ঢাকা     রোববার   ০৫ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২২ ১৪৩১

অভিষেকের পর জেসি

‘মেয়েদের আন্তর্জাতিক ম্যাচ থেকেও ঢাকা লিগে আম্পায়ারিং চাপের’

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৫৬, ২৫ এপ্রিল ২০২৪   আপডেট: ২৩:০৫, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
‘মেয়েদের আন্তর্জাতিক ম্যাচ থেকেও ঢাকা লিগে আম্পায়ারিং চাপের’

মিরপুর শের-ই-বাংলায় পড়ন্ত বিকেল। সারাদিন জুড়ে চোখ রাঙ্গানির পর সূর্যের তাপও তখন ছিল না খুব একটা। ম্যাচ শেষে ড্রেসিং রুমের দিকে ধীরগতিতে হাঁটছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। সকাল ৯টা থেকে প্রচণ্ড দাবদাহের মাঝে দাঁড়িয়ে থেকে আম্পায়ারিং করলেও জেসিকে ক্লান্ত মনে হচ্ছিল না একেবারে। এমন অভিজ্ঞতা যে তার প্রথম!

কেমন ছিল অভভিজ্ঞতা? মৃদু হেসে জেসি জানালেন, ‘ভালো ছিল।’ কিন্তু ম্যাচ রেফারির সঙ্গে মিটিংয়ের কারণে সরাসরি আলাপ আর দীর্ঘ হলো না। তড়িঘরি ফিরলেন সতীর্থ ফিল্ড আম্পায়ারের সঙ্গে।

সন্ধ্যায় মুঠোফোনে রাইজিংবিডিকে জানিয়েছেন, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আম্পায়ারিংয়ে অভিষেকের অনুভূতি। এর আগে নারীদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দায়িত্ব পালন করলেও এবারই অনফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে ঢাকা লিগে অভিষেক।

মেয়েদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আর ঢাকা লিগ, দুটোর পার্থক্য বলতে গিয়ে জেসির উত্তর, ‘মেয়েদের আন্তর্জাতিক ম্যাচ থেকেও এখানে অনেক চাপ থাকে। এখানে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা খেলে। সঙ্গে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের আলাদা চাপ। গরম ছিল। সবকিছুল মিলিয়ে ভালোভাবে করে বের হয়ে আসতে পেরেছি। এটাই আমার কাছে বড় ব্যাপার।’

ঢাকা লিগে এমনিতেই প্রতি ম্যাচে আম্পায়ারিং নিয়ে নানা ইস্যু হয়ে থাকে। তার মধ্যে জেসির অভিষেক ঘটে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব-প্রাইমব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের মধ্যকার হাইভোল্টেজ ম্যাচে। দ্বিতীয় ইনিংসে মুশফিকুর রহিমের আউট নিয়ে খেলা বন্ধ থাকে পনেরো মিনিটের মতো।

এমন অভিজ্ঞতা কি জেসির প্রথম? এখন পর্যন্ত ৮টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে আম্পায়ারিং করা জেসি এমন ঘটনার সাক্ষী প্রথমই হয়েছেন। সঙ্গে জানান এমন কিছু আন্তর্জাতিক ম্যাচে হওয়ার সুযোগ নেই।

‘আন্তর্জাতিক ম্যাচে এরকম হওয়ার সুযোগ নেই। এখানে সুযোগ আছে বলেই উনারা এরকম করে। বিষয়টা উনারাও জানে কিছু হবে না। কারণ, আমরা কেউ প্রটোকলের বাইরে যাব না।’

ম্যাচের ৩৪তম ওভারে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ নিয়েও বাউন্ডারি লাইন স্পর্শ করেন আবু হায়দার রনি। টিভি আম্পায়ার কিংবা রিপ্লের ব্যবস্থা না থাকায় এটি ফিল্ডারের উপর ছেড়ে দেওয়া হয়। রনি আউট বলাতে আম্পায়ারদের আর কিছু করার ছিল না। এমনটাই জানিয়েছেন সাবেক এই ক্রিকেটার।

‘বিষয়টা আমাদের কিছু ছিল না। কারণ, অনফিল্ড আম্পায়ারের ওটা দেখার সুযোগ ছিল না। নিয়ম যেটা হলো ফিল্ডার যা বলবে তা বিশ্বাস করতে হবে। আমরা এটা বিশ্বাস করেছি। নিয়মনুযায়ী আমরা ঠিক ছিলাম।’

সামনেই ঘরের মাঠে নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এখানে জেসির আম্পায়ারিংয়ের সম্ভাবনা প্রবল। বৈশ্বিক আসরে আম্পায়ারিংয়ে বাড়তি চাপ সামলাতে প্রস্তুতির জন্য ঢাকা লিগের সুপার লিগের মতো ম্যাচে জেসিকে দায়িত্ব দেওয়া। জেসি প্রস্তুত ছিলেন, তবে একটু চিন্তাও কাজ করছিল।

‘সব ম্যাচের আগে একটু চিন্তা থাকে। যেহেতু প্রিমিয়ার লিগে আমার অভিষেক হচ্ছে অনফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে, একটু টেনশন ছিল। টেনশন না থাকলে ভালো আম্পায়ারিং করা যাবে না। আম্পায়ারদের সব সিদ্ধান্ত শতভাগ ঠিক থাকে। ১০০ ওভার ম্যাচ, সকাল ৯টা থেকে, সারাদিন মনোযোগ ধরে রাখা একটু কঠিন ব্যাপার। প্রথম দিন হিসেবে এটা পেরেছি অনেক ভাল লাগছে’-বলেছেন জেসি।

রিয়াদ/আমিনুল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়