ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

টাঙ্গাইলে গরমে ঘন ঘন লোডশেডিং, চরম ভোগান্তি

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৪৮, ৮ জুন ২০২৩   আপডেট: ০৯:৫০, ৮ জুন ২০২৩
টাঙ্গাইলে গরমে ঘন ঘন লোডশেডিং, চরম ভোগান্তি

টাঙ্গাইলে ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। এতে প্রচন্ড গরমে হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ। এছাড়া, স্বাভাবিক কাজও করতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। বিদ্যুৎ অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুই থেকে চার ঘণ্টা লোডশেডিং হওয়ার কথা থাকলেও ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা লোড শেডিং হচ্ছে। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, কয়েক সপ্তাহ ধরে টাঙ্গাইলে লোডশেডিং বেড়েই চলেছে। ফলে স্বাবাভিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। বিশ্রাম, খাবার গ্রহণ, ঘুম, পড়াশোনাসহ প্রতিটি মুহূর্তই ভোগান্তিতে পড়ছেন স্থানীয়রা। বৃষ্টি না হওয়ায় উত্তপ্ত আবহাওয়ায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আর গরমের কারণে নানা রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে ডায়েরিয়া, বমি, জ্বর, ঠান্ডা। 

বুধবার (৭ জুন) দুপুরে সরেজমিনে টাঙ্গাইল শহরের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, বেশির ভাগ মার্কেটেই বিদ্যুৎ নেই। এদের মধ্যে কেউ কেউ জেনারেটর ব্যবহার করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার চেষ্টা করছে। গরমে অনেকেই তৃষ্ণার্ত হচ্ছে। একটু স্বস্তির আশায় শরবতের দোকান ও তালের শাসের দোকানে ভিড় করছে। 

মো. সাইফুল ইসলাম নামের এক ম্যানেজার বলেন, টাঙ্গাইল শহরে আমাদের ৪৫টির মতো শোরুম রয়েছে। বেশির ভাগ সময়ই বিদ্যুৎ থাকে না। কোনো শোরুমে আইপিএস, আবার কোনো শোরুমে অস্থায়ী জেনারেটর ব্যবহার করা হচ্ছে। দীর্ঘক্ষণ লোডশেডিং থাকলে জেনারেটরও ব্যাকআপ দিতে পারে না। সব মিলিয়ে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছি। 

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে কথা হয় জয়ন্তী সরকারের সাথে। তিনি বলেন, সকালে আমার রোগিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি করিয়েছি। বিছানা না পাওয়ায় বারান্দায় তাকে রাখা হয়েছে। বারান্দায় ফ্যান না থাকায় এই প্রচণ্ড গরমে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। 

কাগমারা এলাকার জাহিদ হাসান বলেন, দিন রাত মিলে ১২ থেকে ১৩ ঘণ্টা লোডশেডিং হয়। মধ্যরাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে তিন চার ঘণ্টায়ও আসে না। গরমে ঘুম ভেঙে যায়। লোডশেডিং ও গরমে সোমবার দিবাগত রাতে চার ঘণ্টাও ঘুমাতে পারিনি। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়নের ধরেরবাড়ী মুসলিম হাই স্কুল অ‌্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। প্রচণ্ড গরমে লোডশেডিং এর সময় অনেকেই ঠিক মতো লিখতে পারে না। 

শহরের কাগমারা এলাকার হাজী অটো রাইস মিলের স্বত্তাধিকারী জহিরুল ইসলাম বলেন, দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকলে তো তিন ঘণ্টা থাকে না। এতে মিলের উৎপাদন অর্ধেকেরও কম হচ্ছে। 

টাঙ্গাইল বিদ্যুৎ বিভাগের সুপারিনটেডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার ওবায়দুল ইসলাম বলেন, টাঙ্গাইলে ১২০ থেকে ১২৫ মেগাওয়াটের বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। সেখানে ১০০ থেকে ১০৫ মেগাওয়াট পাওয়া যাচ্ছে। গড়ে ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি রয়েছে। তাতে দুই থেকে চার ঘণ্টা লোডশেডিং হতে পারে। 
বন্ধ হওয়া পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রভাব টাঙ্গাইলে পড়ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ পাচ্ছি। কোথা থেকে চাপ পড়ছে ইনজেনারেল সেটা বোঝা যাচ্ছে না। 

কাওছার আহমেদ/ইভা  

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়