোরুমে যেতে বলেন।

পঙ্কজ বলেন, ‘কর্মকর্তাদের কথায়ও আমার অবিশ্বাস যায় না। মহাচিন্তায় পড়ে যাই। কী করব বুঝতে পারি না। পরে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে শোরুমে যাই। শোরুমের কর্মকর্তারা আমাকে দেখেই অভিনন্দন জানান। তাদের কথাবার্তা ও ব্যবহারে আমি অবাক হই। বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার পর আমার এত আনন্দ লাগে, তা বলে বুঝাতে পারব না। জীবনে কোনো দিন পুরস্কার পাইনি। আর যখন পেলাম তখন বড় মাপের পুরস্কারটিই পেলাম। এটা ভাবতেও আমার কেমন যেন লাগছে। এ খবর আমার বাবা-মা ও স্ত্রীকে জানালে তারা সবাই খুবই খুশি হয়েছে।’

এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার দিয়ে কী পণ্য কিনেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নতুন করে সংসার শুরু করব, তাই সংসারে ফ্রিজ-টিভি সবই দরকার। প্রথমে ফ্রিজ কিনেই লাখ টাকা পেয়েছি।’

সেই টাকা দিয়েই নতুন সংসার সাজানোর প্রায় সব পণ্যই কিনেছি। এর মধ্যে রয়েছে টিভি, রাইস কুকার, ওভেন, আয়রন, গ্যাস স্টোভ, ফ্যান, লাইট, রুটি মেকারসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য। তবে ক্যাশ ভাউচারের টাকায় কিছু পণ্য উপহারও দিয়েছি। এর মধ্যে আমার ফুফুকে একটি ফ্রিজ ও আমার সঙ্গে থাকা দুই বন্ধুকে দুটি আয়রন দিয়েছি।’

ওয়ালটন পণ্যের দাম, মান ও গুণাগুণ সম্পর্কে পঙ্কজ পাল বলেন, ‘আমাদের গ্রামের বাড়িতে টিভি-ফ্রিজসহ ইলেক্ট্রনিকস যেসব পণ্য আছে, তার বেশির ভাগই ওয়ালটনের। আমি নিজেও অনেক আগে থেকে ওয়ালটন মোবাইল ব্যবহার করি। কিছু দিন আগে আমার এক বন্ধুকে সাড়ে ১০ সিএফটি সাইজের একটি ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে দিয়েছিলাম। ভালো মান ও সাশ্রয়ী দামের কারণে সবাই ওয়ালটনের প্রশংসা করে। আমিও বলছি ওয়ালটন পণ্য অনেক ভালো। আমার আত্মীয়-স্বজন সবাইকে ওয়ালটন পণ্য ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছি।’

উল্লেখ্য, ক্রেতাদের দোরগোড়ায় অনলাইনে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চালু করেছে ওয়ালটন। এই কার্যক্রমে ক্রেতাদের অংশগ্রহণকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রতিদিন দেওয়া হচ্ছে নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। ওয়ালটন প্লাজা এবং পরিবেশক শোরুম থেকে ১০ হাজার টাকা বা তার বেশি মূল্যের পণ্য কিনে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করে সর্বনিম্ন ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাচ্ছেন ক্রেতারা। ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার এই সুযোগ থাকবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ ডিসেম্বর ২০১৭/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়