ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

জামের ওষুধিগুণ অনেক

|| রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৫৭, ১১ জুন ২০১৩   আপডেট: ০৮:৪৫, ১১ আগস্ট ২০২০
জামের ওষুধিগুণ অনেক

ডেস্ক রিপোর্ট
ঢাকা, ১১ জুন : জাম গ্রীষ্মের জনপ্রিয় মৌসুমি ফল। সাধারনতঃ দু’ধরনের জাম দেখা যায়। বড় জামকে কালোজাম এবং ছোট জামকে ছোট বা অঞ্চলভেদে লোহা জাম বলা হয়। জাম গাছে মার্চ এপ্রিলে ফুল আসে। মে জুন মাসে ফল বড় হয়।

শুরুতে এটি সবুজ থাকে যা পরে গোলাপী হয় এবং পাকলে কালো বা কালচে বেগুনি হয়ে যায়।

জাম ভারতবর্ষ থেকে সারা দুনিয়াতে ছড়িয়েছে। বর্তমানে এটি সাবেক বৃটিশ উপনিবেশগুলোতে বেশ দেখা যায়। জাম নানা দেশে নানা নামে পরিচিত, যেমন- জাম্বুল, জাম্ভুল, জাম্বু, জাম্বুলা, জাভা প্লাম, জামুন, কালোজাম, জামব্লাং, জাম্বোলান, কালো প্লাম, ড্যামসন প্লাম, ডুহাট প্লাম, জাম্বোলান প্লাম, পর্তুগিজ প্লাম ইত্যাদি।

তেলেগু ভাষায় একে বলা হয় নেরেদু পান্ডু, মালায়ালাম ভাষায় নাভাল পাজহাম, তামিল ভাষায় নাভা পাজহাম এবং কানাড়া ভাষায় নেরালে হান্নু। ফিলিপাইনে একে বলা হয় ডুহাট।

বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশ, ভারতবর্ষ, ইন্দোনেশিয়া এবং চীন-এ জামের ব্যবহার হয়ে আসছে। জামের বীজ দিয়ে নানান রোগের আয়ুর্বেদী চিকিৎসা করা হয়, যেমন বহুমুত্র। ইউনানী এবং চৈনিক চিকিৎসাতেও এর ব্যবহার আছে।

হজমের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, মাড়ির প্রদাহ ইত্যাদি রোগে জামের বীজ, ছাল ও পাতা ব্যবহৃত হয়। জাম ক্যারোটিন, ভিটামিন সি, লৌহ ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ।

রোগ নিরাময়ে জামের ভেষজ গুণ অনেক। শুধু এর নরম মাংসল অংশটাই নয়, এর বীজেও ওষুধ হিসাবে ব্যবহার হয়। জামের বীজের মধ্যে রয়েছে জাম্বলিন নামে গ্লুকোসাইট। গ্লুকোসাইট স্টার্চকে শর্করাতে রূপান্তরের হাত  থেকে বাঁচায়। যা নারী-পুরুষের মেহ রোগ নিয়ন্ত্রণ করে।

জামের কচিপাতা পেটের পীড়া নিরাময়ে সাহায্য করে। জামের বীজ থেকে প্রাপ্ত পাউডার বহুমুত্র রোগের ওষুধ হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।

পাকা জাম সৈন্ধব লবন মাখিয়ে ৩-৪ ঘন্টা রেখে চটকিয়ে ন্যাকড়ার পুঁটলি বেঁধে টানিলে যে রস বের হয় তা পাতলা দাস্ত, অরুচি ও বমিভাব দূর করে। জাম ও আমের রস একত্রে পান করলে বহুমূত্র রোগীর তৃষ্ণা প্রশমিত হয়।

ক্ষুধামন্দা বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে জামের আচার পানির মধ্যে সমপরিমাণে মিশিয়ে সকাল-সন্ধ্যা খেলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়। বর্তমানে কিছু দেশে জাম দিয়ে বিশেষ ওষুধ তৈরি করা হচ্ছে, যা ব্যবহারে চুল পাকা বন্ধ হবে।

গলার সমস্যার ক্ষেত্রে জাম ফলদায়ক। জাম গাছের ছাল পিষে পেস্ট তৈরি করে তা পানিতে মিশিয়ে মাউথ ওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এতে গলা পরিষ্কার হবে, মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে, মাড়িতে কোনো সমস্যা থাকলে তাও কমে যাবে।


রাইজিংবিডি/শাহ মতিন টিপু/এলএ




রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়