৩০ ওভারে ২০০, শেষে টি-টোয়েন্টির পরিকল্পনা ছিল তামিমের
নটিংহ্যাম থেকে ক্রীড়া প্রতিবেদক: রানের এভারেস্ট ডিঙানোর চ্যালেঞ্জ ছিল বাংলাদেশের সামনে। ৩৮১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নিজেদের দলীয় সর্বোচ্চ ৩৩৩ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। লক্ষ্যে পৌঁছতে সবরকম চেষ্টাই করেছিল ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু কয়েকটি ভুল শটের খেসারত বড় করে দিয়েছে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৩২৮ রানের বেশি তাড়া করে জিতেনি কোনো দল। বাংলাদেশের সামনে রেকর্ড গড়ার হাতছানি ছিল। ইনিংস বিরতিতে সেই পরিকল্পনাই হয়েছিল। মাঠে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথেই ছিলেন ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু শেষটা রাঙানো হয়নি। ম্যাচ শেষে মিক্সড জোনে এসে তামিম জানালেন, ৩০ ওভারে ২০০ রান তোলার পরিকল্পনা ছিল তার। শেষটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মতো করে খেলার চিন্তা ছিল।
পরিকল্পনা ও পরিস্থিতির মধ্যে বড় কোনো পার্থক্য ছিল না। ৩০ ওভারে বাংলাদেশের রান ছিল ৪ উইকেটে ১৭৭। রান ঠিকঠাক থাকলেও উইকেট বেশি খরচ করে ফেলেছিল দল। তাতেই ম্যাচ হাত থেকে ফসকে যায়। তামিমের মতে ভুল সময়ে কয়েকটি ভুল শটে উইকেট হারানোয় ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ।
‘সত্যি কথা, আমাদের বড় স্কোর চেজ করার অভিজ্ঞতা খুব বেশি নেই। আমি ব্যাটিংয়ের সময় স্কোরবোর্ডে টার্গেটের দিকেই তাকাচ্ছিলাম না! আমি যেটা চাচ্ছিলাম, ৩০ ওভারে ১৮০ কিংবা ২০০ রান করতে পারি তাহলে শেষ ২০ ওভারে আমরা একটা সুযোগ নিতে পারব। আমার চেষ্টা ছিল ৩০ ওভারে ওই রান করা এবং বাকিটা যেটা, ১২০ বলে ১৬০-১৭০ রান করা যেটা টি-টোয়েন্টিতে হয়ে যায়। ’
‘যখন আমার ও মুশফিকের ইনিংস বড় করার কথা ছিল আমি পারিনি। ভুল সময়ে ভুল শট খেলে আউট হয়েছি। সাকিব আর আমার একটা জুটি হয়েছিল। সাকিবও ভুল সময়ে আউট হলো। আমরা ভালো খেলেছি। আরও ভালো হতে পারত যদি আমরা ভুল সময়ে আউট না হতাম।’ – বলেছেন তামিম।
শুরুতে খানিকটা নড়বড়ে থাকলেও ওপেনার তামিম পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু পারেননি। ৭৪ বলে ৬২ রান করেন ৬ বাউন্ডারিতে। স্ট্রাইক রেট ছিল ৮৩.৭৮। এ ইনিংসেও তার ডট বল ছিল ৩৬। নিজের ব্যাটিং নিয়ে তামিম,‘হয়তোবা হিসেবের মতো যাচ্ছে না। যখন শুরু করেছিলাম একটু ডাউন ছিলাম। শেষ দুই ইনিংসে ভাগ্য যদি একটু-ওপরে নিচে হতো তাহলে ইনিংসগুলো বড় হতে পারত। আজ আমার দিন ছিল না। আমার কাছে মনে হয় আমি ভালো অবস্থায় আছি, শুধু একটা ইনিংসের প্রয়োজন যেটা আমি বড় করতে পারি। সমস্যা হচ্ছে আমাদের হাতে সেই সময়টা নেই।’
শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং না করার কারণ প্রসঙ্গে তামিমের ভাষ্য,‘বেশি আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়ে যদি আগেই আউট হয়ে খেলাটা নষ্ট করে দেন তাহলে আজকে ৩৩০ রানও হতো না। ’
শেষ দিকে উইকেট হাতে রেখে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের পরিকল্পনা থাকলেও সেটা হয়নি। শেষ ১০ ওভারে অস্ট্রেলিয়া যেখানে তুলেছে ১৩১ রান সেখানে বাংলাদেশের রান ৮৮। এখানেই ৪৩ রানের পার্থক্য। রেকর্ড রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ ম্যাচ হেরেছে ৪৮ রানে।
রাইজিংবিডি/নটিংহ্যাম/২১ জুন ২০১৯/ইয়াসিন
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন